কয়েকদিন আগে ধানমন্ডির লেকে কথা হচ্ছিল প্রথম আলো বন্ধুসভার সাবেক একজন সভাপতির সঙ্গে। যিনি এখন ভাল ফটোগ্রাফার, প্রথম আলোতেই ফ্রিল্যান্সার হিসেবে লেখেন, প্রকৃতি নিয়ে। তার কাছে শুনছিলাম প্রথম আলোর গোড়ার দিকে কথা। ভোরের কাগজ থেকে একঝাক উদ্দমী মানুষ নিয়ে পথচলা প্রথম আলোর। ফ্রিল্যান্সার ভাই বলছিলেন, `প্রথম দিকে প্রথম আলোতে কাজ করেছি সকাল থেকে রাত অবধি। সকালে নিজে কযেক’শ পত্রিকা কিনে বিলি এবং বিক্রি করেছি। দিন রাত খেটেছেন তিনি প্রথম আলোর জন্য।`
তবে প্রথম আলো তাকে সম্মান দেননি। নামিয়ে দিয়েছেন বন্ধুসভা থেকে। এখন প্রথম আলোর যশ, খ্যাতি। তবে প্রথম দিকের মানুষদের জন্য কতটুকু করছেন মতি ভাই?
এই লেখাটির সূত্রাপাত ফেইসবুক। শ্রদ্ধেও রাজীব নূর ভাইযের একটি পোস্ট দেখে আতকে উঠলাম।তার লেখাটা, ‘অবশেষে চাকরিটা ছেড়ে দিলাম।’
লেখাটার পরপরই অনেক কমেন্ট আসতে থাকলো। অনেকে কারণ জানতে চাইলেন। উত্তরে নূর ভাই, ‘যারা জানতে চাইছেন কেন, তাদের সব্বাইকে বলি ভালো লাগছিল না বলে। আমাদের মতো মধ্যবিত্তের চাকরি তো করতেই হবে, আমিও তা-ই করব। যদিও জীবনানন্দ দাশ বলে গেছেন 'পৃথিবীতে নেই কোনো বিশুদ্ধ চাকরি, তবু আমি এখনো বিশুদ্ধ চাকরির খোঁজ করছি।'’
দেশের বিভিন্ন প্রন্ত ঘুরে ঘুরে সরকার, সমাজের নানা অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন এই মানুষটি।
তার মত একজন সাংবাদিক, সাংবাদিকতা ছেড়ে দিলে, অনেক কিছুই হারাবো আমরা।