আহারে এদের শিল্প শিল্প খেলা
কিযে বিস্ময় এদের কথার মুখোশ!
ধার করা যত শব্দ-কবিতায়,
বুনে যায় অজস্র মোহময় জাল।
ক্ষুধার্থ কুকুরের মতো জীভ চুকচুক করে,
পাশে বসে থাকা তরুণীর স্তন-নিতম্বের কম্পনে
লালায়িত হয় তাদের শৈল্পিক মন!
প্রথম অবস্থায় তাই চোখ দিয়েই পান করে নেয়
যতটুকু সম্ভব নারী দেহ
আর পুরোটুকু সম্ভোগের পূর্বে রচিত হয় কিছু গান,
নতুন কোনো প্ররোচিত কবিতা কিংবা মিথ্যে প্রেমের গল্প।
অতঃপর সবটুকু গ্রাস করে
তাদের দেহতত্ত্বে শব হয়ে উঠে কিছু প্রস্ফুটিত জীবন।
তাদের গান ও কবিতায় বুলেট হয়ে ঝরে যে আগুন এবং বিপ্লবের ভাষা,
একদল স্বপ্নের কাছে তা নিছকই ঠাট্টা হয়ে উঠে।
অতি আধুনিক তারা নিজেরাই নিজেদের নাম দেয় 'অসুখ';
তারা সেই অসুখ, যে অসুখে শেষতক ধ্বংস নিশ্চিত।
যাদের তারা বন্ধু দাবি করছে,
স্বার্থটানে তাদেরই এক ধাক্কায় সরিয়ে দিচ্ছে অনেক দূরে।
ভালোবাসার নামে বেড়ে উঠা ভ্রূণকে হত্যা করছে নির্দ্বিধায়।
তাদের উন্মুক্ত চেতনার ভান, নগ্ন দেহের জন্য নির্লজ্জ্ব কাঙ্গালিপনা,
খ্যাতির জন্য ব্যাকুলতা, অনর্থক গলাবাজি, গুরু-শিষ্যের নোংরামি,
সুনিপুণ চতুরতা, চিৎকার, তাদের সব__সবই নষ্ট, ভয়াবহ কদাকার, বীভৎস!
শিল্পীনামধারী এই অশৈল্পিক পিশাচদের দিকে ঘৃণা ছুঁড়ে দিচ্ছে
সেইসব 'মা', যাদের তারা 'বেশ্যা' বলে ডাকে।
ঘৃণা ছুঁড়ে দিচ্ছে সেইসব সন্তান_তারা যাদের 'জারজ' বলে জানে।
০৩.১০.২০১১
বনশ্রী, রামপুরা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৯:৫০