somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"জাহাজ কাকড়া "বাংলাদেশের সমুদ্রের একটি প্রাচিন প্রানী। আসুন সুন্দর একটি সামুদ্রিক প্রানী সম্পর্কে জেনে নেই।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
জাহাজ কাকড়া বা রাজা কাকড়া স্থানীয় ভাবে একে অনেক নামেই ডাকাহয়। তবে ইংরেজিতে তাকে isopod বা horseshoe crab নামে ডাকা হয়। বাংলাদেশ সহ দক্ষিন এশিয়ার প্রায় সকল সমুদ্র উপকুলেই এদের দেখাযায়। তবে শিত প্রধান সমুদ্রউপকুল গুলো তে এদের গায়ের রঙ কিছুটা ভিন্ন।



আমি প্রথম এদের দেখা পাই টেকনাফ সমুদ্র তরবর্তি নাফ নদীতে। এবং সর্বশেষে বিচের একটি ঝিনুকের দোকানে। এবং সেখানে থেকেই আমি একটি ক্রয় করি।



বাংলাদেশের সমুদ্রেই শুধু না, সারাবিশ্বের সকল সমুদ্র বা মহাসমুদ্র গুলোতে টিকে থাকা প্রাচীন প্রানীগুলোর মাঝে এই জাহাজ কাকড়া অন্যতম। পৃথিবীতে যখন মানুষের আগমন ঘটেনি তখন ও এদের অস্তিত্ব ছিল বলে ধারনা করা হয়। তাই একে জিবন্ত ফসিল বলে গন্য করা হয়। ১৯০০ সালের দিকে যখন কৃত্রিম সার আবিস্কৃত হয়নি তখন অনেক দেশে এদের শুকনো ও গুরো করে সার প্রস্তুত করা হত।



এই জাহাজ কাকড়া দেখতে বিশাল ও ভয়ঙ্কর হলেও বাস্তবে এটা খুব নিরিহ। আপনি ইচ্ছা করলে সঙ্গে সঙ্গেই একে হাতে নিতে পারেন । সদের শরির খুব সক্ত একটি খলোশ দিয়ে আবৃত্ব । মারা যাবার পর ও তাই শুকিয়ে অনেকদিন সংরক্ষন করা যায়। এদের একটি শক্ত লেজ রয়েছে ।কিন্তু আত্ম রক্ষায় এটি কোনো আসে না।



আমরা জানি যে টিকটিকির রক্ত সাদা তবে এটা জেনে অবাক হবেন যে জাহাজ কাকড়ার রক্ত নীল। প্রায় ১২টি পায়ের সাহায্যে এরা সমুদ্রতিরে হেটে বেড়ায়। সমুদ্র উপকুলবর্তি জেলেদের প্রস্ন করে জানতে পারলাম বাংলাদেশের সমুদ্রে এক সময় এদের প্রচুর পরিমানে দেখা যেত। এখনো এদের দেখা প্রচুর দেখা যায় । তবে এখন এদের দেখতে হলে যেতে হবে নাফ নদীর নির্জন স্থান গুলিতে।

আরো বিস্তারিত ভাবে এদের জানতে হলে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। wikipedia

খুব সংক্ষিপ্ত করে সুন্দর এই প্রানীটিকে বর্ননা করার চেষ্টা করলাম। সবাইকে নতুন বছরের সুভেচ্ছা জানিয়ে এখানেই শেষ করছি।
****Happpppy new year****
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরাকানে 'স্বাধীন মুসলিম রাজ্য' প্রস্তাব কতটা বাস্তবসম্মত ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:১২


বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী সম্প্রতি একটি ‘স্বাধীন মুসলিম রাজ্য’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে, যা আসলে হাস্যকর এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা, আরাকান আর্মি , এবং চীনের ভূ-রাজনীতির ব্যাপারে সম্পূর্ণ অজ্ঞতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

১০০ টা নমরুদ আর ১০০ টা ফেরাউন এক হলেও একজন হাসিনার সমান নৃশংস হওয়া সম্ভব ছিলো না!!

লিখেছেন তানভির জুমার, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৫২

সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জন্য কবর খুঁড়তে হয়েছিলো ২ টা।
একটা না।
ফাঁসির ৪ ঘন্টা আগেও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী জানতেন না, আজকেই তাকে যেতে হবে।
ফ্যামিলি যখন শেষবারের মতো দেখা করতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিলিস্তিন নিয়ে এতো লাফালাফির কি আছে?

লিখেছেন অপলক , ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:১০

ফিলিস্তিনে গত ৩ বছরে মারা গেছে এখন পর্যন্ত মাত্র ৫১ হাজার। বাংলাদেশে ১৯৭১এ মাত্র ৯মাসে মারা গেছে ৩ লক্ষ, যদিও শেখ মুজিব বলেছিল, ৩০ লক্ষ।
কোথায় ৫১ হাজার কোথায় ৩০ লক্ষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন ...

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:১৯





****
আরো দেখতে চাইলে ভেতরে আসেন ...







...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুগে-গুজবে বাংগালী....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:২৩

হুজুগে-গুজবে বাংগালী....

"হুজুগে-গুজবে বাংগালী"- বলে আমাদের একটা দুর্নাম প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। গুজব আর হুজুগ যমজ ভাই।
গুজব বা হুজুগের সবকিছু মানুষ কিনতে পারে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্যোতনা দেয় অন্ধ বিশ্বাস।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×