somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আহমদ ছফার রচনাতে শিক্ষা প্রসঙ্গ

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আহমদ ছফার রচনাতে শিক্ষা প্রসঙ্গ

সামিও শীশ

আহমদ ছফার ‘গাভী বিত্তান্ত’ উপন্যাসের চরিত্র ও কাহিনী কোনোটাই কাল্পনিক নয় এবং বাস্তবের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া কোনো কাকতালীয় বিষয় নয়। সাহসী, ক্ষ্যাপাটে, প্রতিবাদী, শক্তিমান কথাকারিগর আহমদ ছফা মন জোগানো নয়, মন জাগাবার প্রত্যয় থেকেই তাঁর সাহিত্য সম্ভার সৃষ্টি করেছেন তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও উপাচার্য পদ এবং তা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে তিনি যেভাবে এই উপন্যাস লিখেছেন, সাধারণত ‘সাবধানী’ কোনো রচয়িতা এমন সব রচনা শুরুতে ভূমিকাতে বলে রাখেন সেই প্রচলিত বয়ান চরিত্র ও কাহিনী কাল্পনিক এবং কাউকে হেয় বা উদ্দেশ্য করে লেখা হয়নি। কিন্তু আহমদ ছফা সেই ‘সাবধানী’ ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নন। আহমদ ছফার সাহিত্য ভাণ্ডারে তাঁর সমাজ, মানুষ, সমকালীন পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তার প্রতিফলন ঘটেছে এবং কোনো রকম জনপ্রিয়তা বা আঘাতের প্রতি পরোয়া না করেই নিঃসঙ্কোচ আওয়াজ তিনি তুলেছেন। বিশেষ করে শিক্ষা বিষয়টি নিয়ে তাঁর চিন্তার প্রতিফলন ঘটেছে তাঁর বেশ কয়েকটি রচনাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস, মেধাশূন্যতা, শিক্ষার দর্শন, শিক্ষানীতি বিষয়ে ভাবনাগুলো তাঁর বিভিন্ন রচনাতে ঘুরে ফিরে এসেছে।

তাঁর ‘নিহত নক্ষত্র’ গল্পতে তিনি বলেছেন, ‘‘নিজের কথা বলি। আমি পূর্ব বাঙলার অরাজক যুগের যুবক। চটুল আমার স্বভাব। গাম্ভীর্যকে ভয় করি, সহজ হওয়া আমার পক্ষে আত্মহত্যা করার চাইতেও অসম্ভব। অন্য কোথাও সুযোগ না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঙলাতে ভর্তি হয়েছি। বলতে আমার সঙ্কোচ নেই। বিভাগীয় বন্ধুদের শতকরা নব্বই জনের অবস্থাও আমার মতো।” বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে মৌলিক জ্ঞানের চর্চা হওয়া কথা সেখানে ভাষার মতো বিশেষ করে বাংলা ভাষার মতো বিষয় নিয়ে যে অবহেলা, মেধা শূন্যতা, অনাগ্রহ তাঁর কথা খুব সহজভাবে তিনি বুঝিয়েছেন। আবার এই গল্পটিতে তিনি মুনতাসীরের মতো চরিত্রকে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর প্রথম পরিচয় তিনি দিয়েছেন, “ ইলেভেনথ ক্লাসে সায়েন্স পড়তো। ফোর্থ প্লেস পাওয়ার পরেও কেন এলো কবিদের অস্থি ঘাঁটতে, সে আমি বলতে পারবো না। আমরা মনে করতাম, কঠিন নীরবতা আর চোখ ধাঁধানো রেজাল্ট নিয়ে বাঙলাতে ভর্তি হওয়ার পেছনে, আমাদেরকে ব্যঙ্গ করা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না। বরাবর চুপচাপ থাকতো। রেশমের মতো কোমল ছিলো কণ্ঠস্বর। রিন রিন করে বেজে যেতো কানের পর্দায়।” বিশ্ববিদ্যালয়ের অরাজকতাতে নিরীহ ছাত্রেরা ভীত, ‘মেয়েরা হারেমবাসিনী’, অধ্যাপকদের বইগুলো জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সেই সময় এই নিঃসঙ্গ, কোমল কণ্ঠের মুনতাসীর জ্বলে ওঠে, “একি সেই মুনতাসীর! যার সঙ্গী সব কালো বই, যে বাস করে স্বপ্নের জগতে, গালজোড়ায় যার চিক চিক করে স্বপ্ন নেচে যায়। এখনকার চেহারা দেখছি মুনতাসীরের। মুখের রক্তবাহী শিরাগুলো ফুলে ওঠেছে। শিমুল ফুলের মতো লাল হয়েছে মুখমণ্ডল। চিকন চিকন দাঁতে নিচের ঠোঁটটা চেপে ধরেছে। মাথার ওপরে থির সূর্যের উত্তাপ। হাজার কাপুরুষের দেশে, ইটের স্তুপের পাশে দাঁড়ানো মুনতাসীরকে দেখছিলাম। দেখছিলাম, সাহস আর পৌরুষের ঝলমলানো একটি স্ফুলিঙ্গের মতো, আগুনের আঁচে উত্তপ্ত একখণ্ড ইস্পাত যেনো!” বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্ত্রাস, অরাজকতা বিষয়টি নিয়ে আহমদ ছফার ক্ষোভ আরও প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস: একটি রাজনৈতিক পাপ’ প্রবন্ধে। তিনি লিখেছেন, “এই একটুখানি ভূমি, যাতে সাড়ে বারো কোটি মানুষ পোকা-মাকড়ের মতো কিলবিল করছে। আমরা দুনিয়াতে কী করে বেঁচে থাকবো? এই যে বিপুল পরমাণ মানুষ একে শক্তিতে পরিণত করতে পারলে বাঁচার একটা উপায় পেয়ে যেতে পারি।” সেই পাকিস্তান আমলের এন.এস.এফ এর তাণ্ডব থেকে বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতা বজায় রাখার প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে সৃষ্ট সন্ত্রাস কী করে বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে অচল করে দিয়েছে, তা নিয়ে আহমদ ছফা লিখেছেন স্পষ্ট ও সাবলীলভাবে।

১৯৭১ এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন সময়ে আহমদ ছফা লেখেন ‘পাকিস্তানের শিক্ষানীতি’। তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশ পাকিস্তানের ধনিক বণিক এবং পুঁজিপতি স¤প্রদায়ের উপনিবেশ। সুদীর্ঘ তেইশ বছর ধরে কার্যত পশ্চিমারা শোষণই করেছে। ঔপনিবেশিক শোষক সরকার যে শিক্ষাপদ্ধতি প্রবর্তন করে তাতে জনগণের বাস্তব দাবির চাইতে শাসক স¤প্রদায়ের প্রয়োজনের গুরুত্বই দেওয়া হয় অধিক। বাংলাদেশেও ভূতপূর্ব পাকিস্তানের কর্তারা শাসন শোষণ কায়েম রাখার জন্য স্থানীয় অধিবাসীদের যতটুকু সহযোগিতা অপরিহার্য তার বাইরে কোনো রকম প্রসার হতে দেয়নি। এটা হলো বাঙালি জনসাধারণকে শিক্ষার দিক থেকে খাটো করে রাখার সরকারি ষড়যন্ত্র। এই দুরভিসন্ধি পুরোপুরি কার্যকর করার জন্য সরকার সম্ভাব্য সকল পন্থাই গ্রহণ করেছে।” এই পন্থাগুলো অংশ হিসেবে ভাষা, সংস্কৃতির উপর আঘাত এসেছে ইসলামি শিক্ষাপদ্ধতির নাম ধরে। তিনি আরও লিখেছেন, “ইসলামি শিক্ষাপদ্ধতির অল্পস্বল্প বাস্তবায়নের মধ্যেই উপনিবেশবাদী সরকারের গূঢ় ইচ্ছেটা স্পষ্টভাবে ফুটে বের হলো। . . . গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে এমন একটা পরিমণ্ডল সৃষ্টি করা প্রয়োজন যার প্রভাবে শিক্ষার্থীর মন আবিষ্কারের দিকে, বিচারের দিকে, বিশ্লেষণের দিকে ধাবিত হয়। কৃত্রিম যে শিক্ষা তার সে বালাই নেই। কৃত্রিম শিক্ষাব্যবস্থা ব্যক্তিকে অপরের কাজের যোগ্য করে, আত্মশক্তিতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে না। পাকিস্তানের কর্তাব্যক্তিরাও একটি কৃত্রিম শিক্ষানীতি উপর থেকে চাপিয়ে দিয়ে গোটা বাঙালি জাতির স্বভাবজ শক্তিকে পাকে পাকে বেঁধে ফেলতে চেষ্টা করেছে। বাঙালি জাতিকে ভাবনা-চিন্তাহীন, কল্পনাহীন এবং স্বপ্নহীন করার ষড়যন্ত্রের নামই ইসলামি শিক্ষানীতি।” স্বাধীন বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্নের কথা নিয়ে তিনি প্রবন্ধের উপসংহারে বলেছেন, “ . . . ভীতিমুক্তি প্রকৃত শিক্ষার আলোকে না হলে ঘটে না। বাঙালি তা কাটিয়ে উঠেছে এবং শীঘ্রই একটি স্বাধীন শোষণমুক্ত একটি সমাজ, নতুন একটি রাষ্ট্র সে প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে।. . . আধুনিক যুগোপযোগী দেশের বৃহত্তম কল্যাণের দিকে দৃষ্টি রেখে শিক্ষানীতিও বাংলাদেশের মানুষ রচনা করবে। এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত থাকা উচিত নয়।” কিন্তু সে স্বপ্নের ভঙ্গ ঘটেছে। ঔপনিবেশিক শিক্ষা যেমন শোষণ, বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা গড়েছে, মানুষের বিজ্ঞানবোধ, মুক্তচিন্তার পথকে রুদ্ধ করেছে তার ধারাবাহিকতা স্বাধীন বাংলাদেশেও অব্যাহত রয়েছ। আহমদ ছফা ‘মাদ্রাসা শিক্ষার কথা’ তে তাই লিখেছেন,“বাস্তবিক মাদ্রাসাতে যারা পড়াশোনা করে থাকে তাদের বেশিরভাগই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। যে সমস্ত ছাত্র স্কুল, কলেজে ভর্তি হতে পারে না; তাদের বেশিরভাগ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে আসে এবং সমাজের দান খয়রাতের অর্থে শিক্ষা জীবন অতিবাহিত করতে হয়। কোনো কোনো ধনী ভদ্রলোক পরকালের পুণ্য সঞ্চয়ের বাসনা এবং মা-বাবা স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখার জন্য গ্রামে-গঞ্জে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে থাকেন। কিন্তু তাঁদের ছেলে-মেয়েদের কখনো মাদ্রাসায় পড়তে দেন না। ধনী এবং সম্পন্ন ঘরের ছেলেরা খুব অল্পই মাদ্রাসাতে পড়াশোনা করতে আসে। বেশিরভাগ গরিব, বিত্তহীন পরিবারের ছেলে হওয়ার কারণে এবং ভবিষ্যতের কোনো রকম নিরাপত্তারোধের অভাবের দরুন তাদের মনে এক ধরনের হীনম্মন্যতা বোধ আশ্রয় নিয়ে থাকে। এই হীনম্মন্যতাবোধ যখন প্রাতিষ্ঠানিক আকার লাভ করে সেটা একটা মারাত্মক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। কোনো রকমের পরিবর্তনের কথা উঠলেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।” বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এই পশ্চাৎপদতার রাজনীতি, মানুষের ওপর মানুষের শোষণমুক্তির হাতিয়ার হিসেবে শিক্ষাকে গড়ে মানুষের অধিকার অর্জন করার জন্য শিক্ষাকে না সাজানোর জন্যে আহমদ ছফা তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষা বিষয়ক সেমিনারে আহমদ ছফা ‘শিক্ষার দর্শন’ প্রবন্ধে তিনি শিক্ষা দর্শনের ঐতিহাসিক দিকটি খুব সংক্ষেপে আলোচনা করে মানুষের আধুনিক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতি দৃকপাত করেছেন আগামীর শিক্ষা দর্শন বিষয়ে বলেছেন, ‘‘. . . জীবন আরো সুন্দর, মানুষ আরো ভাল এবং স্বাধীনতা আরো কাক্সিক্ষত ধন- কোনো রকমের স্বর্গ নরকের ভয়ভীতিহীন জীবনের নব দর্শনের মধ্যেই রয়েছে আগামীর মহীয়ান শিক্ষাদর্শনের ইঙ্গিত। মানুষের ভবিষ্যৎ ভালোবাসায় এবং ভালোবাসার নব নব সূত্র এবং ক্ষেত্র উদ্ভাবনের মধ্যেই কল্যাণশীল শিক্ষার অঙ্কুর সুপ্ত রয়েছে।” মানুষের সম্ভাবনা প্রতি আস্থা থেকেই হয়তো তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শিল্পী সুলতান পাঠশালা’। এ প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন,“দরিদ্র শ্রেণীর লোকদের কাছে আমি বুঝাইতে চাইছিলাম, তোমরা দরিদ্র বলেই তোমাদের ভেতর থেকে এরকম একজন (শিল্পী এস. এম. সুলতান) জন্মাইছে। সুলতানও দরিদ্র পরিবারের। সেজন্য সুলতানের নামে স্কুলটা করলাম। . . . স্কুলটার নাম শিল্পী সুলতান পাঠশালা। সুলতান এই দেশে যে বিশাল ব্যাপার এটাকে কাজে লাগাতে হবে। সুলতানের স্বপ্ন ছিল এই দেশের শিশুদের কিছু শিক্ষা দিয়ে কাজ করার ক্ষেত্র তৈরি করা।” (আহমদ ছফার সময়- নাসির আলী মামুন, বর্তমানে এই স্কুলের নাম ছফা সুলতান পাঠশালা, পরিবাগে অবস্থিত) দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা (প্রচলিত বয়ান হচ্ছে গরীবের বাচ্চাদের জন্য) নিয়ে বাংলাদেশে এন.জি.ও.দের ব্যাপক কার্যক্রম দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি পাওলো ফ্রেইরির ‘পেডাগোজি অফ দ্য অপরেসড’ বইয়ের অনুবাদ অত্যাচরিতের শিক্ষার (অনুবাদক আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া) প্রাক-কথনে লিখেছেন,“ ...ধনী দেশসমূহের কাছ থেকে অর্থ যোগান পাচ্ছেন বলেই পাওলো ফ্রেইরিকে সমাজ পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কহীন একজন সন্ত হিসেবে গণ্য করে আসছে। .. .তাঁরা পাওলো ফ্রেইরে’র চিন্তাকে হাতুড়েসুলভ মনোভাব দিয়ে গ্রহণ করার মাধ্যমে শিক্ষা বিজ্ঞানের ওপর মারাত্মক অবিচার করে যাচ্ছেন। তাঁরা আলাদা পাঠ্য-পুস্তক প্রণয়ন করেছেন, আলাদা শিক্ষা-দান পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন; কিন্তু তার মধ্যে সত্যিকার শিক্ষা কতটুকু আছে তা ঘোরতর বিতর্কের বিষয়। পাওলো ফ্রেইরে’র পদ্ধতিকে উল্টোদিক থেকে প্রয়োগ করার চেষ্টা করে আমাদের শিক্ষা-চিন্তার ঐতিহাসিক যে একটা বিবর্তন আছে তার ওপর একটি মারাত্মক অবিচার করছেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ আরো অন্যান্য মনীষী যাঁরা সার্বজনীন শিক্ষার একটা বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি নির্মাণের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন সেটাকে পাশ কাটিয়ে আনকোড়া একটা পদ্ধতিতে ডাল-মূল ছেটে প্রয়োগ করতে যাচ্ছেন; আমি মনে করি এটা অবিমৃষ্যকারিতারই নামান্তর। দেশের সর্বাধিক বৃহত্তম সাহায্য-সংস্থাটির শিক্ষা কর্মসূচীর দিকে দৃষ্টি রেখে কথাগুলো বলা হলো।” স্পষ্ট বুঝতে পারা যায়, দরিদ্র বঞ্চিত শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত তাঁর স্কুলের দৃষ্টিভঙ্গীর মাঝে প্রকট পার্থক্য রয়েছে।

শিক্ষা মানুষকে তাঁর অধিকার সচেতন, অবিচার বঞ্চণার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করবে, সমাজ-রাজনীতি জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট। ওঙ্করের বোবা বউয়ের মতো চিৎকার করে উঠতে প্রত্যয়ী হবে। আবার, অন্তর হবে পুষ্প,বৃক্ষ,বিহঙ্গের প্রতি ভালবাসায় ভরপুর। মনে হয়, এমনই শিক্ষার ভাবনা আহমদ ছফা ধারণ করতেন ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপারেশন সিদুঁর বনাম অপারেশন নারায়ে তাকবীরের নেপথ্যে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:২৮


বলতে না বলতেই যুদ্ধটা শুরু হয়ে গেল। না, যুদ্ধ না বলাই ভালো—রাষ্ট্রীয় অভিনয় বলা ভালো। ভারত ও পাকিস্তান আবার সীমান্তে একে অপরকে চেঁচিয়ে বলছে, "তুই গো-মূত্রখোর ", "তোর দেশ জঙ্গি"।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেই পুরোনো সিনেমা

লিখেছেন প্রফেসর সাহেব, ০৮ ই মে, ২০২৫ রাত ১:০৮



ঘটনা হইতেছে, পাকিস্তান জ*গী পাঠাইয়া আক্রমণ করাইছে।

ভারত বলছে 'কাম কি করলি? তোর সাথে যুদ্ধ'। পাকিস্তান বলছে 'মাইরেন না মাইরেন না আমরা মারিনাই, ওই কুলাংগার জ*গীরা মারছে'

'আমরা আপনাগরে ওদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলেম কি? এ বিষয়ে বান্দার দায়িত্ব কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:১০




সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প- ৯৪

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০১



নাম তার তারা বিবি।
বয়স ৭৭ বছর। বয়সের ভাড়ে কিছুটা কুঁজো হয়ে গেছেন। সামনের পাটির দাঁত গুলো নেই। খেতে তার বেগ পেতে হয়। আমি তাকে খালা বলে ডাকি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেষমেষ লুইচ্চা হামিদও পালিয়ে গেলো!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০৩



৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতন হয় ফেসিস্ট হাসিনা ও তার দল আম্লিগের। এরপর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে দলটির চোরচোট্টা নেতাকর্মীরা। অনেক চোরচোট্টা দেশ ছাড়লেও এতদিন দেশেই ছিলো আম্লিগ সরকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×