পাকিস্তান থেকে শুধু পেয়াজ নয় আরো অনেক কিছু আমদানী করে বাংলাদেশ। বিশেষ করে চিকিৎসায় ব্যবহৃত সার্জিক্যাল সরঞ্জাম ও বৈদ্যুতিক পাখার কদর খুব বেশি এদেশে। ইদানিং দেশীয় তাত বাদ দিয়ে পাকিস্তানি থ্রিপিস, সালোয়ার-কামিজ, লন ও কুর্তায় আগ্রহ দেখাচ্ছে বাঙালি নারীরা। এর একমাত্র কারণ “কম টাকায় ভালো কোয়ালিটি”। এক ধোয়ায় কাপড়ের রং উঠে গেলে তখন এর সাথে দেশপ্রেমও ধুয়ে চলে যায়।
হা-হুতাশ না করে বরং বাংলাদেশী কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে কি না সেদিকে নজর দিতে হবে। আঠারো থেকে বিশ টাকা কেজি দরে পেয়াজ বিক্রয় করে কৃষক। আপনি কিনছেন ২৫০ টাকা করে। বাকী ২৩০ টাকা কার পকেটে যায় সে হিসেব বের করুন। এই সিন্ডিকেটের কাছে সরকারও অসহায়।
এরা কারা?
দেশে যদি ভালো বৈদ্যুতিক পাখা, জুস, অস্ত্রোপচারের সরঞ্জামের কারখানা গড়ে উঠতো তাহলে পাকিস্তান কেন, কোন দেশের উপরই আমাদের নির্ভরশীল থাকতে হতো না। এমনকি কোরবানির জন্য ভারত থেকে গরু চুরি করে আনতে হতো না।
মানুষ তো কম নেই বাংলাদেশে! মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট করা গেলে আর মানুষকে যদি প্রপারলি টেকনোলজিক্যাল ডেভেলপ করতে পারতাম, সত্যিকারের স্কিল্ড মানুষ যদি তৈরি হতো- এদেশ বিশ্বের অন্যতম সেরা ধনী দেশ হতো বলে আমি মনে করি।