গত রোজা ঈদে বাসার দুর্ধর্ষ চুরি হবার পর , এই কোরবাণী ঈদে আর দাদু বাড়িতে গিয়ে ঈদ করার সাহস হয় নি, বিশেষ করে আমার ইচ্ছে একেবারেই ছিল না। গতবারের ক্ষতির সিংহ ভাগ আমার উপর দিয়েই গিয়েছিল কিনা তাই
তবে সিলেটে আত্মীয় বলতে তেমনে কেউই থাকে না, ফ্রেন্ড অনেকেই রোজা ঈদে যায় নাই নি, কিন্তু এবার বাড়িতে গিয়েছে।
ব্লগার পিয়েল কে ফোন দিয়েছিলাম ,সে ও তার নানু বাড়িতে গিয়ে বসে আছে।
তাই মন খারাপ কি করা যায় ,দুই দিন ধরে ঘরে বসে থেকে আর ফেবু ব্লগে "পোম গানা " নিয়ে গবেষনা করে আর মন বসছিল না ।
তাই আজ দুপুরে হুট করেই মাথায় চিন্তা এলো জাফলং চলে যাবো , ঘরের কাছেই উঠানেই (মানে বাসা থেকে ৫৩ কিমি দূরে)অথচ সিলেটে আসার ৫ বছরের মধ্যে মাত্র ২ বার গেলাম। আজ নিয়ে তৃতীয় বার হল। যদিও ১৯৯৫- ২০০১ এ জৈন্তিয়া থাকার সুবাদে গিয়েছিলাম । তবে সেই জাফলং আর এখন কার জাফলং এর মধ্যে রাতদিন তফাৎ ।
প্যাচাল অনেক পাড়া হল , অনেক কম ব্লগার ই আছেন যারা এখন ও জাফলং এ আসেন নি, তবে যারা আসেন নি তাদের জন্য
কিভাবে আসবেন :
ঢাকা থেকে সিলেট বাসে করে
এসি - সোহাগ, গ্রীন লাইন ভাড়া ৫৫০>>
নন এসি - হানিফ ,শ্যামলী অথবা ইউনিক ।ভাড়া - ৪৪০
সিলেটের কদমতলী তে নেমেই সেখান থেকে সোজাসোজি বাস পাবেন । মাইক্রো কিংবা অন্যগাড়ি ভাড়া করলে খরচ পড়তে পারে ১০০০- ১২০০ এর মতো ।
এবার সোজা গাড়িতে করে চলে আসলেন আর কি
বল্লা ঘাট জাফলং
দেশের নানান প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক রা
ওরে কে কোথায় আছিস, আমার রকেট লাঞ্চার আইন্না দে, দুইটা বি এস এফ সামনে বইসা আছে। আজ ফেলানী হত্যার প্রতিশোধ নিমু
ভারতীয় সীমান্ত চৌকি।
বিজিবি এবং বি এস এফ ,পাশাপাশি, ছাতা মাথায় বিজিবি, পাশের রাইফের কাধে বি এস এফ । তাদের দায়িত্ব কেউ যাতে কারো সীমানার পার না হয়ে পড়ে । তাই পাহাড়া দেয়া । কিন্তু দেখা যায় অনেক বাংলাদেশীরাই চলে যান।
ডাউকি ব্রীজ
এমন দৃশ্য দেখার জন্য আপনার বারবারই জাফলং এ আসতে হবে । এবং সবচেয়ে ভালো হয় সেটা যদি শীতকালে এবং ছুটির সময়ে হয় ।
বি দ্র : ২ মেগা পিক্সেল এ আমার মোবাইলের ক্যামেরায় ছবি গুলো তোলা। এবং সবগুলোই আনএডিটেড। প্রাকৃতিক জিনিসের উপর রং চড়াতে আমার তেমন একটা ভালো লাগে না ।
তবুও ফেবুতে আপ্লোড করার পর আমার খালাতো ভাই একটা ছবি এডিট করেছিল
সেটা দিয়ে দিলাম
মূল এলবামের ফেবু লিঙ্ক - এলবাম লিঙ্ক
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৫