বেয়ার গ্রিল(Bear Grylls) কে একবার ইমেইল করেছিলাম, বাংলাদেশের সুন্দরবনে ম্যান ভার্সাস ওয়াইল্ড করার জন্য । ২ মাস পর উত্তর এল, আমাদের আপতত কোন আগ্রহ নেই, ইমেইলের জন্য ধন্যবাদ ।
--কিন্তু আমার মনে হয় বেয়ার অনেক ভয় পেয়েছে কারন সুন্দরবন হচ্ছে পৃথিবীর সব চাইতে বিপদসংকুল ম্যানগ্রোভ বন । এই বনে পানিতে লোনা পানির কুমির, ডাঙ্গায় মানুষ খেকো হিংস্র বাঘ আর বিশ্বের অন্যতম বিষাক্ত সব সাপের আড্ডাখানা ।
ডিসকভারী কিংবা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলও রীতিমত ভয় পায় এই বনে কোন ডকুমেন্টারী তৈরী করতে । বনের অধিকাংশ গাছের শ্বাঁসমূলের কারনে ভিতরে গাড়ী তো দূর থাকুক, মানুষই চলাচল করতে হিমসিম খায় । এছাড়াও বনে আছে ভয়ংকর সব বিচ্ছু মৌমাছির দল, কথিত আছে মৌমাছির কামড়ে অনেক মানুষ মৃত্যুবরন করেছে, আছে হাজারো রকমের পোকামাকড় তাই বেয়ারের মত সাহসীরাও পিছপা হয় ।
শুনেছি সুন্দরবনে নাকি খাদ্য সংকটের কারনে বাঘ প্রায়ই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে আর বাধে মানুষ ও বাঘের লড়াই । লড়াইয়ে বেশিরভাগ সময়ই মানুষ জয়ী হয় আর মৃত্যুবরন করে নীরিহ বাঘ । অন্যদিকে নিঝুম দ্বীপে প্রায় ২২ হাজার হরিণ খাদ্য সংকটে অনাহার ও অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে, অনেক ক্ষেত্রে এসব হরিণ গাছের বাকল খেয়ে কোন রকমে দিন পার করছে । রোগাক্রান্ত হয়ে মারাও যাচ্ছে । বিশেষজ্ঞদের মতে নিঝুম দ্বীপে ৭-৮ হাজার হরিণ এর জন্য উপযুক্ত বিচরন ভূমি ।
যদি প্রতিবছর এ দ্বীপ থেকে কিছু সংখ্যাক হরিণ সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে নিঝুম দ্বীপ ও সুন্দরবন দুটোই সংকট থেকে মুক্তি পায় । শুধু মাত্র বন অধিদপ্তর এর কয়েকটি পদক্ষেপ দরকার আর কিছুই না ।
সুন্দরবন ও দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বাঁচাতে আসুন আমরা সবাই শপথ নেই ।