মিষ্টি একটা গন্ধ রয়েছে ঘরটা জুড়ে।
কেউ না জানি এসে কারুকে না কয়ে গেছে কি ঘুরে।।
এলোমেলো করে ছড়ানো ছিল যা
কার দু’টি হাত সাজিয়ে দিল তা চিনি কি চিনি না কোথায় সে থাকে কাছে না দূরে।।
ফুলদানিটার বুক চিরে গেছে।
কী করে বলি কেন রেখে গেছে সদ্য ফোঁটানো পদ্মকলি।
পুরানো দ্বীপের কাজল মুছিয়ে নতুন শিখাটি গেছে জ্বেলে দিয়ে।
কী পেয়ে হারালো নিশি হাওয়া তাই বহে দূরে।।
[yt|
আমি ফুল না হয়ে কাঁটা হয়েই বেশ ছিলাম
জানিনা কোন ভুলে তোমার আঁচলে জড়ালাম
আমি সুখ না হয়ে দুঃখ হয়েই বেশ ছিলাম
কেন যে তোমার বুকেrর দীর্ঘশ্বাস ছড়ালাম
সকলেই অঝর ধারার বৃষ্টি কি আর হয় কেউ কেউ আগুন হয়েই সারাজীবন রয়
আমি অনেক দূরের ফাগুন হয়েই বেশ ছিলাম
কেন যে কাছে এসে তোমার মনে ছড়ালাম
চাইলে মনের মত মন কি সবাই পায়
জীবনে অনেক কিছুই শূণ্য রয়ে যায়
আমি আমার ব্যথার বোঝা নিয়েই বেশ ছিলাম।।
সম ব্যথার আশায় কেন যে হাত বাড়ালাম
আমি সুখ না হয়ে দুঃখ হয়েই বেশ ছিলাম
আমি ফুল না হয়ে কাঁটা হয়েই বেশ ছিলাম
শুধু একদিন ভালবাসা মৃত্যু যে তারপ......তাও যদি পাই আমি তাই চাই
তাও যদি পাই চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।।
যদি ও চোখে রশ্নি জ্বালো শুধু একবার.... আমি তাতেই পোড়াতে রাজি যা কিছু আমার
আমি চাই না দেখতে এই প্রানহীন চোখের পাথর ......চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার ব।।
দীপ ছিলো শিখা ছিলো শুধু তুমি ছিলে না বলে আলো জ্বললো না......
ভাষা ছিলো কথা ছিলো কাছে ডাকলে না বলে মন কথা বললো না ...... ঝর্না কেমনে হয় নদী ...
সাগর না ডাকে কভু যদি ,তাই যেতে যেতে থামলো সে ...বয়ে চললো ,না কাছে ডাকলে্ ,না বলে মন কথা বললো না ...
বুক ভরা আশা নিয়ে মন আমার শুধু শুধু কাছে এলো ...পারলো না দিতে কিছু উপহার
যে মালার ফুল গেছে ঝরে ...।। রেখেছি সে ফুল বুকে করে তাই এই ফুল রয়ে গেলো
ক’ফোটা চোখের জল ফেলেছো যে তুমি ভালোবাসবে...
পথের কাঁটায় পায়ে রক্ত না ঝড়ালে কি করে এখানে তুমি আসবে ...
কত রাত কাটিয়েছো জেগে...। স্বপ্নের মিথ্যে আবেগে ।।
কি এমন দুঃখকে সয়েছো যে তুমি এত সহজেই হাসবে ...!!
পথের কাঁটায় পায়ে রক্ত না ঝড়ালে কি করে এখানে তুমি আসবে ক’ফোটা চোখের জল ফেলেছো যে তুমি হাজার কাজের ভিড়ে সময় তো হয়নি তোমার শোনোনিতো কান পেতে অস্ফুট কোনো কথা তার ।।
|
তুমি নিজের মুখেই বললে যেদিন সবই তোমার অভিনয় সত্যি কোনো কিছু নয় ......
আমি দুঃখ পেলেও খুশি হলাম জেনে
আমি মানুষ চেয়েই করেছিলাম ভুল।।
তুমি ছিলে শুধু রঙ করা পুতুল .........
আমার ভুল ভাঙাতে ধূলো হয়ে পড়লে যে তাই ভেঙে
আমি দুঃখ পেলেও খুশি হলাম জেনে ।।
দুঃখ আমাকে দুঃখী করেনি,করেছে রাজার রাজা ও রানী সাহেবা বিদায় এবার
তোমার সাঁজ ঘরে রাজা সাজবো না আর তুমি নকল পোশাক পরিয়ে আমাকে অনেক দিয়েছ সাজা।
তোমার নাঠ মন্দিরে যাত্রা আসরে তুমি চিকের আরালে ছিলে
সেদিন রাজার ভুমিকা ছিলো যে আমার ......
সত্যি ভেবে তা নিলে ......
তাই মখমলে ঢাকা রুপোর থালায় আসরের মাঝে পাঠালে আমায় একটি গোলাপ তাজা
ও রানী সাহেবা বিদায় এবার .........
তোমার সাঁজ ঘরে রাজা সাজবো না তুমি নকল পোশাক পরিয়ে আমাকে অনেক দিয়েছ সাজা।
জানি না কি পেলে তুমি এ খেলাতে....সুখেরই ছবিটি ছিড়ে ফেলাতে
জানি না তোমাকে আমি কি দিয়েছি ..নিজে চেয়েছি কী-বা পেয়েছি
চোখেরই জলেতে মুক্তো যে ধরেছি।।
[yt|https://www.youtube.com/watch?v=TqUf0wttzE8|
সেই তো আবার কাছে এলে... এতদিন দূরে থেকে বলনা কি সুখ তুমি পেলে !
এ কেমন ভালবাসা কে জানে কি ভেবে গো ব্যথা দিলে এ প্রাণে
নিজ হাতে মনি দ্বীপ নিভায়ে... আবার নিজে দিলে জ্বেলে
তুমি তো আমায় ভাল চেনো...তুমি ছাড়া কোন গান ভাবতেও পারিনা তা জেনো।
তবু যদি ভাব সবই ছলনা... সেই কথা মুখে কেন বলনা।
ঝরা মালা কেন দাও পরায়ে.... খুলিতে দাও না তারে ফেলে
[yt|[link|https://www.youtube.com/watch?v=RM4wfG2gkKw#t=60|]
হয়তো তোমারি জন্য হয়েছি প্রেমে যে বন্য ,জানি তুমি অনন্য ...
আশার হাত বাড়ায়ে যদি কখনো ...এ প্রান্তে চেয়েছি তোমায় জানতে
শুরু থেকে শেষ প্রান্তে ছুটে ছুটে গেছি তাই।।
আমি যে নিজেই মত্ত ......জানি না তোমার শর্ত যদি বা ঘটে অনর্থ তবুও তোমারে চাই।
আমি যে দুরন্ত দু’চোখে অনন্ত ঝড়ের দিগন্ত জুড়েই স্বপ্ন ছড়াই ।।
তুমি তো বলনি মন্দ তবু কেন প্রতিবন্ধ রেখোনা মনের দ্বন্দ সব ছেড়ে চলো যাই।।
যদি হিমালয় আল্পসের সমস্ত জমাট বরফ একদিন গলেও যায়, তবুও তুমি আমার
যদি নায়াগ্রা জলপ্রপাত একদিন সাহারের কাছে চলেও যায় তবুও তুমি আমার।
যদি প্রশান্ত মহাসাগরে একফোটা জল আর নাও থাকে
যদি গঙ্গা-ভলগা-হোয়াংহো নিজেদের শুকিয়েও রাখে
যদি ভিসুভিয়াস-ফুজিয়ামা একদিন জ্বলতে জ্বলতে জ্বলেও যায় তবুও তুমি আমার।
সবাই তো সুখী হতে চায় তবু কেউ সুখী হয়, কেউ হয়না।
জানিনা বলে যা লোকে সত্যি কিনা? কপালে সবার নাকি সুখ সয় না।।
সবাই তো সুখী হতে চায় ......।
আশায় আশায় তবু এই আমি থাকি, যদি আসে কোনোদিন সেই সুখপাখি ।।
এই চেয়ে থাকা আর প্রাণে সয় না...... সবাই তো সুখী হতে চায়
ভালোবেসে সুখী হতে বলো কে না চায়?
রাধা সুখী হয়েছিল সেই শ্যাম রায়। ।
আমিও রাধার মতো ভালোবেসে যাবো, হয় কিছু পাবো নয় সবই হারাবো
এই চেয়ে থাকা আর প্রাণে সয় না।।
[/si
তুমি অনেক যত্ন করে আমায় দুঃখ দিতে চেয়েছো
দিতে পারনি
কি তার জবাব দেবে যদি বলি আমি কি হেরেছি !?
তুমিও কি একটুও হারোনি ।
সবুজ পাতাকে ছিড়ে ফেলেছো – ফুলেতে আগুন তুমি জ্বেলেছো
ফাগুনের সব কেড়ে নিয়েছো – স্মৃতিটুকু তার কেন কাড়নি।
কি তার জবাব দেবে যদি বলি আমি কি হেরেছি !?
তুমিও কি একটুও হারোনি ।
অন্তরে আলো জ্বেলে রেখে – দৃষ্টিকে গেছ শুধু আঁধারেতে ঢেকে
নিজেকে প্রশ্ন করে দেখনা
যার নাম তুমি আর লিখনা
কেন তাকে ধরে আছো হৃদয়ে
কণাটুকু তার কেন কাড়োনি
তুমিও কি একটুও হারনি।।
মান্না দে , আমার বাবার প্রিয় শিল্পী ।ছোট বেলায় মান্না দে ,হেমন্ত শুনতে শুন্তেই বড় হয়েছি ।ছুটির দিন মানেই ছিলো আমাদের ঈদ । আব্বু সকালে বাজার যেতেন , আর আমার পছন্দের সব কিনে এনে আম্মুকে বলত এগুলো আজকেই রান্না হবে ফ্রিজে ঢুকবে না , আম্মু পারবো না আমি একসাথে এতো রাঁধতে বলেও ঠিক ই সব রাঁধতেন !!! আব্বু জুম্মার নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার আগেই রান্না শেষ করে সব টেবিলে !!! একসাথে সবাই খেয়ে বিশ্রাম । আব্বু ক্যাসেট প্লেয়ার গান চালিয়ে দিয়ে আম্মুর সাথে গল্প করতেন ,আর আমরা দুই বোন তাদের মাঝে শুয়ে গান শুনতাম আর একেক লাইনের মানে জানতে চাইতাম ( মনে মনে ভাবতাম আব্বু আম্মু ত হাসছে কিন্তু গান ত দুংখের !! ) আজ ও এতগুলো বছর পর এসে প্রায় গান গুলো মাথার ভিতর বাজতে থাকে !! সৃতিরা জীবন্ত হয়ে নতুন করে বাঁচার অনুপ্রেরনা জাগায় , জীবনকে ভালোবাসতে সেখায় ............। সেই দিনগুলি খুব মিস করি , যেখানে অর্থ সম্পদের প্রাচুর্য ছিল না হয়ত ,দামী খেলনা ভিডিও গেম কিনে দিতে পারেন নি তার চাকুরীর সীমিত আয়ে , কিন্তু সুখ প্রাচুর্যের কোন অভাব ছিল না । নিজের অর্থনৈতিক সিমাবদ্ধ্যতার কথা অকপটে আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন । আমরাও শিখেছি সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করতে , তুষ্ট হতে ! আমার সন্তান না চাইতেই সব পাচ্ছে , যে ভিডিও গেম এর জন্য গোপন দুঃখবোধ কাজ করত একসময় আমার ,আমার সন্তানের সেই গেম এর প্রতি কোন স্পৃহা নেই ।তাদের হাতে ট্যাবলেট ,আইপ্যাড !! সময়ের সাথে সাথে চাহিদা বদলে গেছে !!! বদলেই যায় ...।চাহিদার কোন শেষ নেই ।।!!! কিন্তু সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের ভালোবাসা বদলায় না !!! দুই যুগ আগের বাবা মা যেমন সন্তানের সুখ চাইতেন সবার আগে ,এখনের বাবা মা রাও তাই চায় !!! কিন্তু ভালোবাসার ধরন বদলে গেছে ,সবকিছু বস্তুগত হয়ে গেছে !!!!! সন্তানের সব চাহিদা পুরন করার নাম ভালোবাসা নয় , ভালোবাসা থাকে বাবা মায়ের মাঝে অল্প একটু জায়গায় কুণ্ডলী পাকিয়ে ঘুমিয়ে থাকায় ......। অই অল্প এক্তু জায়াগায় যে সন্তান ঘুমোতে পারে , সে পৃথিবীর সকল অন্ধকার অপূর্ণতাকেই নিজ আলোয় পূর্ণতা দিতে পারে বলেই আমার বিশ্বাস ।। সেই পৃথিবীর সৌভাগ্যবান ব্যক্তি ,লাখ কোটি টাকার মারসিডিস ডিএমডাব্লিওর মালিকেররাও তার কাছে নস্যি !!!! বাবা মায়েরা নিজেরা যতদিন এই ধ্রুব সত্য উপলব্ধি করতে না পারবে , ততদিন কোনভাবেই তাদের সন্তানের চাহিদাও তারা পূরণ করতে পারবে না ।
সকাল থেকেই মনটা খুব বিক্ষিপ্ত হয়ে ছিল ...।। কিছুতেই হিসেব মেলাতে পারছিলাম না ...১৭/১৮ বছর বয়সী একটা সন্তান কি করে ভাবতে পারে তার বাবা মায়ের মৃত্যু র কথা !!!! কি করে সম্ভব সন্তানের পক্ষে বাবা মায়ের গায়ে আগুন দেওয়া !!!!
এখন ও সময় আছে আমাদের সচেতন হউয়ার , সন্তানের নিশ্চিত ভবিষ্যৎ , প্রয়োজনীয়তা মেটানোর জন্য অর্থ আবশ্যক । অস্বীকার করবার কিছু নেই ...তবে সেই অর্থ ই সকল অনর্থের মূল হয়ে যাবে যদি না আমরা তাদের আমাদের অলস দুপুরের ভালোবাসার মাঝে কুণ্ডলী পাকিয়ে ঘুমতে দিতে না পারি !! এই স্পর্শ মাখা সময় গুলো অনেক বেশী জরুরী !!জীবনকে বুঝতে , বেঁচে থাকতে ...বাঁচিয়ে রাখতে
(অনেকদিন কোন পোস্ট দেওয়া হয় না । ইনফ্যাক্ট বহুদিন বাদেই লগ ইন হতে পেরেছি ...সেই উপলক্ষে নিছক ই একটা গান পোস্ট দেবার জন্য গত ১৭ সেপ্টেম্বার লিখেছিলাম ,এডিট করার আলসেমিতে দেওয়া হয়নি ।নিচের কথাগুলো আজ লিখতে বাধ্য হলাম । নিজেকে নিজেই একরকম আশারবানী সান্তনা হয়ত !!! নিরাশ হতে চাইনা ............।।
বিঃদ্র; --- কাল্পনিক ভালোবাসা কে ধন্যবাদ । ছেলেটা মডু হলেও কিন্তু বেশ ভালো
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩