হিন্দুশাস্ত্রে নয় প্রকার কন্যার উল্লেখ আছে। যেমন নটী, কাপালিকী, বেশ্যা, রজকী, নাপিতাঙ্গনা, ব্রাহ্মণী, শূদ্রকন্যা, গোপালকন্যা ও মালাকারকন্যা। আবার বাচস্পত্য অভিধানে অহল্যা, দ্রৌপদী, কুন্তী, তারা ও মন্দোদরী - এ পাঁচজন পঞ্চকন্যা নামে অভিহিত হয়েছেন।
প্রাচীন বাংলায় কন্যা শব্দটির বানান ছিল ‘কণ্যা’ ।
জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস কন্যা শব্দের অর্থে লিখেছেন ‘যে স্ত্রী পতি কামনা করে’।
সাধারণ অর্থে কন্যা মানে দুহিতা, মেয়ে, অবিবাহিতা কুমারী (কন্যা পাবে কুতুলে, তুমি পাবে দানফল - কবিকঙ্কন চণ্ডী; কন্যা আছে চোখ বিধুঁনী, দিলাম তোমার দান; সারাটি পালঙ্ক বেড়ি দলমল ঢলে কন্যার মাথার এলোকেশ - দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার; জল ভরিতে যাও গো কন্যা তিন সন্ধ্যা বেলা - পূর্ববঙ্গ গীতিকা; কি করিলে আমরা দেশের উপযুক্ত কন্যা হইব? - বেগম রোকেয়া; ব্রাহ্মণ বলেন কন্যা কর অবধান - ক্ষেমানন্দ দাস; কন্যাকে গোছল দিল বিরল সুস্থলে - দৌলত উজির বাহরাম খান; কিন্তু ফকীরের রাজকন্যা লাভের বাসনা যে বামনের চাঁদ ধরার আশার মত নিতান্তই অলীক - শেখ ফজলল করিম; ঘরের বাহির হইলে জানিতে কারণ। প্রখর নূপুর দিয়া কন্যার চরণ - দৌলত উজির বাহরাম খান; সেই কন্যা হৈল জান মুখ্য পাটেশ্বরী - সৈয়দ আলাওল; মনের গুমর কন্যা মনে লুকাইয়া গোয়ালিনীর কাছে কয় হাসিয়া হাসিয়া - মৈমনসিংহ গীতিকা)।
খনার বচনে কন্যা মানে আশ্বিন মাস। অন্যদিকে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ঘৃতকুমারী, বড় এলাচী (স্থূলৈলা), পতিত কাঁকড়ী, কাঁকরোলকে (বন্ধ্যা কর্কটচী) কন্যা বলা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩৫