ন্যায়বিচার আমাদের মাঝ থেকে উঠে গেছে বহু পুর্বেই। মানবিকতা থেকে বহু দূরে ছিটকে পরেছি আমরা। আমাদের সমাজের বাসিন্দারা দেখতে ঠিক মানুষের মত। তাদের রয়েছে মানুষের মত সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ । কিন্তু অবিকল মানুষের মত হলেও মানুষের একটি অঙ্গ তাদের শরীরে অনুপুস্থিত। আপনারা কি জানেন সেই অঙ্গটির নাম কি? সেটি হল হৃদয়। তাইতো আমরা মানুষের মত সবকিছু করতে পারলেও পারি না ভালবাসতে। গোলাপের টকটকে লাল রঙকে আমরা রক্তের লাল রঙ ভেবে ভুল করি।
ন্যায়বিচার আমাদের মাঝ থেকে উঠে গেছে বহু পুর্বে। আজ আমরা ঘুমিয়ে যখন স্বপ্ন দেখি তখনও ন্যায়বিচার দেখতে নিয়ে দেখে ফেলি অবিচার। আমাদের সমাজটা আজ পুকুরের মত। পুকুরের বড় বড় শৌল, বোয়াল আর গজার মাছগুলো ছোট মাছগুলোকে সর্বদাই তাড়া করে ফিরে। যখনই সুযোগ পায় তখনই চালান করে দেয় পেটের মধ্যে। আমাদের সমাজপতিদের অবস্থাও আজ পুকুরের রাক্ষুসে মাছের মতই ভয়ঙ্কর।
ফিরে আসি ন্যায়বিচারের কথায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত ২৫ জন ফাঁসির আসামিকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমার ছলে মুক্ত করা হয়েছে। আর এ ২৫ জনের মধ্যে ২১ জনই মুক্তি পেয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। তাও আবার ২০০৯ থেকে ২০১৫ এর মধ্যে। এছাড়াও হাজার হাজার চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। আর এর বদৌলতে আওয়ামী লীগের গুম খুনের রাজনীতি অনেকটাই সহজ হয়েছে। আর সুবিশাল অট্টালিকা করার সুযোগ পেয়েছে আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতারা।
কিন্তু এতেও তুষ্ট হতে পারেনি তারা। কারন পুরোপুরি অবিচার প্রতিষ্ঠা আর নিজেদের পকেট ভারী করা যাদের উদ্দেশ্য তারা কি অর্ধেক পথ এসে থেমে যেতে পারে। না, তা হয় নি। তাদের দৃষ্টি পরেছে সেসব লোকদের উপর যারা কিছুটা হলেও ন্যায় বিচার প্রতষ্ঠার দিকে এগিয়ে গিয়েছিল। খুনের নেশায় মাতাল হয়ে উঠল আওয়ামী লীগের নেতারা। একে একে ফাঁসি দেয়া হল তিনজন আদর্শবান ইসলামী আন্দোলনের নেতাকে। শহীদের পবিত্র রক্তে প্লাবিত হল বাংলার যমীন। আর অন্যায় হত্যাকান্ডের প্রতক্ষ স্বাক্ষী হয়ে পরে রইল কেন্দ্রীয় কারাগারের অসংখ্য মাটির কনা।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। কারন রক্তে রঞ্জিত যমীন দেখা যাদের পেশা নয় বরং নেশা তারা খুব সহজে থেমে যাবে এটা হতে পারে না। তাই তাদের জিঘাংসায় পরিপূর্ন হাত এবার নেমে এল আমাদের অন্যতম দায়ীত্বশীল মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর দিকে। তার একমাত্র অপরাধ তিনি বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে বর্তমান যুগেও পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্ত থেকে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা সম্ভব।
হয়ত আরও একটি খুন ঝরে পরবে বাংলার যমীনে। আবার জালিমের হাত রঞ্জিত হবে শহীদের পবিত্র রক্তে। আর সেই রক্তের দিকে তাকিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলবে হায়ানার দল। কিন্তু ইসলামী আন্দোলন এখানে থেমে যাবে না ইনশাআল্লাহ।
কারন আল্লাহ বলেন, “তারা নিজেদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নুরকে নিভিয়ে দিতে চায়। কিন্তু আল্লাহর ফয়সালা হল তিনি তার নুরকে পূর্নরূপে বিকশিত করবেন। ফাদেকদের কাছে তা যতই অসহনীয় হোক না কেন।”
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩২