সংবাদপত্র বা খবরের কাগজ হল একটি লিখিত প্রকাশনা যার মধ্যে থাকে খবর, তথ্য এবং বিজ্ঞাপন এবং যা সাধারণ ভাবে স্বল্প-মূল্যের কাগজে মুদ্রণ করা হয়, যাকে নিউজপ্রিন্ট বলা হয়। আর ঢাকা শহরের বাইরে থেকে যেসব দৈনিক, সাপ্তাহিক ,পাকি, মাসিক পত্রিকা বের হয় সেসবই হচ্ছে মফস্বল সংবাদপত্র। সমাজের ভেতর থেকে সংবাদকে বের করে আনে এসব সংবাদপত্র। সমাজ পরিবর্তনে যা অগ্রগণ্য ভুমিকা পালন করে। সংবাদপত্র হলো একটি জাতির দর্পণ। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি জনমত। এই জনমত প্রকাশের অবাধ অধিকার থাকতে হবে। যেন জনগণ ইচ্ছামত সরকারের পে বা বিপে মতামত প্রকাশ করতে পারে। এতে কেউ বাধা দিতে পারে না। কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান কিংবা সরকার ভুল করলে সাংবাদিকরা সত্য বিষয়টি লিখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেন। আর এভাবে জনমত তৈরিতে ভূমিকা রাখে সংবাদপত্র। এটি সংবাদপত্রের অধিকার এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা। ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার বলেছেন, ‘তোমার মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি, কিন্তু তোমার মতামত প্রকাশের অধিকার আমি জীবন দিয়ে হলেও রা করব।’
ফিরে দেখা অতীত:
প্রাচীন ভারতে কোন সংবাদপত্র ছিল না। তখন সরকারি কর্মচারীরা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে রাজার আদালতে হবংিঢ়ধঢ়বৎ প্রেরণ করত। এগুলো মুদ্রিত ছিল না এবং জনগণের সম্মুখে প্রকাশ করা হত না। বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের সূত্রপাতের সঙ্গে সঙ্গেই সাময়িক পত্রের প্রচলন শুরু হয়। বাঙালী মধ্যবিত্ত সমাজের আত্মপ্রকাশের বাহন হচ্ছে গদ্য সাহিত্য। আর গদ্য অবলম্বনে প্রচারিত বলে সাময়িক পত্রগুলো মধ্যবিত্ত সমাজের বাহন হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের প্রথম মুদ্রিত সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেট ইংরেজি সাময়িক পত্রটি জেমস আগাস্টাস হিকি কর্তৃক ১৭৮০ সালের ২৯ জানুয়ারি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। সংবাদপত্র প্রকাশের ব্যাপারে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সন্তুষ্ট ছিল না। এটি কোম্পানির বিঘোষিত নীতি ও শাসন পদ্ধতি এবং কর্তৃপীয় ব্যক্তিদের কার্যকলাপকে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলছিল। ফলে লর্ড ওয়েলেসলি সংবাদপত্র শাসনের উদ্দেশ্যে ১৭৯৯ সালে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সঙ্কোচন করে কঠোর সেন্সর ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। এই ব্যবস্থায় সকল সংবাদপত্র সেক্রেটারি কর্তৃক পরীতি হয়ে প্রকাশিত হত এবং নিয়ম লঙ্ঘনকারীকে ইউরোপে নির্বাসন দেওয়া হত। গভর্নর জেনারেল লর্ড হেস্টিংস ১৮১৮ সালের আগস্ট মাসে এই ব্যবস্থা রহিত করেন। এর তিনমাস পূর্বে প্রথম বাংলা সাময়িকপত্র সমাচার দর্পণ প্রকাশিত হয়।
সমাচার দর্পণ হল প্রথম বাংলা সংবাদপত্র যা জে.সি. মার্শম্যানের সম্পাদনায় শ্রীরামপুর খ্রিস্টান মিশন থেকে ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়। জন মার্শম্যান নামে মাত্র সম্পাদক থাকলেও বাঙালি পণ্ডিতরাই আসলে সমাচার দর্পণ সম্পাদনা করতেন। পরবর্তীকালে এই পত্রিকাটি সপ্তাহে দুবার প্রকাশিত হত। জয়গোপাল তর্কালঙ্কার বাংলা সংবাদ রচনা ও সংকলনে সম্পাদককে সহায়তা করতেন বলে তা উন্নতমানের সংবাদপত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে সমর্থ হয়েছিল। সংবাদ, ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক বিষয়াদি এতে স্থান পেত। পত্রিকায় নিয়মিত সাতটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হত। যথা- সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংবাদ, সরকারি বিজ্ঞপ্তি, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সংবাদ, জন্ম, মৃত্যু ও বিবাহের সংবাদ, নতুন নতুন বিষয়াবলী এবং ভারতের ইতিহাস-ঐতিহ্য। পত্রিকাটি যদিও খ্রিস্টান মিশন কর্তৃক প্রকাশিত হত কিন্তু এতে ধর্মীয় গোঁড়ামী ছিল না। এটা ভারতের হিন্দুদের সংবাদ এবং ধর্মীয় উৎসব, সামাজিক বিষয়াবলী এবং সাহিত্য সংক্রান্ত বিষয় প্রকাশ করত। ফলে পত্রিকাটি শিতি সমাজের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে সম হয়। সে আমলে প্রগতিশীল পত্রিকা হিসেবে এর বিশেষ গুরুত্ব ছিল। সমাচার দর্পণের ভাষায় সরলতা ছিল এবং লেখায় তথ্যবোধ ও মাত্রাজ্ঞান ল্য করা যায়। ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পত্রিকাটি অস্তিত্ব রা করেছিল। ১৮৩১ সালে সাপ্তাহিকরূপে প্রকাশিত হয় ‘সংবাদপ্রভাকর’ যার সম্পাদক নিযুক্ত হন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম লেখক ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত। একই বছরে প্রকাশ করা হয়েছিল ‘জ্ঞানান্বেষণ’ পত্রিকা যার সম্পাদক হন গৌরিশংকর তর্কবাগীশ। আবার সেকালে প্রকাশিত সংবাদভাস্কর,মধ্যস্থ প্রভৃতি পত্রিকা সে যুগের সমাজ চিত্রকে তুলে ধরতে সম হয়। আর এভাবেই বাংলা সংবাদপত্র যুগের সূচনাটা হয়। যা আর কোনদিন পথ ভুল করেনি। তবে ব্যতিক্রম একটি বিষয় ল্য করা যায় যে, ১৮৩১ সালের ৭ মার্চ বাঙালি মুসলমান সম্পাদক কর্তৃক বাংলা ফার্সি দ্বিভাষিক সাময়িকপত্র ‘সমাচার সভা রাজেন্দ্র’ প্রকাশিত হয়। এর সম্পাদক ছিলেন শেখ আলীমুল্লাহ।
বাংলাদেশে প্রথম সংবাদপত্র:
'রংপুর বার্তাবহ' পূর্ববঙ্গে (বাংলাদেশ) প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র ৷ ১৮৪৭ সালের আগষ্ট মাসে রংপুরের কুণ্ডি পরগণার জমিদার কালীচন্দ্র রায় চৌধুরীর উদ্যোগে এবং আর্থিক সহায়তায় পত্রিকাটির প্রকাশ শুরু হয় ৷ গুরুচরণ রায় এই মফঃস্বল সংবাদপত্রটির প্রথম সম্পাদক ৷ স্বাভাবিকভাবেই তিনি বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্রের প্রথম সম্পাদক ৷ প্রায় এক দশক পর ১৮৫৬ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকা থেকে ইংরেজি ভাষায় প্রথম সাপ্তাহিক 'ঢাকা নিউজ' প্রকাশিত হয় ৷১৮৬০ সালের এপ্রিলে কাকিনীয়ার জমিদার শম্ভুচন্দ্র রায় চৌধুরীর উদ্যোগে ও আর্থিক সহায়তায় এবং মধুসুদন ভট্টাচার্য'র সম্পাদনায় রংপুর থেকে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত দ্বিতীয় সংবাদপত্র 'রংপুর দিকপ্রকাশ' ৷১৮৬১ সালে কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের সম্পাদনায় ঢাকা থেকে সাপ্তাহিক 'ঢাকা প্রকাশ' প্রকাশিত হয় ৷ পত্রিকাটি প্রতি বৃহস্পতিবার বাবুবাজারের 'বাঙ্গলা যন্ত্র' থেকে আট পৃষ্টার ২৫০ কপি প্রকাশিত হতো ৷
মফস্বল সংবাদদাতা:
বাংলাদেশকে আধুনিক রাষ্ট্রে কিংবা বাসযোগ্য একটি দেশে রূপান্তরের যে প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে অনেক আগেই তাতে সংখ্যায় খুব বেশি না হলেও মফস্বল সাংবাদিক বা সংবাদদাতা এবং মফস্বল সংবাদপত্রের অবদান কম নয়। ব্যাপারটি হয়তো অনেকের অগোচরে থেকে যেতে পারে। একটু মনোসংযোগ করলে আমরা বুঝতে পারবো মফস্বল সাংবাদিকরা নিজ নিজ এলাকার অবহেলিত, অনুন্নত, উন্নয়ন-বঞ্চিত জনপদের মুখপাত্রের মতো কাজ করেন।
খুন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, কুসংস্কার, একঘরে করে রাখা, দোররা মারা, ফতোয়াবাজি, বলাৎকার, চাঁদাবাজি, অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজে অনিয়ম-দুর্নীতি, অশিা, অপচিকিৎসা, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন, বাল্যবিয়ে, বহুবিয়ে, সহজ-সরল গ্রামের মানুষের সঙ্গে নানান প্রতারণা, জবর দখল, সন্ত্রাস, দলাদলি, অগ্নিকাণ্ড, পাহাড়ধস, সার সংকট, মঙ্গা, নদীভাঙন, বন্যা, খরা, দুর্ভি, মহামারি, ঘূর্ণিঝড়, বিদ্যুতের লোডশেডিং ইত্যাদির শিকার হওয়া মানুষগুলোর পে কথা বলাই প্রমাণ করে মফস্বল সাংবাদিকরা বা সংবাদপত্র নিজ নিজ সমাজের-জনপদের মুখপাত্র। এসব লিখতে গিয়ে অনেক সময় সুবিধাবাদী-স্বার্থান্ধ রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আমলার মিথ্যে মামলা আর নির্বিচার হামলার শিকার হতে হয় সাংবাদিকদের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা পথ চলেন আর কাজ করেন। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বললেই কারও না কারও বিপে যায় সংবাদ, কারও স্বার্থে লাগে আঘাত।
তাঁরা সবসময় শুধু দুঃসংবাদগুলোই জাতির সামনে তুলে ধরেন তা নয়। ইদানীং আমরা দেখছি প্রতিদিন কাগজের পাতায় উঠে আসছে অনেক ইতিবাচক-সাফল্যের সংবাদও। মাছ-মাশরুমচাষ, মুরগি-হাঁস-গবাদিপশুর খামার, ফলদবাগান করে কিংবা পাটি বানিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার কাহিনীগুলো আমার কাছে আলাদীনের চেরাগের চেয়েও বেশি মূল্যবান মনে হয়। কারণ দেশে যে হারে মানুষ, অভাব-অভিযোগ-অনিয়ম, বেকার, দুর্নীতি বাড়ছে তাতে একটি ইতিবাচক খবর আরও অনেকের বন্ধ চোখ খুলে দিতে সাহায্য করে।
সাংবাদিকতার পেশাটা নিঃসন্দেহে একটি মহান পেশা। সমাজের গুরু দায়িত্ব আর দেশের কল্যাণে নিয়োজিত থাকেন সকল সাংবাদিক। জেলা কিংবা উপজেলা সংবাদদাতা নিয়োগ দিতে হবে প্রকৃত যোগ্যতার ভিত্তিতে।
এখন সময় এসেছে মফস্বল সাংবাদিকদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। প্রথমত, তাঁদের পেশাগত দতা আরও বাড়াতে হবে। কারণ তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে অনেক মফস্বল সাংবাদিক ছবি তুলছেন ডিজিটাল ক্যামেরায়, নিজ নিজ কার্যালয়ে নিউজ পাঠাচ্ছেন কম্পিউটার কম্পোজ করে ইন্টারনেটে-ইমেলে। পুরোনো হয়ে যাচ্ছে ডাক-কুরিয়ারে বা বাহকের মাধ্যমে প্যাকেট পাঠানো, ফ্যাক্স করা কিংবা টেলিফোনে খবর দেওয়া। এ েেত্র বলে রাখা ভালো, যে যত বেশি প্রযুক্তির ব্যবহার আয়ত্তে আনতে পারবেন তিনি তত বেশি সাফল্য দেখাতে পারবেন। সাংবাদিকদের পেশাগত সংগঠন-প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যাপারে দৃষ্টান্তমূলক আবদান রাখতে পারে। কীভাবে? কর্মশালার মাধ্যমে হাতে-কলমে প্রশিণ দিয়ে। আর সফস্বল সাংবাদিকদের দিকেও তাকাতে হবে আমাদের। মফস্বলের জন্য আলাদা ওয়েজ বোর্ড তৈরি, প্রতিটি সংবাদপত্রের জন্য শুধু নিজস্ব সাংবাদিক-শ্রমিক ইউনিয়ন এবং মফস্বল পত্রিকার জন্য পৃথক মজুরি কাঠামো তৈরি করার বিশেষ প্রয়োজন।
মফস্বল সংবাদপত্র:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন এলাকায় সংবাদপত্র প্রকাশ হয়েছে জোর গতিতে। বাংলাদেশের মানুষ সংবাদপত্রকে একান্ত আপন করে নিতে শিখেছে ঠিক তখন থেকেই। এমন বেশ কয়েকটি জেলা রয়েছে যেখানে আগের সংবাদপত্রের প্রকাশনা ফিরিয়ে আনা যায়নি, আর বর্তমানেও কোন দৈনিক বের হয় না। কিন্তু মানুষ সংবাদ শুনতে ভালোবাসেন পড়তে ভালোবাসেন। জাতীয় পত্রিকায় কিংবা আঞ্চলিক পত্রিকার খবর এলাকা বা মফস্বলের খবর বেশ মনযোগের সাথে পাঠ করেন পত্রিকার পাঠককূল। মফস্বল নিয়ে দূর্বলতা রয়েছে খোদ রাজধানী বা শহরের যে কোন শিতি গোষ্ঠীরই। সমসাময়িক খবর আমরা পাই দ্রুতভাবেই। মফস্বল সংবাদপত্রের মাধ্যমে। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় দুই থেকে তিনটি করে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা বের হয়। যা আমাদের জন্য অতি গর্বের। এর একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো এখানে,
বরিশাল থেকে বের হয় দৈনিক আমাদের প্রতিদিন, দৈনিক কলমিকণ্ঠ, আজকের বার্তা, বরিশাল বার্তা, দণিাঞ্চল, দৈনিক মতবাদ, আজকের পরিবর্তন, দৈনিক শাহনামা, কীর্তনখোলা, চন্দ্রদ্বীপ। টাঙ্গাইল থেকে বের হয় দৈনিক মফস্বল, দৈনিক দেশ কথা, দৈনিক মজলুমের কণ্ঠ, দৈনিক নাগরিক কথা, দৈনিক প্রগতির আলো, দৈনিক কালের স্রোত সাপ্তাহিক টাঙ্গাইল বার্তা, সাপ্তাহিক খামোশ, সাপ্তাহিক মৌবাজার, সাপ্তাহিক পূর্বাকাশ, সাপ্তাহিক জনতার কণ্ঠ। নারায়ণগঞ্জ থেকে বের হয় দৈনিক শীতল্যা, খবরের পাতা, সাপ্তাহিক সকাল বার্তা, গণডাক। ময়মনসিংহ থেকে বের হয় দৈনিক জাহান (প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক ও সম্পাদক এম হাবিবুর রহমান শেখ) সাপ্তাহিক ময়মনসিংহ বার্তা, আজকের মুক্তাগাছা। নেত্রকোণা থেকে প্রকাশিত হয় দৈনিক বাংলার দর্পণ, পাকি আকসার, পাকি চেতনা, পাকি স্পন্দন, পাকি স্মৃতি ৭১, পাকি বিজয়, পাকি সৃজনী, পাকি মাটির সুবাস। কিশোরগঞ্জ থেকে প্রকাশিত হয় দৈনিক আজকের দেশ, দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠ, সাপ্তাহিক আলোর মেলা, দৈনিক সারাদিন, দৈনিক নরসুন্ধা। শেরপুর থেকে বের হয় সাপ্তাহিক শেরপুর, সাপ্তাহিক দাশখানিয়া, সাপ্তাহিক চলতি খবর। নরসিংদী থেকে বের হয় দৈনিক গ্রামীন দর্পণ, দৈনিক উত্তাপ, দৈনিক নরসিংদীর বাণী, সাপ্তাহিক অতিক্রম, সাপ্তাহিক খোরাক, সাপ্তাহিক নরসিংদীর খবর, সাপ্তাহিক সরসিংদীর কণ্ঠ, সাপ্তাহিক নরসিংদীর সংবাদ, সাপ্তাহিক নরসিংদীর প্রোপট, সাপ্তাহিক নরসিংদীর কথা, সাপ্তাহিক নরসিংদীর বার্তা । মুন্সিগঞ্জ থেকে বের হয় সাপ্তাহিক কড়চা, সাপ্তাহিক আলোর বাণী, সাপ্তাহিক মানিকগঞ্জের খবর, সাপ্তাহিক আবাবিল। ফরিদপুর থেকে বের হয় জাগরণ, বুদ্ধিযুদ্ধ, জনমন, চাষী বার্তা, আল মুয়াজ্জেন, ইদানিং, দৈনিক ঠিকানা, দৈনিক ভোরের রানার, প্রগতির দিন, দৈনিক ফরিদপুর। রাজবাড়ী থেকে বের হয় মাটির কণ্ঠ, গতকাল, পাংশা বার্তা,পদ্মা বার্তা, অনুসন্ধান, সহজ কথা, রাজবাড়ী কণ্ঠ। মাদারীপুর থেকে বের হয় দৈনিক বিশ্লেষণ, দৈনিক সুবর্ণগ্রাম, দৈনিক সুবার্তা, দৈনিক শরিয়তুল্লাহ, দৈনিক ইশারা। শরিয়তপুর থেকে বের হয় দৈনিক হুংকার, সাপ্তাহিক মুক্ত কণ্ঠ, সাপ্তাহিক সেতু, সাপ্তাহিক সপ্তপল্লী সমাচার। পাবনা থেকে বের হয় দৈনিক ইছামতি, দৈনিক নির্ভর, দৈনিক উত্তর জনতা, সাপ্তাহিক পাবনা বার্তা, সাপ্তাহিক বিবৃতি, সাপ্তাহিক আরশি। নাটোর থেকে বের হয় দৈনিক উত্তরবাংলা বার্তা, দৈনিক উত্তরপথ, সাপ্তাহিক নাটোর বার্তা। সিরাজগঞ্জ থেকে বের হয় দৈনিক কলম সৈনিক, দৈনিক যমুনা প্রবাহ, দৈনিক যমুনা সেতু, সাপ্তাহিক যমুনা বার্তা, সাপ্তাহিক সাহসী জনতা, সাপ্তাহিক যাহা বলিব সত্য বলিব, সাপ্তাহিক সুন্দর বার্তা, সাপ্তাহিক উল্লাপাড়া। বগুড়া থেকে বের হয় দৈনিক করতোয়া, দৈনিক সাতমাথা, দৈনিক দুর্জয় বাংলা, দৈনিক আজ ও আগামীকাল, দৈনিক বগুড়া, দৈনিক উত্তর বার্তা, দৈনিক উত্তরকোণ, দৈনিক চাঁদনীবাজার, সপ্তাহিক নতুন, সাপ্তাহিক আজকের শেরপুর, সাপ্তাহিক পঞ্চ নদীর তীর। চাঁপাই নওয়াবগঞ্জ থেকে বের হয় চাঁপাই সংবাদ, নওয়াবগঞ্জ সংবাদ, মহানন্দা, সীমান্ত কাগজ, দৈনিক নওয়াব। রাজশাহী থেকে বের হয় দৈনিক সোনালী সংবাদ, দৈনিক সোনার দেশ, দৈনিক প্রথম প্রভাত, দৈনিক লাল গোলাপ, দৈনিক পদ্মার বাণী, দৈনিক সানশাইন, দৈনিক নতুন প্রভাত, সাপ্তাহিক রাজশাহী বার্তা, সাপ্তাহিক গণখবর। গাইবান্ধা থেকে বের হয় দৈনিক জনসংকেত, দৈনিক পলাশ, দৈনিক সন্ধান। কুড়িগ্রাম থেকে বের হয় দৈনিক কুড়িগ্রাম খবর, দৈনিক চাওয়া পাওয়া, সাপ্তাহিক কুড়িগ্রাম বার্তা, সাপ্তাহিক জুলফিকার। রংপুর থেকে বের হয় দৈনিক রংপুর, দৈনিক পরিবেশ, সাপ্তাহিক রংপুর বার্তা, সাপ্তাহিক অতল, যুগের আলো, দাবানল। নীলফামারী থেকে বের হয় সাপ্তাহিক নীলফামারী বার্তা, সাপ্তাহিক নীলসাগর, জনসমস্যা, সাপ্তাহিক আল্পনা। লালমনিরহাট থেকে বের হয় সাপ্তাহিক লালমনিরহাট বার্তা, সাপ্তাহিক জানাজানি। দিনাজপুর থেকে বের হয় আজকের প্রতিভা, আজকের দেশবার্তা, উত্তরা, প্রতিদিন, তিস্তা, জনমত, উত্তরবঙ্গ,সাপ্তাহিক অত:পর। চট্টগ্রাম থেকে বের হয় দৈনিক আজাদী, দৈনিক পূর্বকোণ, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ, দৈনিক কর্ণফুলী, দি ডেইলী কমার্শিয়াল টাইমস, ডেইলী লাইফ, সাপ্তাহিক চট্টলা, দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ। কক্সবাজার থেকে বের হয় দৈনিক সৈকত, দৈনিক কক্সবাজার, আজকের দেশ-বিদেশ, দৈনন্দিন, দৈনিক মায়ের দেশ, সাপ্তাহিক স্বদেশ বাংলা, সাপ্তাহিক কুতুবদিয়া। রাঙামাটি থেকে বের হয় দৈনিক বনভূমি, দৈনিক পার্বত্য বার্তা, গিরিপথ। বান্দরবান থেকে বের হয় দৈনিক যুগরবি, দৈনিক নতুন বাংলাদেশ, পাকি সাংগু। খাগড়াছড়ি থেকে বের হয় দৈনিক অরণ্য বার্তা, সাপ্তাহিক পার্বতী। খুলনা থেকে বের হয় দৈনিক পূর্বাঞ্চল, দৈনিক তথ্য, দৈনিক জন্মভূমি। কুষ্টিয়া থেকে বের হয় দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা, আন্দোলনের বাজার। ফেনী থেকে বের হয় সাপ্তাহিক সংগ্রাম, নবনূর, পূর্বদেশ, মিনার, পল্লীবার্তা, ফসল কথা, সাপ্তাহিক ফেনীর সংবাদ, দৈনিক ফেনীর সময়, সাপ্তাহিক আলোকিত ফেনী। লীপুর থেকে দৈনিক লীপুর কণ্ঠ, দৈনিক আল চিশ্ত, সাপ্তাহিক নতুন সমাজ যা ১৯৭২ সালে ছিল নতুন দেশ, সাপ্তাহিক সমবায় বার্তা যা ১৯ ৭৩ সালে ছির বাংলাদেশ বার্তা। কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত হয় দৈনিক রূপসী বাংলা, দৈনিক কুমিল্লার কাগজ, দৈনিক কুমিল্লা বার্তা, দৈনিক বাংলাদেশ সংবাদ, সাপ্তাহিক নিরর, সাপ্তাহিক লাকসাম বার্তা। নোয়াখালী থেকে বের হয় আমাদের নোয়াখালী, জাতীয় নিশান, অবয়ব, সাপ্তাহিক জাতীয় বাংলাদেশ, নোয়াখালী কণ্ঠ, আজকের উপমা। ব্রাহ্মনবাড়িয়া থেকে বের হয় দৈনিক ব্রাহ্মনবাড়িয়া, দৈনিক প্রতিবেদন, দৈনিক আজকের হালচাল, দৈনিক তিতাস কণ্ঠ, দৈনিক দিনদর্পণ, সাপ্তাহিক তিতাস। চাঁদপুর থেকে বের হয় দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ, দৈনিক চাঁদপুর দর্পণ, সাপ্তাহিক চাঁদপুর, সাপ্তাহিক চাঁদপুর সংবাদ, সাপ্তাহিক রূপসী, সাপ্তাহিক হাজীগঞ্জ, সাপ্তাহিক মানব সমাজ। সিলেট থেকে বের হয় দৈনিক যুগভেরী, দৈনিক সিলেটের ডাক, দৈনিক জালালাবাদ, দৈনিক শ্যামল সিলেট, দৈনিক সবুজ সিলেট, দৈনিক সিলেট বাণী, দৈনিক সিলেট সংলাপ, দৈনিক উত্তরপূর্ব, দৈনিক আলোকিত সিলেট, দৈনিক কাজিরবাজার পত্রিকা সুনামগঞ্জ থেকে বের হয় সাপ্তাহিক গ্রামবাংলার কথা, সাপ্তাহিক স্বজন, সাপ্তাহিক সুনামগঞ্জ সংবাদ, সাপ্তাহিক সুনামগঞ্জ বার্তা, সাপ্তাহিক সুনামগঞ্জ, সাপ্তাহিক ভাটিবাংলা, দৈনিক হাওড় বার্তা, সাপ্তাহিক অনল। মৌলভীবাজার থেকে বের হয় দৈনিক মৌলভীবাজার, দৈনিক বাংলার দিন, দৈনিক খোলা চিঠি, সাপ্তাহিক। হবিগঞ্জ থেকে বের হয় দৈনিক প্রভাকর, দৈনিক প্রতিদিনের বাণী, সাপ্তাহিক স্বাধিকার, স্বদেশবার্তা, দৃষ্টিকোণ, খোয়াই, হবিগঞ্জ সমাচার, জনতার দলিল,পরিক্রমা। ঝালকাঠি থেকে বের হয় সাপ্তাহিক অজানা খবর, সাপ্তাহিক সুরিয়াদয়া। ভোলা থেকে বের হয় দৈনিক আজকের ভোলাবাণী, দৈনিক বাংলার কণ্ঠ, দৈনিক কলমিকণ্ঠ, সাপ্তাহিক দ্বীপবাণী। পটুয়াখালী থেকে বের হয় রূপান্তর, তেতুলিয়া, সাথী, গ্রাম বাংলা, খিলাফত, প্রতিনিধি, জনতা, অভিযাত্রী, আন্ধার-মানিক, এক মুঠো সুরভী। বরগুনা থেকে বের হয় দৈনিক দীপাঞ্চল, দৈনিক সৈকত সংবাদ, আজকের কণ্ঠ, সাপ্তাহিক বরগুনা, সাপ্তাহিক বরগুনা কণ্ঠ, সাপ্তাহিক বরগুনা বার্তা, সাপ্তাহিক ভাটিয়ালি, সাপ্তাহিক পায়রা পাড়। বাগেরহাট থেকে বের হয় দৈনিক দণি কণ্ঠ, দৈনিক উত্তাল, দৈনিক দুত, দৈনিক মড়েলগঞ্জ বার্তা, দৈনিক সুন্দরবন , সাপ্তাহিক মংলা, পাকি মজলুম, সাপ্তাহিক রয়েল বেঙ্গল, সাপ্তাহিক বনাঞ্চল। এ তালিকার বাইরে আরো পত্রিকা রয়েছে যা পরবর্তিতে সংযোজন করার প্রয়াশ রইলো।
সব শেষে বলতে হয় আমাদের দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রত্যাশিত। সংবাদপত্রের সাথে অনেকেই সংশ্লিষ্ট। সংবাদপত্রের একজন বা একাধিক মালিক থাকেন। থাকেন সাংবাদিকবৃন্দ ও কর্মীবাহিনী। থাকেন লেখক। বিজ্ঞাপন কর্মী। পাঠক। তাদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব বৃত্তের স্বাধীনতা থাকবে সংবাদপত্রকে ঘিরেই।
আমরা মানুষ ও মানবতার পে । সত্য ও ন্যায়ের প।ে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে। সাফল্য ও সম্ভাবনার বাংলাদেশের কথাকে ছড়িয়ে দিতে অটুট । প্রিয় মাতৃভূমি ও তার জনগণের সমস্যা-সংকট নিয়ে লেখা প্রকাশ করবে সকল সংবাদপত্র। কু-সংস্কার, অশিা, ুধা, দারিদ্র্যতা, অমানবিকতার বিপে । মানবতা, শান্তি, মুক্ত গণমাধ্যম, গণতন্ত্র, মানবাধিকারের পে হতে হবে আপোষহীন। এদেশের জনগণের গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রয়েছে। সাংবাদিকদের একই ধরনের অধ্যায় রয়েছে স্বাধীন সংবাদপত্র ও অবাধ তথ্যপ্রবাহের সংগ্রামে। দু’টি সংগ্রামের কোনটিই পূর্ণ সূর্যের আলোয় উদ্ভাসিত হতে পারেনি। ঈশান কোণের মেঘ ঝড়ের পূর্বাভাস নিয়ে প্রায়শই ছুটে আসার জন্য অপেমান থাকে।
মফস্বল সংবাদপত্র যে আলো বহন করে তা যেন কারো ব্যক্তিগত স্বার্থের কাছে ম্রীয়মান হয়ে না যায়। আর আমরা তা হতে দিতে পারি না। সংবাদপত্র এগিয়ে চলুক তার আপন গতিতে। আমরা আমাদের সংবাদপত্র সমৃদ্ধ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখি। সমাজে তা যেন চির অম্লান হয়ে থাকে।