উম্মে কুলসুম ইলোরা। শুয়ে আছে। নিশ্চুপ। নিশ্চল তার দেহ। চোখ দুটো সামান্য ফাঁকা। ঠোঁট দুটো হাঁ করা। গাল থেকে লালা আর রক্ত ঝরে মুখের একটা পাশ কালচে হয়ে আছে। শরীরের দুধে আলতা রঙটা হয়ে গেছে কালচে নীল বর্ণের। একটু দূরে মা কাঁদছে। জ্ঞান হারাচ্ছে বারবার। আত্মীয়-স্বজন কেউ কেউ উচ্চস্বরে কেউবা নীরবে চোখের জল ফেলছে। ইলোরা শুয়ে আছে হাসপাতাল। ময়নাতদন্তের পর আত্মীয় স্বজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। তারা অপেক্ষায় আছে বারান্দায়। রাতের সাথে লাশ হস্তান্তরের সময় গড়াচ্ছে শামুক গতিতে।
উচ্ছ্বল প্রাণময়ী কিশোরী ইলোরা। অষ্টম শ্রেণীতে পড়ত দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাইস্কুলে। পরিবারের সাথে থাকত খিলগাঁওয়ে। মহল্লার রোজাউল করিম নামের বখাটে যুবক তাকে এক বছর ধরে প্রায় প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করত। মোবাইলে নানা ধরনের অশ্লীল ম্যাসেজ পাঠাত। ফোনে বলত নানা খারাপ কথা। নিরুপায় বাবা-মা রেজাউলের পরিবার এবং স্থানীয় অভিভাবকদের জানালেও প্রত্যাশানুযায়ী কোনো ফল আসেনি। দমানো যায়নি রেজাউলকে। নিরুপায় হয়ে মা নিজেই মেয়েকে স্কুলে আনা নেওয়ার কাজ করত। কিন্তু এভাবে কতদিন? একদিন মা সাথে না থাকায় ইলোরার গতিরোধ করে দাঁড়ায় রেজাউল, তারপর নানা কথা...স্কুল শেষে আবার রেজাউলের মুখ... প্রেমের প্রস্তাব... ইলোরার চোখে মুখে আতঙ্ক.... ভয়ে ভোঁ দৌড়.....পেছনে রেজাউল...।
জঙ্গলি জানোয়ারের থাবা থেকে বেঁচে প্রাণ ফিরে পায় ইলোরা। বাসায় ফিরে দরজা বন্ধ করে দেয়। নিজে নিজেকে প্রশ্ন করেÑএকে কি বেঁচে থাকা বলে? একেই কি বলে জীবন? নিত্যদিনের এই সমস্যার কে দেবে সমাধান? মা-বাবার অসহায় চোখ। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবহেলা। তাহলে এর সমাধান কী? প্রত্যেকেই নিজের জীবনকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। কেউই ছাড়তে চায় না সুন্দর পৃথিবী। বেঁচে থাকার জন্য কত আকূলতা। কত প্রাণন্তর চেষ্টা। তারপরও কি মানুষ বেঁচে থাকতে পারে? না। কেউ কেউ জীবন থেকে পালিয়ে বাঁচতে চায়। অপমান অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয় ভেবে বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। ইলোরাও তাই করে। হতাশার জীবনকে পাশ কাটিয়ে আমাদের তৈরি সভ্য সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়Ñ তোমরা অনেক কিছুই পারো না। পারো না আমাদের নিরাপত্তা দিতে। আমাদের স্বপ্নকে বেড়ে উঠতে দিতে। আমাদের ধরে রাখতে।
এই খিলগাঁওয়ের আরেক মেয়ে সিমি। নিষ্পাপ এই চারুকলার মেয়েটিকেও আত্মহত্যা করেছিল বখাটে যুবকদের প্রতি ঘৃণা, ক্ষোভ আর বিরক্তি নিয়ে।
নিশ্চিতপুর গ্রামের মাদ্রাসার ছাত্রী চৌদ্দ বছরের নুরিনা আক্তার। বখাটেদের কটুক্তি সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার আনরাজুড়ি দ্বীপ ইউনিয়নের গর্ন্ধব গ্রামে মেয়ের লাঞ্ছনা ও নিজের অপমান সহ্য করতে না পেরে বাবা আত্মহত্যা করে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেমিকের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করে অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ফারাহা নাজ রুহী।
বখাটে যুবকদের উৎপাতে এবং হুমকিতে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয় রাজধানীর নাসফিয়া আকন্দ পিংকি। যার বয়স মাত্র চৌদ্দ। এই কিশোরী শ্যমলী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
মাত্রতো কজনের গল্প বললাম। ঘটনাগুলো সবার জানা। ৬৮ হাজার গ্রামে এমন অনেক হাজার হাজার ঘটনা আছে যা অনেকেরই চোখের আড়ালে থেকে যাচ্ছে। কেউবা বলছে না চক্ষু লজ্জায়। আবার কেউবা পাথর থাকছে ভয়ে। কেউবা চিন্তিত মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আবার কেউ কেউ প্রতিবাদ করতে গিয়ে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছে। কটা ঘটনাই আমরা জানছি। তৃষা চলে গেল। চাঁদমণিকে আমরা বাঁচাতে পারিনি। ইলোরার নিরাপত্তা দিতে পারিনি। পিংকির স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকে গেল। এ্যানী পূরণ করতে পারল না তার চাওয়া পাওয়ার পসরা। সিমি চলে গেল একবুক ঘৃণা নিয়ে। আর কতো? আর কতোটা পথ পেরোলে আমাদের সন্তানরা পাবে নিরাপত্তা? বেঁচে থাকার অধিকার? কলি থেকে ফুল হয়ে ফুটে উঠার স্বাদ?
ওদেরকে যারা যেতে বাধ্য করেছে তাদের সংখ্যা হাতেগোনা। নগন্য। আমি বিশ্বাস করি, সব সময় ভালোর পাল্লাই ভারি থাকে, অন্যায় কখনো প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। শেকড় গেড়ে বসতে পারে না। মানুষের মধ্যে যদি মনুষ্যত্ব না থাকে তা হলে তাকে মানুষ বলা যায় না। ওরা মানুষ না। মানুষ নামের কলঙ্ক। মানুষের ভেতরে মনুষত্ব আর পশুত্ব থাকে। মনুষত্ব হারিয়ে যখন পশুত্ব জাগ্রত হয় তখনই মানুষ মানুষের ক্ষতি করতে পারে। গানের খাতা ছিঁড়তে পারে। কলিগুলোকে পদদলিত করতে পারে। পাখিকে তীরবিদ্ধ করতে পারে। নদীর চলা থামাতে পারে। বাতাসের ছন্দ ম্লান করতে পারে।
এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের উপর ওদের ঘৃণা, রাগ, ক্ষোভ। নিজেদের নিরাপত্তা ওরা পায়নি। এমনকি ওদের মা-বাবা, সমাজ, আইনও দিতে পারিনি নিরাপত্তা।
প্রতিনিয়ত বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। আর এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিশোরীদের মধ্যে বেশি। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে এক বিরাট অংশ মৃত্যুকালীন কোনো না কোন মানুসি অসুস্থতায় আক্রান্ত হয় বলে গবেষকদের অভিমত। আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। সংস্কৃতি, ধর্ম, সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান, প্রচলিত আইন, জীবনদর্শন ও একটি জাতির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আত্মহত্যার প্রবণতার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। গবেষণায় দেখা গেছে, উন্নত দেশসহ ভারতে পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। অথচ বাংলাদেশে নারীরাই বেশি আত্মহত্যা করে। ২০০১ সালে পরিচালিত এক গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট সংঘটিত আত্মহত্যার শিকার ৫৮ শতাংশই নারী। ১৯৮৬ সালে ঝিনাইদহের জরিপে ছিল ৭৩ শতাংশ। আত্মহত্যা নিয়ে কোনো জাতীয় পর্যায়ে জরিপ না হলেও বিভিন্ন গবেষকের প্রাপ্ত উপাত্তমতে, এ দেশে প্রতিবছর প্রতি লাখে আট থেকে দশজন আত্মহত্যার শিকার। বর্তমানে কোনো জরিপ আমাদের হাতে না থাকলেও গণমাধ্যমই বলে দেয় আগের জরিপ ছাড়িয়ে আত্মহত্যার প্রবণতা ফুলে ফেঁপে উঠেছে। আর ১১ থেকে ২৫ বছর বয়সী মেয়েদের ভেতরই এই আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
শুধু আমাদের দেশে নয়। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেও বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। মাত্র ১১ বছরের মেয়ে নেহা সাওয়ান্তকে বাড়ির জানালার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে থাকতে দেখা যায়। সে ছিল একজন টিভি তারকা। কেনো আত্মহত্যার পথ বেছে নিল ১১ বছরের নেহা? শুধু নেহা নয়, ভারতের বড় শহরগুলোতে অনেক কিশোর-কিশোরীই বেছে নিচ্ছে আত্মহত্যার পথ। কিছুদিন আগে মুম্বাইয়ের একটি বিদ্যালয়ের শৌচাগারে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ১২ বছরের কিশোর সুশান্ত পাতিল। কেন, কী কারণে তারা জীবন থেকে এবাবে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তা বুঝে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন অভিভাবকেরা। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র ও রাজধানী মুম্বাইয়ে। গত জানুয়ারি মাসের প্রথ ২৬ দিনেই ৩২ জন কিশোর -কিশোরী আত্মহত্যা করেছে এই রাজ্যে। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যার এ প্রবণতা দেখে উদ্বিগ্ন মনোবিদ ও শিক্ষকেরা। তাঁদের অনেকেই মনে করছেন, যুগের সাথে তাল মেলাতে না পেরে অতিরিক্ত মানসিক চাপ সামলাতে না পেরেই আত্মহত্যা করছে এইসব কিশোর-কিশোরীরা। এক জরিপে দেখা যায়, ভারতে প্রতি ২৬ মিনিটে একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা হয় এবং প্রতি ৩৪ মিনিটে একটি মেয়ে ধষর্ণের শিকার হয়।
বিবিসির এক জরিপে দেখা গেছে, ভারতে প্রতিবছর এক লাখ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে কেবল মুম্বাইয়েই দিনে তিনজন আত্মহত্যা করছে যাদের বয়স ১৫ থেকে ৩৫।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের সহকারি মহাপরিচালক ক্যাথরিন ল গলস-কামু বলেন, সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন ও আবেগতাড়িত হয়েই মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। আত্মহত্যার প্রবণতা কমিয়ে মানুকে জীবনমুখী করতে মুম্বাই নগরের কর্মকর্তারা এরই মধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন। মুম্বাইয়ের সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকেরা চেষ্টা করছে ছাত্রছাত্রীদের জীবনমুখী করে তুলতে।
মুম্বাইয়ের আস্রা নামের একটি হেল্পলাইন অনেক দিন ধরেই কিশোর-কিশোরীদের আত্মহত্যার প্রবণতা নিয়ে কাজ করছে। হেল্পলাইনটির পরিচালক জনসন থমাস বলেন, বন্ধুে দর চাপ, মা-বাাবার সঙ্গে যোগাযোগের অভাব, সম্পর্কের ভাঙন, পড়াশোনার চাপ ও ব্যর্থ হওয়ার ভীতির কারণেই বেশির ভাগ শিশু কিশোর আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
এখনকার কিশোর-কিশোরীরা অনেক বেশি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তারা অনেক বেশি সচেতন ও বহির্মুখী। এখন ১১ বছরের কিশোর-কিশোরীরাই অতীতে ১৪-১৫ বছরেরর কিশোর-কিশোরীদের মতো পরিণত মানসিকতার অধিকারী। আর এই পরিণত মানসিকতাকে সম্মান দিয়েই ছেলেমেয়েদের বড় করে তোলা প্রত্যেক মা-বাবার দায়িত্ব। মনোরোগ চিকিৎসক রিয়া বলেন, কোনো শিশুই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে অকারণে হঠাৎ আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় না। জীবনের শুরুতেই তারা কোনো না কোনো অপ্রীকর অভিজ্ঞতার শিকার হয়, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে।
একবার যে কিশোর-কিশোরীরা আত্মহত্যা করতে গেছে দু-এক বছরের মধ্যে তাদের আত্মহত্যার ঝুঁকি থাকে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা বলেছেন, এ রকম ক্ষেত্রে সুদৃঢ় পারিবারিক বন্ধন আত্মহত্যা প্রবণতা সহায়তা করে। গবেষক দলের প্রধান ইউনিবাসিসি আব ওয়াশিয়টনের অধ্যাপক জেমস মাজ্জা বলেন, এখানে ‘বন্ধন’ বলতে বোঝাচ্ছে, ওই কিশোর বা কিশোরীটি বাবা-মার সঙ্গে কতোটুকু ঘনিষ্ঠ বা নিজস্ব সমস্যা আলোচনা করার ব্যাপারে কতোটুকু খোলামেলা। তিনি বলেন, মানসিক অস্থিরতার সময়ে কিশোর-কিশোরীরা বাবা-মার কাছে যতোটুকু নিরাপদ বোধ করে, বন্ধুবান্ধবদের কাছে ততোটুকু নয়। অন্য সময়ে কিশোর বা কিশোরীটি যতোই বন্ধবান্ধব নিয়ে মেতে থাকুক না কোনো, এ সময়ে বাবা-মার ওপরেই তারা নির্ভর করতে চায় সবেচেয়ে বেশি। বাবা-মারও এ সময়ে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে তাদের সন্তানকে সাহায্য করা দরকার।
এই আত্মহত্যায় প্ররোচিত করছে মানুষ নামের কিছু পশু। এই পশুশক্তি রুখতে হবে আমাদের। আমার বিশ্বাস মানবশক্তি পশুশক্তির কাছে কখনেই পরাজিত হয়নি, হবেও না।
নারীর অবমাননা, তাদের উত্ত্যক্ত করা ও যৌন হয়রানি গুরুতর অপরাধ। নারীর যৌন হয়রানির রোধে আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট এ বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রদান করেন। সেখানে শিক্ষপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে পালনীয় কিছু দিকনির্দেশনাও দেয়া হয়। এর অন্যতম হল যৌন হয়রানির শিকার কোনো নারীর তার পরিচয় গোপন রেখেই অভিযোগ পেশ ও প্রতিকার দাবির সুব্যবস্থা করা। এ জন্য সব কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্তুপক্ষ কমপক্ষে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করবে, যার অধিকাংশ সদস্য হবেন নারী এবং সম্ভব হলে কমিটির প্রধান হবেন নারী। এখন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তব্য হলো, কমিটিগুলো গঠন এবং সেখানে সব অভিযোগের যথাযথ তদন্ত ও অপরাধ প্রমাণিত হলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সংবিধান অনুযায়ী, এ বিষয়ে আইন প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত আদালতের নির্দেশনাই আইন হিসেবে গণ্য হবে। তাই এই নির্দেশনার ব্যাপক প্রচার ও সর্বস্তরের নাগরিকদের মধ্রে সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার। নির্দেশনায় যৌন হয়রানির বিশদ সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। নারীর উদ্দেশ্যে অশ্লীল মন্তব্য, মুঠোফোনে উত্ত্যক্ত করা থেকে শুরু করে শারীরিক ও মানসিক হয়রানি-সবই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এই নির্দেশনাগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হলে এ ধরনের অপরাধ কমে আসবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৩