আপনি লক্ষ্য করেছেন কি সরকার দৈনিক পত্রিকাগুলোতে পাইরেটেড সফট্ওয়্যার ব্যবহার না করার জন্য বিজ্ঞাপন দিচ্ছে?
আপনি জানেন কি সরকার তথ্য প্রযুক্তি আইন প্রস্তুত করছে যেখানে পাইরেটেড সফট্ওয়্যারের বিরুদ্ধে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে?
যদি জেনে থাকেন তবে আপনার এখন কি করণীয়? আর যদি না জেনে থাকেন তবে জানুন। দেখুন। শিখুন এবং বদলে দিন আপনার সফট্ওয়্যার ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে।
আসুন মুক্তির দলে।
আপনি এমন অনেক সফটওয়্যারই ব্যবহার করছেন যা আপনার অগোচরে আপনার সফট্ওয়্যার ব্যবহারের স্বাধীনতাকে রক্ষা করে যাচ্ছে। আপনি মজিলা ফায়ারফক্স ব্যবহার করেন, আপনি ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার ব্যবহার করেন, আপনি XAAMP ব্যবহার করেন, এমন আরো অনেক সফট্ওয়্যার আছে যেগুলো আপনি ব্যবহার করছেন এবং আপনি জেনেই ব্যবহার করছেন যে এগুলো আপনার চাহিদা পুরন করার জন্য সেরা।
আসুন আরেকটু জানুন। এতে আপনারই লাভ হবে। আপনি পাবেন আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার উপায়, আপনি পারবেন আপনার পিসিকে ভাইসার মুক্ত রাখতে, আপনি পারবেন পাইরেটেড সফট্ওয়্যার ব্যবহার না করে দেশকে পাইরেটেড সফট্ওয়্যার ব্যবহারের শীর্ষ অবস্থান থেকে নামিয়ে আনতে।
তাই আসুন অনেক হল অপরের জোরাজুরিতে চোখ বন্ধু করে গেলা। এবার একটু চোখ খুলে দেখুন কি গিলছি, কেন গিলছি, গেলা কি আসলেই উচিত? গিললে কোনটা গেলা উচিত।
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
কি এই মুক্ত সফট্ওয়্যার এবং মুক্ত সফট্ওয়্যার আন্দোলন?
মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন একটি সামাজিক আন্দোলন যার উদ্দেশ্য কম্পিউটার ব্যবহারকারীর অধিকার সংরক্ষণ করা। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন, মুক্ত সফটওয়্যার তৈরি করতে, ব্যবহার করতে এবং মানোন্নয়ন করতে উৎসাহ প্রদান করে। ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কোন একদিনে রিচার্ড স্টলম্যান নামের সফটওয়্যারের যাদুকর এক বদ্ধ উন্মাদ নিজের মোটা মাইনের চাকুরী ছেড়ে দিয়ে শুরু করেছিলেন মানবতার জন্য সফটওয়্যার উন্মুক্ত করার কাজ - “প্রজেক্ট গ্নু (GNU)”। সেই ব্যক্তিগত পাগলামো মার্কা উদ্যোগটাই আজ পৌঁছে গেছে সামগ্রিক ''সফটওয়্যার মুক্তি''র আন্দোলনে। প্রতিষ্ঠা পেয়েছে ''মুক্ত সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন'' (Free Software Foundation বা FSF)। বিশ্বের বাঘা বাঘা সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান যোগ দিয়েছে এই সংগঠনের সহযোগী হিসেবে। উদাহরন স্বরূপ বলা যায় - ক্যানোনিক্যাল, গুগল, লিনাক্স ফাউন্ডেশনের নাম। ২০০৪ সাল থেকে এই আন্দোলনের শুরুর দিনটি উদযাপন করা হচ্ছে সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় শনিবারে।
আরো বিস্তারিত জানতে ঘুরে আসুন – http://wiki.softwarefreedomday.org/ থেকে। সারা পৃথিবীতে কারা কারা এই দিনটি উদযাপন করছে তা দেখতে হলে এখানে ঘুরে আসুন http://wiki.softwarefreedomday.org/CategoryTeam2013 থেকে।
বাংলাদেশে এই আন্দোলনের কিছু ঐতিহাসিক গুরুত্ব আর প্রযুক্তিখাতে এই আন্দোলনের অবদান সবার সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে ফাউন্ডেশন ফর ওপেন সোর্স সলিউশনস বাংলাদেশ (Foundation for Open Source Solutions Bangladesh) বা সংক্ষেপে এফওএসএস বাংলাদেশ (FOSS Bangladesh) আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার কক্সবাজারে উন্মুক্ত সফটওয়্যারপ্রেমী সকলকে সাথে নিয়ে ”সফটওয়্যার মুক্তি দিবস – ২০১৩” পালন করতে যাচ্ছে।
তারিখ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ইং, শুক্রবার
আয়োজন স্থল- সানি বিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মোটেল রোড, কক্সবাজার।
সময়: সকাল সকাল ০৯:৪৫ থেকে।
আয়োজনের বিস্তারিত সূচী:
১। আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে নিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ঘোষনা করা হবে এবং সাথে কিছু স্বাগত বক্তব্য দেবেন আয়োজক এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
২। আয়োজনে বিভিন্ন ধরনের মুক্ত সফটওয়্যার ও লিনাক্স ডিস্ট্রোর ইতিহাস আর চিত্রসহ ডঙ্গল, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে প্রদর্শনী চলবে।
৩। আরো থাকছে ”সফটওয়্যার মুক্তি আন্দোলন” নিয়ে তথ্যভিত্তিক ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী।
৪। থাকছে "জিএনইউ/লিনাক্স ইন্সটলেশন ও ব্যবহারিক সহায়তা সেবা" বুথ। যেখানে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকগণ আয়োজনে অংশগ্রহনকারীর পছন্দ অনুসারে তাঁদের ল্যাপটপ কিংবা নেটবুকে লিনাক্স ভিত্তিক বিভিন্ন ডিস্ট্রো ইন্সটল এবং ইন্সটল পরবর্তী নিত্য প্রয়োজনীয় সেটিংসগুলো করে দেবেন। (অনলাইনে ফর্মপূরনকারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।)
৫। এছাড়াও আয়োজনস্থলে থাকবে বিভিন্ন জনপ্রিয় লিনাক্স ডিস্ট্রোগুলোর পেনড্রাইভে, পছন্দের মিডিয়াতে এবং সিডি/ডিভিডিতে বিতরনের ব্যবস্থা।
জিএনইউ/লিনাক্স বিষয়ক ব্যবহারিক সাপোর্ট/সহায়তা সেবাটুকু নিশ্চিত করতে অগ্রীম রেজিষ্ট্রেশন করুন – http://goo.gl/1Tnhm লিংক থেকে।
আমাদের কার্যক্রম অনুসরণ করতে এবং আমাদের সাথে যুক্ত হতে খোঁচা দিন
http://www.fossbd.org/
–
“সফটওয়্যার মুক্তি দিবস – ২০১৩” বাংলাদেশ উদযাপন পরিষদ
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮