পিয়া মন ভাবে
১.
খট্টাশ- প্রসূতিপারা, স্ফীতোদর, নৌবাহিনীর নেতা।
আশ্রয়দাতা তুমি, এই নাবিকশ্রেষ্ঠরে তীরে বেঁধে রাখো
ঊষাপতি অকস্মাৎ মধ্যাহ্নকটালে যেন অস্থির, অনিশ্চয়-
ঢেউ দিগন্তে লাফিয়ে ওঠে- সাতসমুদ্রের লবণসার
লাগে আকাশের গায়- হায়, দাগানো তালিকা এই
কর্মচারীর হাতে, তাই নিয়ে ঘুরি- এত নাম, শতাধিক,
এদের কোথায় সন্ধান পাব? কোন জনপদে? কোন
গোপন কৌশলে এদের দ্বীপান্তরী করা যাবে? জলচর
দেব ও দেবতাগণে মিনতি জানাই, পায়ে পড়ি, এ-যাত্রা
উদ্ধার করো, ঠিক সময়মতোই যেন এদের গ্রেপ্তার করি,
অত্যাচারে দিকভ্রান্ত করে রাখি- যতণ জলযান অ-প্রস্তুত,
আমাদের তৈরি হতে যতণ লাগে।
২.
কতদিন লাফিয়ে নামিনি মাঠে। ইদানীং ধরা পড়ে যাই
চিহ্নের বাগানে। কখনো-বা ভণিতাবাজারে।
যে-দেহ ভৌতিক হয় তারও চাই খাদ্য ও ব্যায়াম-
পলায়নপর হতে পারা চাই।
ভাবি, যমুনা-পুলিনে যে বাঁশি বাজলো
সে কি পুলিশের বাঁশি?
ঐ গোঠে জেট-বিমানের ধ্বনি, ঐ বনে পারমাণবিক
কদম্বরেণুর ঘ্রাণ-
তারই মধ্যে বেঁচে থাকা- ন্যায় ও অন্যায় নিয়ে
কথা কাটাকাটি আছে।
(বইয়ের প্রকাশকাল: জানুয়ারি ২০১১, প্রকাশক: সপ্তর্ষি)
১. ১৮ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৪৭ ০