ওকে দেখে আমার মনে হয়েছিল জীবনের যুদ্ধে পরাজিত কেউ, সে হেরে গেছে প্রতিপক্ষের কাছে। মনে হয় বিজিতদের পৃথিবীতে বেঁচে থাকার দরকার নেই কিংবা থাকলেও নিতান্তই কম। বেঁচে থাকতে হলে তাদের পদে পদে গ্লানির মুখে পড়তে হবে। অপমানিত হতে হবে, অপমানসূচক কথা বার্তা প্রতিনিয়ত গিলতে হবে।
মরে গেলেই হয়তো ওর জন্য ভাল বিকল্প হতো। সম্ভবত প্রতিনিয়ত পরাজিত হবার যন্ত্রণাটুকু আর তাড়া করতো না সেখানে। বুদ্ধির সান্তনায় নিজেকে খূঁজে ফিরতে হতো না। স্বপ্ন দেখার বিভ্রমে নিজেকে আচ্ছন্ন হতে হতো না। আশার মতো মরিচীকার পেছনে পড়ে থাকতে হতো না।
আনিসাকে কে যেন আমার ভাবনাটুকু বলে দিয়েছিল। হ্যাঁ, এইতো আমার ফেসবুক নোট। ওটা ভুলক্রমে পাবলিক করে রেখে দিয়েছিলাম। সে এটা পড়ে ফেলেছে। হায়ঃ আমি তো ওকে বলতে চাইনি এটা।
আনিসার পেছনের গল্পটি আমি জানি। মেট্রিক পরিক্ষার আগে সে জীবনের সব থেকে বড় কোন সম্পদ(!) হারিয়ে ফেলেছিল, প্রেম নামীয় কোন যাদুতে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিল। সমাজের চোখে সে ঘৃণিত অথচ তাও সে জেনেছে ৩ বছর পর। জামাইরা এসে ওর পূর্বেকার কথা জেনে কোনভাবে ফসকে বেরিয়ে যায়।
আজ ওর বান্ধবীরা একাধিক সন্তান নিয়ে হেসে খেলে জীবনের সুন্দরতর পরিণতির দিকে এগুচ্ছে। অথচ একটা বৃত্তেই আনিসা আজো ঘুরপাক খাচ্ছে। আকাশ থেকে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে, তুই বেঈমানি করেছিলি, তোর হবু প্রিয়র সাথে তুই বেঈমানি করেছিলি। ওর প্রাপ্তিকে তুই খুইয়ে ফেলেছিস। তোর জন্য বর নেই।
আচ্ছা!! একটুকরো মাংস এতই কি ক্ষণস্থায়ী?? এটার জন্য কি স্বাভাবিক জীবনটা চিরতরে হারিয়ে ফেলবে আনিসা??
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮