R-36 একটি সোভিয়েত বর্তমান রাশিয়ার একটি আইসিবিএম (ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালেসটিক মিসাইল) যা কিনা বর্তমান বিশ্বের সব চাইতে ধ্বংসাত্বক মিসাইল।এর প্রস্তুতকারক ছিলো সোভিয়েত ইউনিয়নের Soviet industry designation।
এই আইসিবিএম তৈরি করা হয়েছিল আমেরিকাকে কাউন্টার করার জন্য এবং এর প্রক্ষাপট তৈরি করেছিলো স্বয়ং আমেরিকা নিজেই। কোল্ড ওয়ারের সময় আমেরিকা একের পর এক লংরেন্জের বোমারু বিমান তৈরি করে যেগুলোর সোভিয়েত এলাকাগুলোতে পারমানবিক হামলা চালানোর ক্ষমতা ছিলো। এতে সোভিয়েত রা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চত প্লাস আমেরিকা কে কাউন্টার করার জন্য তৈরি করে আইসিবিএম।
R-36 মূলত একটি সাইলো বেজ আইসিবিএম। এটি একটি ২০ মেগাটন অথবা ৮০০ কিলোটনের ১০ টা MIRV (Multiple independently target-able reentry vehicle) নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বহন করতে পারে ।
Multiple independently target-able reentry vehicle (MIRV)
উল্লেখ্য হিরোশিমায় ব্যবহৃত বোমার ওয়ারহেড ছিলো ৮ কিলোটনের ।
এই আইসিবিএম ধ্বংস ক্ষমতার ব্যাপারে বলা হয় আকাশচুম্বী ভবনের শহর নিউইয়র্ক কে সমতলভুমি বানাতে এই মিসাইলের সময় লাগবে মাত্র ৫ মিনিট এই আইসিবিএম কে ন্যাটো রিপোর্টিং নেম দিয়েছে SS-18 Satan বা শয়তান
বিবরন:
ভর : ২০৯,৬০০ কেজি (২০০ টন)
উচ্চতা : ১০৬ ফিট
অপারেশনাল রেন্জ : ১০,২০০ - ১৬,০০০ কি.মি
গতি: সেকেন্ডে ৭.৯ কি.মি
ব্যাবহারকারী: Russian Strategic Rocket Forces
এই আইসিবিএম এর সুবিধা হলো এর সাইলো ,সাবমেরিন এবং মোবাইল ভার্সন আছে । তবে সাইলো বেজ ভার্সনই সবচেয়ে মারাত্বক।
R-36 এর মতো ভয়ংকর মিসাইল আপাতত নাই । আমেরিকা নিজেও এই মিসাইলকে যথেষ্ট ভয় করে। ১৯৯০ পরবর্তি সময়ে আমেরিকা রাশিয়ার সাথে START II চুক্তি করেছিলো এই মিসাইল গুলো ধ্বংসের জন্য কিন্তু তা রাশিয়ার দুমা (সংসদের নিন্ম কক্ষ) পাশ না হইয়া দীর্ঘদিন ঝুলেছিলো পরে পুতিন এসে তা প্রত্যাক্ষান করে এবং কমপক্ষে ১৫৪ টা R-36 আইসিবিএম আ্যাকটিভ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়। তখন আমেরিকা জর্জিয়াকে ন্যাটোর সদস্য করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। তারপর রশি টানাটানি এবং শেষমেষ রাশিয়া - জর্জিয়া যুদ্ধ
এইটা কোন সিরিজ না, এমনেই একটা পোষ্ট আরকি
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩৫