এ্যডভেঞ্চারের ষোলকলা যদি কেউ পুরণ করতে চান, তাহলে ছুটে যান বান্দরবানের পর্বতমালার গহীণে সাতভাইখুম আর আমিয়াখুমে। মনে হবে পৃথিবী এমন সুন্দর হতেই পারেনা, এ কোন কল্প লোকের স্বর্গরাজ্য। আসুন আমার ক্যামেরায় ঘুরে আসি সেই স্বর্গরাজ্য।
(২) পাহাড়ি গ্রাম সাজাই ভ্যালি থেকে মেঘের ভেতর দিয়া আমরা রওয়ানা হলাম আমিয়াখুমের উদ্দেশ্যে।
(৩/৪) পাহাড়িরা জুম চাষের সাথে প্রচুর ফুলেরও চাষ করে, কিন্তু সেই ফুল দিয়া ওরা কি করে জানা হলো না।
৫/৬) অসাধারণ সাতভাই খুমের পাশ দিয়া আমরা আমিয়াখুমের দিকে গেলাম।
(৭/৮) নাক্ষিয়ংমুখে এসে আমরা আটকে গেলাম, দুই পাশেই আকাশ ছোয়া খারা পাথুরে পাচিল, আর মাঝখানে ছুটে চলা হীম শীতল জলের রাজ্য, সামনে যাওয়ার পথ একটাই, বাঁশের ভেলা।
(৯/১০) ভর দুপরের আলো আধাঁরিতে অদ্ভুত রহস্যঘেরা সৌন্দর্য্যে যে কারো চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। আমার মনে হয় আমার দেখা সেরা জায়গার একটি।
( ১১) দুইজন দুইজন করে বাঁশের ভেলা দিয়ে সেই অসাধারণ পাহাড়ি খাল পার হলাম।
(১২) ভেলায় পার হওয়ার সময় কিছুটা ভিজে যাওয়ায় আগুন জ্বালিয়ে কিছুটা গরম হওয়ার চেষ্টা।
(১৩) সুন্দর একটা যায়গা আমাদের টিমের সম্মিলিত পোজ।
(১৪) মাছ।
(১৫) সামনে আরো কিছুটা পাথুরে পথ।
(১৬) অবশেষে আমরা সফল হয়েছি সেই স্বপ্নরাজ্যের জলধারার স্পর্শ পেতে।
(১৭) আমিয়াখুমের জলধারার দুইপাশের গঠনশৈলী একেবারে অন্য রকম। প্রকৃতির তৈরী সিড়িঁর পর সিঁড়ি, যেন কোন শিল্পীর অনেক দিনের সাধনায় তৈরী কোন আরাধ্য প্রতিমা।
(১৮) সব শেষে আমি।
তবে এই আকাশ ছোয়া পাহাড়, পিচ্ছিল পাথর আর ঘন জঙ্গলের স্বর্গরাজ্যে আবার আসবো সেটা আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। জানিনা আবার আমি কখনো সাহস আর সময় বের করতে পারবো কিনা আমিয়াখুমের রূপসুধা পান করার। তবে মনের গহীনে যদি আমার কোন সুপ্ত ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে সে অবশ্যই আমিয়াখুমের জন্য।