ব্লগের পুরানো পোস্টগুলো মাঝে মাঝে পড়ি। এমনি ভাবে একদিন এই পোস্টটা পেয়ে গেলাম। এতে মাকসুদের "হায় পরোয়ার দিগার" গানটার লিরিকস দেওয়া ছিল। গানটার অসাধারন লিরিকসে এ দেশী জামাতি জারজদের আসল রূপ ফুটে উঠেছে। ভাবতে অবাক লাগে এই জানোয়ারগুলো কিভাবে এত অপকর্ম করার পরেও এখনো এই দেশে টিকে আছে। এই আমরাই জানোয়ারগুলোকে ধর্মকে ব্যবহার করতে দিয়েছি। কাল ২৮ অক্টোবর। ইতিমধ্যে ছাগুদের কপিপেস্ট পোস্ট আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি মাকসুদের গানটি ইউটিউব আর মিডিয়াফায়ারে আপলোড কে দিলাম। এটা শুনুন আর জানুন কিভাবে এইদেশের মানুষগুলোর সাথে ধর্মের নামে এই জানোয়ারেরা প্রতারনা করে যাচ্ছে।
ইউটিউব ভিডিও
মিডিয়াফায়ার এ এমপিথ্রি ফরম্যাটে গানটি। সাইজ মাত্র 5.63 MB
গানের কথা হল
কোন পথে ওরা চলছে হায় পরোয়ার দিগার
যে হাতে তাদের কোরান শরীফ সেই হাতে কেন তলোয়ার ?
নারেয়ে তাকবির আল্লাহুআকবার বলে দিচ্ছে জিহাদের ডাক
হত্যা করছে ওরা মানব জাতি তোমার আশরাফুল মাকলুকাত ।
কোন পথে চলছি আমরা হায় পরোয়ার দিগার
বাড়ীতে বাড়ীতে আছে কোরান শরীফ তবে নেই তার কোন তেলোয়াত।
আল্লার আইন কায়েম হোক ওরা তুলছে দাবী প্রতিদিন
লাকুমদিনিকুম ওলিয়াদিন আমার লাকুমদিনিকুম ওলিয়াদিন ।
প্রতিদিন বৈষম্য আর বিদ্ধেশ দেশ জুড়ে
প্রতি ওয়াক্ত প্রতিবাদ শুধু আযানের শুরেশুরে ...
ওরা জাইতুনের ঢাল মাটিতে ছুড়েঁ ফেলে অস্র তাক করেছে
ওরা শান্তির পায়রাকে হত্যা করে শকুন পুষতে শিখেছে (২)
কোন পথে চলছি আমরা হায় পরোয়ার দিগার
তোমার অস্তিত্ব স্বীকার করি আমরা যে গোনাগার
ধর্মান্ধ উগ্রবাদীদের নাম দিলাম মৌলবাদ.....
পাল্টে ওরা জবাব দিলো আমাদের তোরা নাস্তিক - মুরদাত।
একি আমরা দেখছি হায় পরোয়ার দিগার
হত্যা কারি আর জেনা কারিরা সেজেছে নব্য পয়গাম্বর ।
৭১'র কাফের সন্তানকে ক্ষমা করেছে আদালত
রোজ হাশরে তুমি ক্ষমা করবেনা এই আমাদের এবাদত ।
দেশটা আর শান্তির কথা ভেবে আমরা রয়েছি নিরব
যখন নিরবতা ওরা দুর্বলতা ভাবে রক্ত করে টগবগ ..
ওদের প্রতিটি হুমকি প্রতিটি আঘাত বুঝতে আমরা শিখেছি
ওদের স্বাধীন বাংলার পতাকাতলে আশ্রয় করে দিয়েছি(২)
কোন পথে চলবো আমরা হায় পরোয়ার দিগার
বাংলাদেশের সব ধর্মের আছে সমঅধিকার
অনেক কাল তোমার কেটে গেছে মাবুদ মন্দিরে মসজিদে..
সময় এসেছে প্রভু এসো অন্তরে .....
কোন পথে চলছি আমরা হায় পরোয়ার দিগার
পৃথিবীর তামাম কালামে তুমি ফিরে এসেছ বারেবার ।
তারা ভুলে গেছে তোমার ভালোবাসা আর প্রাচীন পরমভরা
প্রতিদিন বৈষম্য আর বিদ্ধেষ দেশ জুড়ে....
শঙ্খ আর আযানের ধ্বনি উঠুক মন্দিরে মসজিদে ।
ওরা উৎকৃষ্ট মানব জাতির দাবীতে অস্র তাক করেছে
ওরা তোমার বিধান লঙ্গন করে জল্লাদ হতে শিখেছে (২)
ওরা জাইতুনের ঢাল মাটিতে ছুড়েঁ ফেলে অস্র তাক করেছে
ওরা শান্তির পায়রাকে হত্যা করে শকুন পুষতে শিখেছে (২) ।
এরা মানুষ নয়, এরা হল পশু। ১৯৭১ সালে এরা যেসব অপকর্ম করেছে, সেসব নিয়ে তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। এদের আমরা এখনো ক্ষমা চাওয়াতে পারিনি। এখনো তারা সারাদেশে হত্যার রাজনীতি করে চলেছে।
এদের সাথে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অন্যতম বিএনপি জোট করেছে। তারাই আবার দলের স্থপতিকে মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতার ঘোষক বলে প্রচার করে। ঠিক ঐ সময় শুয়োরগুলোর গলা টিপে ধরে বলতে ইচ্ছে করে তোর নেতা কার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষনা করেছিল? আসমান থেকে নেমে আসা রাক্ষস-খোক্ষস দের বিরুদ্ধে? যুদ্ধ শেষে তারা বাতাসে মিলিয়ে গিয়েছে? তোরা কার সাথে জোট করিস? আর আরেক দল আছে এই জানোয়ারদের বিরোধীতাকে নিজেদের কাজে লাগাবার তালে। কোলে বসিয়ে রেখেছে স্বৈরাচারী এক লম্পটকে। যে কিনা এই স্বাধীনতা বিরোধীদের শেকড় এই দেশের মাটিতে জোড়ালো ভাবে বসাতে সাহায্য করেছে।
আমরা আওয়ামীলীগের কেউ না, বিএনপি আমাদের কেউ না। আমাদের উদ্দেশ্য জামাতি নরপশুদের এই দেশ থেকে উৎখাত করা। এই কাজে যেই দল সাহায্য করবে, সে-ই আমাদের সমর্থন পাবে। অন্যথায় তাদের ছুঁড়ে দেওয়া হবে ব্যবহৃত টিস্যু পেপারের মত। তা যদি আমরা করতে না পারি তবে আমাদের পূর্বসুরী শহীদেরা আমাদেরকে না ফেরার দেশ থেকে অভিশাপ দেবে। ভবিষ্যতে এই দেশের মাটাতে কোন বহিঃশত্রু আগ্রাসন চালাতে এলে কেউ রুখে দাঁড়াবে না। কেন রুখবে? যেই পশুদের তারা নির্মূল করতে নিজের জীবন বাজী রাখবে, তারাই পরবর্তিতে দেশে সুখে শান্তিতে থাকবে। আর তাদের একটা সার্টফিকেট দিয়ে নাটক সাজানো হবে। ইতিহাস দেখে তো তারা সেটাই জানবে, তাইনা?
সুতরাং যে কোন মূল্যে দেশ থেকে জামাতি জারজদের উৎখাত করতেই হবে।
বাংলার মাটিকে আমরা শুয়োরের খোঁয়ার হতে দেব না।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:০০