somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবারও বড় ধরনের বুদ্ধিজিবী নিধনের শিকার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

২৩ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কি?
টাশকি খাইলেন?
ভাবতেছেন জেএমবির মত কোন ছাগু সংগঠন আবার নতুন করে ফালাফালি শুরু করল কিনা? অথবা পাকি শুকোরগুলো আবার কোন নতুন চাল চালছে কিনা?

আবার আমারে পাগল ছাগলও মনে হৈতারে। দোষের কিছু নাই। যে শিরোনাম খানা লাগাইছি, তাতে প্রত্যেকেই নিজেদের কল্পনা শক্তি অনুযায়ি ভাবতেই পারেন। কিন্তু বিশ্বাস করেন, কাহিনী কিন্তু সত্য। একটুও মিছা কথা কইতাছি না। বিশ্বাস হৈতাছে না? তয় খাড়ান, আমার সব কথা শুইনা যদি মনে হয় গালি দেওয়া দরকার, দিয়েন। কোন সমস্যা নাই।
কন দেখি দ্যাশের জনসংখ্যা এখন কত? এক্কেবারে কাঁটায় কাঁটায় সঠিক হিসাব লাগবো না। ধরেন ১৫ কোটি।
আমাগো রাজধানী ঢাকায় থাকে কত মানুষ? ধরেন ১ কোটি।

হু হু বাবা, রাজধানী বলে কথা!!! রাজধানীর রাস্তায় চিকা মইরা গন্ধ ছুটলে সেইটা লৈয়াও পেপারে লেখালেখি হয় (সমস্যার সমাধান হয় কি হয়না, সেইটা ব্যাপার না কিন্তু)। আমাগো পকেটে দুপয়সা জমলেই এই রাজধানীর সীসা ভরা বাতাস খাওনের লাইগা ফুসফুস আকুলি বিকুলি করে। সরকারী বেসরকারী যেই চাকরীই হোক না কেন রাজধানীতে পোস্টিং এর জন্য আমরা জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত দিতে রাজী আছি।

স্কুল পাশ কইরা আমাগো ছাত্রছাত্রীরা দু’আঙ্গুলে ভি দেখায়, আর টিভি চ্যানেলগুলারে কয়, তারা ভর্তি হইতে চায় ঢাকা কলেজ, নটরডেম কলেজ, ভিকারুন্নিসা অথবা হলিক্রসে। আবার এই পোলাপানগুলা কলেজ পাস দেয়। আবার ভি দেখায় আর কয় যে তারা এবারে পড়তে চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,, বুয়েট বা ঢাকার কোন মেডিক্যাল কলেজে।
বৈদেশী হইলে অন্য কথা ভাবতে পারে। কিন্তু আপনি আমি ভাল করেই জানি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাইকা পাশ কইরা এই পোলাপানগুলা আর জলকাদায় ভরা নোংরা মফস্বল বা গ্রামে ফিরে না। তাগো দৃষ্টি মণ অখন বড় হৈছে। তেনারা তো আর ছোটো জায়গায় পইড়া থাইকা নিজেগো প্রতিভা নষ্ট করবার পারেন না। তাই তারা স্থায়ী হৈতে চান ঢাকা নামক এক জান্নাতুল ফেরদাউসে।

এই উচ্চশিক্ষিত মানুষগুলাই তো দেশের বুদ্ধিজিবী (গালি দিই নাই কিন্তু) সমাজ, নাকি? এছাড়াও আছেন বিদগ্ধ (মানে জানি না) রাজনীতিবিদেরা। তেনাদের সবার নিজ নিজ এলাকায় ঠিক ঠাক মত বাড়িঘর আছে কিনা নিশ্চয়তা দিবার পারুম না, তয় ঢাকাতে যে নিজের-ই হোক সরকারী হোক, একটা না একটা বাড়ি আছেই।

তো কি দেখতাছেন? প্রকৃতির অপূর্ব লীলায় দ্যাশের বুদ্ধিজিবী সমাজ তিলোত্তমা নগরী ঢাকায় জমা হইতাছে।

এখন আসি কামের কথায়, গত রোজার ঈদে বিকালে আর রাইতে যে ঝাঁকি খাইছিলেন, তা কি মনে আছে? মনে না থাকলেও সমস্যা নাই, আমি মনে করায়া দিতাছি। ঐদিন অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ বিকাল চারটার দিকে হালকা একখান ভূমিকম্প হৈসিল।[সূত্র] ঐ ভূমিকম্পে তেমন কোন ক্ষতি হয় নাই। সেই দেইখা অনেকেই দেঁতো হাসি দিয়া কইছি, বাংলাদ্যাশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প আইতে সাহস করতাছে না। কিন্তু দ্যাশী বিদ্যাশী বিশেষজ্ঞরা কইছে, “হাইসনা কেরামত আলী, তুমাগো খবর আছে। তোমাগো বাংলাদ্যাশেও যেকোন সময় বড় সড় ভূমিকম্প গুতা দিবার পারে।“ এই ভূমিকম্পের মাত্রা যদি রিখটার স্কেলে বা তার বেশি হয়, তাইলে ঢাকার তিন ভাগের একভাগ বাড়ি ঘর পাউডার হইয়া যাইবো।[সূত্র] ক্ষতি এতই মারাত্নক হৈব যে দূর্গোত মানুষগো উদ্ধার করার মত লোক থাকবো না।
আর তিলোত্তমা ঢাকা যেহেতু সর্বদিকে শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজিবীগো আখড়া, তাই তেনারাও ইন্তেকাল ফরমাইবেন। তখন কি হৈব বিষয়টা একবার কি চিন্তা করছেন। একাত্তরে আমগো পঙ্গু করার লাইগা পাকি আর তাগো এদেশী বেজন্মাগুলা দেশের জ্ঞানীগুণী মানুষগুলারে মাইরা শেষ কইরা ফালাইছে। এই দুঃখের কথা শুইনা আমরা সবাই চুকচুক করছি। আর মনে মনে ভাবছি “ইস, ঐ লোকগুলা থাকলে দেশটা একেবারে সোনার বাংলা হৈয়া উঠত”। গতবার নাহয় পাকি আর রাজাকারগো দোষ দেওয়া গ্যাছে। কিন্তু এবার কি হৈব? এবার সবাই কিন্তু মরবো নিজেগো দোষে। আর গতবারের ক্ষতি আমরা কাটাইয়া মাথা তুইলা দাড়াইতে বহু সময় লাগছে, এবারে কিন্তু পুরা দ্যাশের মেরুদন্ড একেবারেই ভাইঙ্গা যাইবো। তখন “ইন্ডিয়া খাইয়া ফালাইলো”, “আম্রিকা দখল কৈরা লৈয়াগেল” এগুলা কোন কামে দিবো না। দ্যাশে তখন ঐ বিদেশী প্রভূগুলারেই দাওয়াত দিয়া আনতে হৈব। বাংলাদেশী আর্মি আগে যেমন বিভিন্ন দ্যাশে নীল টুপি পইরা ত্রান বিলাইছে, এবারে সেই ত্রাণ নিতে হৈব আমাগো।



এই ছবিগুলা থাইকা আমরা কি কিছুই শিখুম না?

সুতরাং সময় থাকতেই ঢাকা থেকে অফিস, আদালত, কল-কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিকেন্দ্রীকরনের প্রয়োজন। দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় রাজধানীর ক্যান্সারের মত বৃদ্ধি কোন ভাবেই দ্যাশের উন্নয়ন করবো না। আমরা কি একবারও ভাইবা দেখছি গুজরাট, হাইতি এইগুলার মত ঢাকার অবস্থা হৈলে কি হৈব? কয়েক লাখ মানুষ মরার আগে পর্যন্ত আমরা কি কোন উদ্যোগই নিতে পারুম না? উদ্যোগ শুরু হোক ব্যক্তিগত পর্যায় থাইকা। আন্ধার মত ঢাকার দিকে না দৈড়াইয়া দেখিনা ঢাকার বাইরে কিছু করা যায় কিনা। “ঢাকাতেই থাকতে হৈব” এমন ধারনা পরিহার করাই শ্রেয়।

এতক্ষণ ধইরা আমার বাকোয়াজি শোনার জন্য আপনারে ধন্যবাদ।
ভাল থাকেন, আর ভূমিকম্পের হাত থাইকা নিজেরে রক্ষা করেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৪৯
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এলেম কি? এ বিষয়ে বান্দার দায়িত্ব কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:১০




সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প- ৯৪

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০১



নাম তার তারা বিবি।
বয়স ৭৭ বছর। বয়সের ভাড়ে কিছুটা কুঁজো হয়ে গেছেন। সামনের পাটির দাঁত গুলো নেই। খেতে তার বেগ পেতে হয়। আমি তাকে খালা বলে ডাকি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়ি বুনো ফল-রক্তগোটা ভক্ষন

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০৮ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫

পাহাড়ি বুনো ফল রক্তগোটা এর রয়েছে বিভিন্ন নাম-রক্তগোটা, রক্ত ফল, রক্তআঙ্গুরী, রক্তফোটা, রক্তজবা পাহাড়িরা আবার বিভিন্ন নামে ডাকে। এর ইংরেজী নাম ব্লাড ফ্রুট।











প্রতি বছর... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেষমেষ লুইচ্চা হামিদও পালিয়ে গেলো!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০৩



৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতন হয় ফেসিস্ট হাসিনা ও তার দল আম্লিগের। এরপর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে দলটির চোরচোট্টা নেতাকর্মীরা। অনেক চোরচোট্টা দেশ ছাড়লেও এতদিন দেশেই ছিলো আম্লিগ সরকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত আইসি ৮১৪ বিমান অপহরণের সঙ্গে, জইশ জঙ্গি মাসুদের ভাই রউফ আজ়হার:

লিখেছেন ঊণকৌটী, ০৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩১

অপারেশন সিঁদুরে নিহত আইসি ৮১৪ বিমান অপহরণের সঙ্গে যুক্ত, জইশ জঙ্গি মাসুদের ভাই রউফ আজ়হার: ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর আব্দুল-সহ পাঁচ জঙ্গি আইসি-৮১৪ বিমান অপহরণ করেছিল। মাসুদ আজ়হার আলভি-সহ তিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×