২৭ তারিখ বিকেল পাঁচ টায় চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।ট্রেনে উঠে দেখি আমাদের গ্রুপের সব চাইতে জুনিয়র হলাম আমি।প্রায় রাত এগারটার দিকে চাঁদপুর পৌছালাম।এত রাতেই আবার দৌড়া দৌড়ি,কারণ লঞ্চ ধরতে হবে যে।
দ্বিতীয় বারের মত লঞ্চে চড়ার সুযোগ হল।ছোট বেলায় লঞ্চে একবার কুতুবদিয়া গিয়েছিলাম।লঞ্চে বেশ ভালই লাগছিল।তবে প্রচন্ড ঠান্ডা আর ঘুমের কারণে বেশিক্ষণ জেগে থাকতে পারলাম না।সূর্য উদয় দেখলাম লঞ্চের ছাদ থেকে।আর নদীর দুই পারে "সিডরের" তান্ডবের চিহ্ন চোখে পড়ছিল।প্রায় আঠার ঘন্টার লম্বা সফর শেষে ২৮ তারিখ বেলা এগার টার দিকে বরগুনা জেলার বড়ই তলি ইউনিয়নে আমারা লঞ্চ থেকে নামলাম।
বরই তলি ইউনিয়নে ছিলাম একদিন।পরের দিন বড়ই তলি ছেড়ে বোটে করে রওনা দিলাম পাথরঘাটা ইউনিয়নের কূপধন গ্রামের দিকে।কূপধনে প্রথমে যে জায়গায় থাকার কথা ছিল,দেখলাম ঐ খানে থাকার কোন পরিস্থিতি নেই।গ্রামের লোকেরা প্রায় তিন মাইল ভিতরে নিয়ে গেল।এই তিন মাইলের মাঝে দেখলাম সিডর কোন গাছ আর বাড়ির উপরে আঘাত করতে বাকি রাখে নি।
কূপধনে ছিলাম একদিন।এরপরে চট্টগ্রামে ফিরার পালা।৩০ তারিখ সকাল নয়টায় প্রায় তিন মাইল হেটে চাঁদপুর যাওয়ার লঞ্চ ধরতে হল।লঞ্চ ছাড়ল এগারটার দিকে।লঞ্চ বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে ভিরে একসময় চাঁদপুর পৌছাল।তখন ঘড়িতে প্রায় রাত চার টা।আবার দৌড় ভোর পাঁচ টার ট্রেন ধরার জন্য।কিন্তু ট্রেনের টিকেট কি আর থাকে।
শরীর যে আর কুলোই না।কি আর করা আবার দে ছুট চাঁদপুর বাস স্টেশনের দিকে।ফজরের পর বাস ছাড়ল চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে।কূপধন থেকে রওনা দেওয়ার প্রায় আঠাইশ ঘন্টা পরে ৩১ তারিখ দুপুর একটার দিকে চট্টগ্রাম পৌছালাম।এই ছিল পাঁচ দিনের বরগুনা সফর।
(সিরিকাস পোস্ট তো দিতে ইচ্ছে করে না।যদি ইচ্ছে হয় মাটির মানুষ গুলো কি বলল,তাদের কাছ থেকে কি শিখলাম,কি দেখলাম আর তাদের কি বলা হল তা নিয়ে একটা সিরিকাস
.......
ইউনিকোড কনভার্টেরের কি হল??এত সময় নিয়ে পোস্ট লিখার সময় কই?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৫৬