somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দক্ষিণের দ্বীপে---বরগুনা

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২৬(নভেম্বর) তারিখ রাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এসে পৌছালাম।পরের দিন সকাল বেলা খবর পেলাম এলাকা থেকে ২২ জন বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে।কিন্তু আমি তো এর মাঝে ছিলাম না,তাই আমার কথা চিন্তাই করা হয় নি।এমন সুযোগ কি মিস দেওয়া উচিত?মুখে তো অনেক কিছু বললাম,এবার একটু কাজ....।কি আর কারা নিজেই একটা টিকেট করে নিলাম।

২৭ তারিখ বিকেল পাঁচ টায় চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।ট্রেনে উঠে দেখি আমাদের গ্রুপের সব চাইতে জুনিয়র হলাম আমি।প্রায় রাত এগারটার দিকে চাঁদপুর পৌছালাম।এত রাতেই আবার দৌড়া দৌড়ি,কারণ লঞ্চ ধরতে হবে যে।

দ্বিতীয় বারের মত লঞ্চে চড়ার সুযোগ হল।ছোট বেলায় লঞ্চে একবার কুতুবদিয়া গিয়েছিলাম।লঞ্চে বেশ ভালই লাগছিল।তবে প্রচন্ড ঠান্ডা আর ঘুমের কারণে বেশিক্ষণ জেগে থাকতে পারলাম না।সূর্য উদয় দেখলাম লঞ্চের ছাদ থেকে।আর নদীর দুই পারে "সিডরের" তান্ডবের চিহ্ন চোখে পড়ছিল।প্রায় আঠার ঘন্টার লম্বা সফর শেষে ২৮ তারিখ বেলা এগার টার দিকে বরগুনা জেলার বড়ই তলি ইউনিয়নে আমারা লঞ্চ থেকে নামলাম।

বরই তলি ইউনিয়নে ছিলাম একদিন।পরের দিন বড়ই তলি ছেড়ে বোটে করে রওনা দিলাম পাথরঘাটা ইউনিয়নের কূপধন গ্রামের দিকে।কূপধনে প্রথমে যে জায়গায় থাকার কথা ছিল,দেখলাম ঐ খানে থাকার কোন পরিস্থিতি নেই।গ্রামের লোকেরা প্রায় তিন মাইল ভিতরে নিয়ে গেল।এই তিন মাইলের মাঝে দেখলাম সিডর কোন গাছ আর বাড়ির উপরে আঘাত করতে বাকি রাখে নি।

কূপধনে ছিলাম একদিন।এরপরে চট্টগ্রামে ফিরার পালা।৩০ তারিখ সকাল নয়টায় প্রায় তিন মাইল হেটে চাঁদপুর যাওয়ার লঞ্চ ধরতে হল।লঞ্চ ছাড়ল এগারটার দিকে।লঞ্চ বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে ভিরে একসময় চাঁদপুর পৌছাল।তখন ঘড়িতে প্রায় রাত চার টা।আবার দৌড় ভোর পাঁচ টার ট্রেন ধরার জন্য।কিন্তু ট্রেনের টিকেট কি আর থাকে।


শরীর যে আর কুলোই না।কি আর করা আবার দে ছুট চাঁদপুর বাস স্টেশনের দিকে।ফজরের পর বাস ছাড়ল চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে।কূপধন থেকে রওনা দেওয়ার প্রায় আঠাইশ ঘন্টা পরে ৩১ তারিখ দুপুর একটার দিকে চট্টগ্রাম পৌছালাম।এই ছিল পাঁচ দিনের বরগুনা সফর।

(সিরিকাস পোস্ট তো দিতে ইচ্ছে করে না।যদি ইচ্ছে হয় মাটির মানুষ গুলো কি বলল,তাদের কাছ থেকে কি শিখলাম,কি দেখলাম আর তাদের কি বলা হল তা নিয়ে একটা সিরিকাস:)
.......
ইউনিকোড কনভার্টেরের কি হল??এত সময় নিয়ে পোস্ট লিখার সময় কই?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৫৬
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×