বৃষ্টিবাদলা আর মেঘসামন্তের দিনে আমি স্পঞ্জের সেন্ডেল পইরা বের হয়া গেলাম।
—পৌনে এগারোটার সময়—
অফিস থিকা বের হয়া আমি ঘরের দিকে—
যাইতেসি হে আমার ফরফরাস পিতা!
আমি যাইতে থাকলাম
—না বাসে, না রিকশায়।
মানুষের চোখের মধ্যে সরাফতি হুজুরের তাবিজের মতন ঘুম।
আমি ঘরের দিকে যাইতেসি আর—
বিদ্যুতের খাম্বার নিচে এক দঙ্গল মানুষ—
তারা পিকাপের কিনারে বিষ্টি-কোট পইরা মই নিয়া কথা কয়।
তাগোর এলাকার বিদ্যুতের তারে প্রব।
আমি অনর্গল পাতলা জলের মতন চইলা গেলাম মহারাস্তায়।
সুড়সুড় শব্দ করতেসে পানি।
কোন কুত্তা নাই। কোন পক্ষি নাই। সম্পাদক এবং প্রেমিকার চক্ষু নাই।
পল্টনের সুন্দর গলি ছাইড়া দিয়া আমি—
প্যান্টের তলানি বইটা দিলাম।
মহারাস্তায় সমুদ্র—
পতেঙ্গা সৈকতের লগে মিলমিশ।
অসংখ্য পানির সমুদ্রে উড়তে উড়তে—
হে আমার
ফরফরাস পিতা!
আমি উড়তে উড়তে ঘরের দিকে যাইলাম।
ফরফর কইরা মহারাস্তার গাড়িগুলা যাইতেসে।
হেডলাইটের ব্রিজে ফকফক করতেসে বৃষ্টির বাচ্চাগুলা।
কি সুন্দর! রাস্তা পার হইতে হইতে আমি ভুবনের বাতাসের লগে মিশ্যা গেলাম—
মহারাস্তা, মিলমিশ, পতেঙ্গা, কাকরাইল— আহা রে ফরফরাস!
জগদ্দল কাঁপাইতে লাগলাম।
ছয় নম্বর যায় ওরে দশ নম্বর যায়! বন্ধু বাসের মায়েরে চুদি আমি—
হাঁটতে লাগলাম নবী জ্যাকবের পায়ের মতন।
আর আমার শরীরের পোষাক ভিজতেছে বৃষ্টির ঠাণ্ডা পানিতে—
জিবরাইলের লগে আলাপ করতে করতে আমি মহারাস্তায়—
হে প্রিয় ফরফরাস পিতা!
যাইতে থাকলাম ঘরের দিকে—
যাইতে থাকলাম বিছানার দিকে—
আল্পনাচোদানো পাপোশের দিকে!
ডাচবাংলার টাকা তোলনের বুথের সিঁড়িতে—
গাড়ি বেচনের দোকানের সাটারে
আর ফুটপাতের উঁচা জায়গায় বৃষ্টির পানিগুলা বারি খাইলো আর বারি খাইলো—
ওরে পতেঙ্গা সৈকতের রাইতের শব্দগুলা!
মহারাস্তায় কেউ নাই আর কেউ নাই
সরাফতি হুজুরের তাবিজের ঘুম!
শুধুমাত্র এক মরমের আলাপে-বিলাপে
আমি পানি ভাইঙ্গা গেলাম।
জগদ্দল, মহারাস্তা, জিবরাইল, শান্তিবাগ— আহা রে ফরফরাস!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:২৫