-কবি নেযার কাব্বানী
[মূল আরবী থেকে বাঙলায়ন]
১
এই যে চোখের গভীরতা-
তোমার ভালোবাসা মূলতই অনিশ্চয়তা,
অস্পষ্ট দেমাগ-
তোমাকে ভালোবাসতে পারাই এবাদত।
এই ভালোবাসা কেবলই জন্ম-মৃত্যুর মতো।
এমনই অসহ্য কঠিন- ইহকালে দুইবার ফিরে আসে।
২
তোমার দুই চোখ বৃষ্টিমুগ্ধ রাতের মতো,
আমার দুইটি কাঁধ যেখানে ডুবে থাকে।
কবিতারা হাঁটতে জানে ভুলকরা পথে-
এখানে এমন সকল চোখের বুনন,
যার কোন বর্ণনা নেই।
৩
আমি তো বাতাসের গায়ে লিখেছি তার নাম-
যাকে আমি ভালোবাসি।
নদীর শরীরজুড়েও আমি লিখেছি।
আমার জানা নেই কেনো বাতাসেরা এই কানকে কষ্ট দেয়।
জানা নেই- নদীও কেনো যে আকাশকে রক্ষা করে না।
৪
বেকারত্ব-
কতোকাল ধরে পৃথিবীতে কোন অলৌকিক আঁধার ঝরে পড়ে না।
বেকার! বেকার!
আমি কথার শক্তি খুইয়েছি-
আর তোমার শরীরই সকল শব্দের বয়ান করে দেয়।
৫
আমি তোমার জন্য এমন বর্ণনার প্রাসাদ বানাতে চাই-
যা কোন তথাকথিত কবিতার সাথে চলেনা।
যেখানে মনোরম বৃষ্টির সিম্ফোনি আছে।
জোছনামাখা রাতের মুঠি মুঠি ধূলি আছে।
আর কিছু আছে ছাইয়ের মতন দুঃখবহ মেঘ ।
এবং যেখানে সেপ্টেম্বরের শূন্যতায় গাছের ডালের শীর্ষ পাতারা দোলে।
৬
যখনই আমি তোমাকে বলেছি- ভালোবাসি।
আমি জানতা্ম, একটি নয়া ভাবনার প্রাসাদ আমি গড়ছি।
এমন কোন শহরে- যে শহর তুমি পাঠ করোনি।
কোন অবসাদ-ভরা হলঘরে আমি গাইতাম নিজরই কবিতামালা।
মদের গেলাশ তুলে দিতাম তাদেরকে-
যারা জানেনা, নেশামত্ত সময় বড় ঐশ্বরিক!