somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রম্য রচনা ; সহপাঠী

১৫ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৪:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিদ্যালয় বন্ধ থাকিলে এবং আফিস আদালত খোলা থাকিতে প্রত্যুষের কিছু পড়ে দ্বীপ তাহার বাটী হইতে বাহির হইয়া আমার বাটীতে উপস্থিত হইতো। আমার বাটীতে উপস্থিত হইলেও কিনতু আমার সাক্ষাৎ মিলিত নাহ,প্রথমে আমার দাদা জানের সাথে কুশলাদি বিনিময়ের পরেই সে আমার কাছে আসিতে পারিতো। যে দু-চারজন সহপাঠীদের আমার বাটীতে প্রবেশাধিকারে কোন হস্তক্ষেপ অথবা জবাবদিহিতার মধ্যে পড়িতে হইতো না, তাহার মধ্যে দ্বীপ একজন। আমরা আড়ালে আবডালে তাহাকে ডীলু"ও (তাহার বাবার নাম) বলিয়া ডাকিতাম।এতে সে কোনোরূপ মনোক্ষুণ্ণ হইতো না।

দ্বীপ আমার সহপাঠী, আমরা একই বিদ্যালয়ে একই শ্রেণীকক্ষে অধ্যায়ন করিতাম (একই শ্রেণীকক্ষ বলার কারন হইলো আমাদের পাঠশালায় একটি শ্রেণীর চারটি শ্রেণীকক্ষ থাকিতো)।আমরা বাটী হইতে বাহির হইয়া কোর্টের পেছনের পুকুরপাড়,নয়তো পাগলা গারদের পাশের আশ্রমের পুকুরপাড় অথবা ফরেস্টের পেছনের লাশকাটা ঘরের পাশে সময় ক্ষেপণ করিতাম এবং দেশ বিদেশ,মহাকাশের অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ নিয়া চিন্তিত হইতাম।

আমি হয়তো আপনাদের বোঝাইতে পারিয়াছি দ্বীপ বন্ধু হিসেবে আমার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলো।শ্রেণীকক্ষে আমাদের রোল নম্বর আগেপিছে ছিলো তাই পরীক্ষায় আমাদের ছিটও আগে পিছে পড়িত। তো ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে পরীক্ষার হলে ছিট পড়িলে যা হবার তাই হইতো, দুই জনের খাতা আলাদা করা মুশকিল হইয়া পড়িত।

একবার ক্লাশ নাইনে পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষায় দ্বীপ আমার চেয়ে এক নম্বর বেশি পাইয়া তাক লাগাইয়া দিলো! আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ় হইয়া ভাবিতে লাগিলাম এমন তো হইবার কথা নয়,পরে খাতা মিলাইতে বসিলাম।তখনই সম্রাট আকবরের জাঙ্গিয়া আবিস্কার হইলো।আকাশ কেন নীল দেখায়,এই প্রশ্নের উত্তর আমি দ্বীপের খাতা হইতে কপি করিয়া ছিলাম, এবং নীল আলোর তরঙ্গ ভাসিবার স্থলে আমি আসিতে থাকে লিখিয়াই গোলমাল বাধাইয়াছিলাম যাহা এখনো আমার অন্তর পীড়ার কারন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৪:০৫
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিচার চাই? না ভাই, আমরা "উল্লাস" চাই

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৭





দীপু চন্দ্র দাস একটি পোশাক শিল্প কারখানায় চাকরি করতো। সম্প্রতি দীপু দাস তার যোগ্যতা বলে সুপার ভাইজার পদে প্রমোশন পেয়েছিলো।

জানা যায়, সুপারভাইজার পজিশনটির জন্য আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×