আমার জেলা পাবনায় যে আদিবাসী আছে আমার জানা ছিলো না।এটা আমি জেনেছি ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার পর।"সমরা" নামে একটি কোম্পানির জরিপের কাজে অংশ নিতে পাবনার দাশুরিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে আমি এই "মাড়মী" আদিবাসী পল্লী আবিষ্কার করি এবং অবাক হই।
এটা ২০০৫ এর কথা, এখন আর একটু পেছনে যাবো।২০০০ সালের আগে।তখনো আমাদের অঞ্চলে কিছু বন জঙ্গল অবশিষ্ট ছিলো।মাঝে মাঝে দেখতাম তীর ধনুক নিয়ে কিছু আদিবাসী জঙ্গলের দিকে যেতো এবং সন্ধ্যায় কাঁধে একটি লাঠির দুই প্রান্তে ঝোলানো অবস্থায় খরগোশ, বন বিড়াল, কাছিম নিয়ে ফিরে যেতো।তখন আমি সেই ছোট্ট মনে অবাক হয়ে ভাবতাম আমার চোখে কেন বুনো খরগোশ পড়ে না!!!
হ্যা, সেই বুনো খরগোশ আমি দেখেছি তারও বিশ বছর পর।
সময় ডিসেম্বর, ২০২০। রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ শেষ করতে রাত হয়ে যায়।আমাদের আর এক টিম অন্য ডিপার্টমেন্টের কাজে থাকায় অফিসের গাড়ি তাদের জন্য রেখে আমি রুপপুর মোড় থেকে সিএনজি নিয়ে পাবনা শহর (নিজ বাসভবন) এর উদ্দেশ্য রওনা হই।রুপপুর মোড় ছেড়ে কিছুদূর আসার পরেই আমি তার দেখা পাই,হ্যা একটি খরগোশ খুবই দ্রুত রাস্তা ক্রস করছে।তার গায়ের বাদামী রং দেখে আমি সিওর হই এটা বুনো খরগোশ।
দেখি সিএনজি ড্রাইভার "শজারু, শজারু " বলে চিল্লাতে, এবং আমি "ব্রেক ব্রেক " বলে চিল্লাই।পাছে গাড়ির চাকায় প্রকৃতির সৌন্দর্য পিষে না যায়!
পরে সিএনজি ড্রাইভারের সাথে কথা বলে সিওর হই, সে আসলে শজারু বলে নাই,বলেছে "লাফারু" আমাদের এলাকায় অনেকে এ নামেও প্রানিটিকে ডেকে থাকে।
রুপপুরে আগে প্রচুর পরিমানে বন্য প্রানি থাকলেও এখন কমে গেছে।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সব প্রানীর প্রয়োজন আছে।বেশি করে গাছ লাগান, ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৯