বাংলাদেশে আবারো পরিবহন শ্রমিক এবং মালিক পক্ষ আন্দোলন শুরু করেছে।ওনাদের দাবি দাওয়া খুবই সরল।রাস্তায় গাড়িচাপা দিয়ে কাউকে মেরে ফেললে এটা স্রেফ দূর্ঘটনা হিসেবে নিতে হবে,কোন শাস্তির বিধান রাখা যাবে।এবং অতি দ্রুত ভূলে যেতে হবে।
আমরা আন্দোলন/অবরোধ প্রেমিক জাতি।পৃথিবীতে প্রতি মূহুর্তে এক হাজার আটশত জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়।বাংলাদেশে প্রতিদিন এক হাজার আটশত না হলেও এক শত আশি জায়গায় বিভিন্ন কারনে আন্দোলন /রাস্তা অবরোধ হয়।নিজের প্রয়োজন না থাকলে আমরা হাততালি দিয়ে সকল প্রকার উৎসাহ উদ্দিপনা প্রদান করত গুজব টুজব ছড়িয়ে সেটা বাড়িয়ে দিয়ে অন্যকে বিপদে ফেলার তালে থাকি,যেহেতু আমরা বাঙালী।
এদিকে বাংলাদেশের একমাত্র প্রথম নিরাপদ সড়ক আন্দোলন কর্মী "ইলিয়াস কাঞ্চন ' কে সব রকমের বাস ট্রাক স্ট্যান্ডে অবাঞ্চিত ঘোষনা করায় আমু আহত হয়েছি।এবং অনেক দিন পর আবারো ব্লগের কলম তুলে নিয়ে শুধু মাত্র নিজের দায়বদ্ধতা থেকে।জানি এখানে লিখে কিছুই হবে না।
আজ সরকারের কিছু ভূল সিদ্ধান্ত আমার পরিবহন সেক্টেরে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য দায়ী বলে মনে হচ্ছে।সরকার গাছের গোড়ায় পানি না ঢেলে পানি ঢেলেছে গাছের মাথায়।
হুট করে এমন এক আইন চাপিয়ে দিয়েছে যা শ্রমিক/মালিকেরা মানতে চাইছে না।
এখন আসুন একটু আলোচনা করি, কিভাবে গাছের গোড়ায় পানি ঢালতে হবে।
পরিবহন শ্রমিক মালিক কিছু আইন মানতে বাধ্য, কিন্তু আমরা সে আইন বাংলাদেশে স্ট্যাবলিস্ট করতে পারছি না,যেমন: গতি নিয়ন্ত্রণ, লেন ব্যাবহার,ওভারটেকিং,নির্ধারিত জায়গায় থামা ইত্যাদি।
রাস্তার পাশে আমাদের বাস থামিয়ে লোক ওঠা নামার জন্য এক্সট্রা লেন নেই,সো আমাদের মেইনরোডে বাস থামিয়ে লোক ওঠা নামা করতে হয়।যেহেতু ফুটপাথ পাতি নেতার তত্বাবধায়নে ভাসমান ব্যাবসায়ী দ্বারা দখল হয়ে আছে তাই আমাদের ও মেইন রোড ব্যাবহার করতে হয় হাটার জন্য।
স্পিড আইডেন্টিফায়িড গান এবং সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে চালকে শাস্তি প্রদান করা যায় খুব সহজেই।
ছোট ছোট রুলস এন্ড রেগুলেশন স্ট্যাবলিস্ট করলে রাঘব বোয়ালের এমনিতেই চুপসে যাবে।
কিন্তু আমরা পারব না।কারন আমাদের আছে সরিষার মধ্যেই ভূত।আমাদের আছে সীমাহীন সীমাবদ্ধতা। সীমাবদ্ধতা কি সম্ভবনায় রুপান্তর করা যায় না???
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৫৩