প্রযুক্তির আশীর্বাদে ও ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনের তাগিদে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছি। আমাদের এই চাহিদা মিটাতে আকাশে উড়োজাহাজের ভিড় বেড়েই চলেছে। আমরা যারা উড়োজাহাজের যাত্রী তাদেরও উড়োজাহাজ ও এয়ারলাইন্স সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক বিষয় জানা হয়ে উঠে না। আসুন আমরা জেনে নেই এই উড়াল যন্ত্র উড়োজাহাজের ভ্রমণের পিছনের মহাযজ্ঞের কিছু কথা।
প্রথমেই বলে রাখা ভাল যে, এই পোষ্টে সকল বর্ণনা সাধারণ ও প্রচলিত যন্ত্রাংশের এবং প্রচলিত পদ্ধতির বর্ণনা করা হয়েছে যা নির্দিষ্ট কোন উড়োজাহাজের সাথে এবং পাইলটের নির্দিষ্ট কোন পদ্ধতির সাথে নাও মিলতে পারে। কারণ প্রতিটি উড়োজাহাজের ধরন, পরিচালনা এবং রক্ষনাবেক্ষনের জন্য কিছু কিছু স্বতন্ত্র পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
উড়োজাহাজের একটি সাধারণ ফ্লাইট সাতটি পর্যায়ে যাত্রা সম্পন্ন করে থাকে। পর্যায়গুলি হল:
১। যাত্রাপূর্ব প্রস্ততি(Pre-flight)
২। আরোহন (Boarding)
৩। যাত্রা শুরু(Taxi-out)
৪। উড্ডয়ন-প্রস্থান(Take-off/Departure)
৫। আকাশ পথে (Enroute)
৬। অবতরণ প্রস্তুতি ও অবতরণ(Approach-Landing)
৭। ট্যাক্সি ইন (Taxi-in)
১। যাত্রাপূর্ব প্রস্ততি(Pre-flight):
এই পর্যায়ে রক্ষনাবেক্ষন প্রকৌশলী, সংশ্লিষ্ট কর্মী, পাইলট এবং কেবিন ক্রু সকলেই ফ্লাইটের জন্য নির্ধারিত উড়োজাহাজটিকে ভ্রমন উপযোগী করার জন্য যা যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সঠিক সময়ে ও নিরাপদে উড়োজাহাজটি যাতে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে পারে তার সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহন করেন।
যখন উড়োজাহাজ রক্ষনাবেক্ষন প্রকৌশলীরা উড়োজাহাজটিকে উড্ডয়নক্ষম ঘোষণা করেন এই সময় প্রি-ফ্লাইট চেকলিস্ট(উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী সংস্থা ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত)অনুযায়ী ককপিটে পাইলট নেভিগেশন ও কমুনিকেশন, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, অক্সিজেন ব্যবস্থা ইত্যাদি সমস্ত কিছু চেকলিস্ট অনুযায়ী পরীক্ষা করে দেখেন। অপর একজন পাইলট উড়োজাহাজের বাইরের নিয়ন্ত্রণকারী অংশগুলি নিরীক্ষণ করেন যেমন ডানা ও এর বিভিন্ন অংশ, ইঞ্জিন, উড়োজাহাজের বাইরের সম্পুর্ন অংশ এবং ল্যান্ডিং গিয়ার পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করে নিশ্চিত করেন। কেবিনের ভিতরে কেবিন ক্রুরা জরুরী যন্ত্রপাতি, যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সকল কিছু ও খাবার সংরক্ষণ করেন।
(ক) উড়োজাহাজের জ্বালানী তেলঃ
আপনার ফ্লাইটটি যাত্রার আগে যে সব কাজ সম্পন্ন করতে হয় তার মধ্যে উড়োজাহাজের জ্বালানী সংগ্রহ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্লাইট ডিসপ্যাচার প্রথমে ফ্লাইট প্ল্যান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় জ্বালানী তেলের পরিমান নির্ধারণ করেন। পরে ঐ ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন একমত হলে(প্রয়োজনে কিছু পরিমান বৃদ্ধি করলে) একটি ফুয়েল সার্ভিস ফরম(ফুয়েল স্লিপ) তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা হয় এবং সেই অনুযায়ী উড়োজাহাজে জ্বালানী তেল সরবরাহ করা হয়।
এই স্লিপে ফ্লাইট নম্বর, উড়োজাহাজের রেজিঃ নম্বর এবং তারিখ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জ্বালানী তেল সংক্রান্ত কোন সমস্যা যাত্রার আগেই মিটিয়ে ফেলা হয়। উড়োজাহাজের প্রধান দরজা বন্ধের আগেই এই স্লিপ পাইলটের হাতে আসতে হয়। কেননা এটি ফ্লাইট সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
(খ)ফ্লাইট পরিকল্পনাঃ(Flight Plan)
উড়োজাহাজের প্রতিটি ফ্লাইটের জন্য একটি ফ্লাইট প্ল্যান অতি আবশ্যক। ফ্লাইট প্ল্যান প্রস্তুত করতে অনেক গুলি বিষয় বিবেচনা করা হয় যেমনঃ যাত্রা শুরু, গন্তব্য, যাত্রা পথের আবহাওয়া, শিডিউল ফ্লাইট টাইম, যাত্রাপথ, প্রয়োজনীয় জ্বালানীর পরিমান, উড়োজাহাজের ওজন, উচ্চতার সাথে বাতাসের গতিবেগ এবং যে কোন রক্ষনাবেক্ষন যা উড়োজাহজের পরিচালনায় প্রভাবিত করতে পারে ইত্যাদি। এই ফ্লাইট প্ল্যান ৩০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেন এই ফ্লাইট প্ল্যানটি ফ্লাইট ডিসপ্যাচারের কাছ থেকে বুঝে নেন এবং তিনি এই উড়োজাহাজটির সার্বিক দায়িত্ব গ্রহন করে ডিসপ্যাচ রিলিজে স্বাক্ষর করেন।
(গ)ক্রু-নির্দেশনাঃ(Crew Briefing)
যাত্রা শুরুর প্রাক্কালে উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেন কেবিন ক্রু ও ককপিট ক্রুদের নিম্নলিখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করে থাকেনঃ
১) প্রত্যেকের পরিচিতি
২) যাত্রার সময়সূচী
৩) কি ধরনের প্রতিকূল আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে
৪) জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম
৫) কোন ধরনের রক্ষনাবেক্ষন(কেবিন/উড়োজাহাজের) যা ফ্লাইটকে বিঘ্নিত করতে পারে
৬) ফ্লাইট ডেক প্রবেশের নিয়ম-কানুন
৭) নিরাপত্তা বিষয়ক নির্দেশনা (যদি থাকে)
৮) ফ্লাইট বাতিল হলে কিভাবে যাত্রীদের উড়োজাহাজ থেকে বাহিরে আনা যায়
৯) ফ্লাইটটি সম্পর্কে বা কোন বিষয় দৃষ্টিগোচর হলে
১০) জরুরী অবস্থায় কি কি করতে হবে
১১) ডিপার্চার/এরাইভালে উড়োজাহাজ পরিচালনা নির্দেশনা
১২) গন্তব্যের আবহাওয়া,
১৩) গো-এরাউন্ড প্রক্রিয়া, ইত্যাদি।
(ঘ) পিটট-স্ট্যাটিক সিস্টেমঃ
উড়োজাহাজের মৌলিক ফ্লাইট সিস্টেমগুলির একটি হল পিটট-স্ট্যাটিক সিস্টেম। এই সিস্টেমের তিনটি মৌলিক যন্ত্রগুলি হল এয়ারস্পিড ইন্ডিকেটর, ভার্টিকেল স্পীড ইন্ডিকেটর এবং অল্টিমিটার যারা বাতাসের চাপের পার্থক্য নিরূপন করে প্রয়োজনীয় তথ্য নির্দেশ করে। প্রায় সব উড়োজাহাজে এই সিস্টেম বিদ্যমান। পিটট সিস্টেমের ডাটা গুলি সকল বানিজ্যিক উড়োজাহাজে ব্যবহৃত এয়ার ডাটা কম্পিউটার, এয়ার ডাটা ইনার্সিয়াল রেফারেন্স সিস্টেম এবং অন্যান্য সিস্টেম যেমন কেবিন প্রেশারাইজেশন সিস্টেম এবং গ্রাউন্ড প্রক্সিমিটি ওয়ার্নিং সিস্টেমেও ব্যবহার করা হয়। তাই এই সিস্টেমটি অতি গুরুত্বপূর্ণ।
উড়োজাহাজের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত টিউব এবং স্ট্যাটিক পোর্টের মাধ্যমে পিটট সিস্টেমে বাতাস প্রবেশ করানো হয়। যদি কোন কারণে তা বাধাগ্রস্ত হয় তবে ত্রুটিপূর্ণ তথ্যের কারণে ঘটতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা। তাই উড়োজাহাজের পাইলট এবং প্রকৌশলী যাত্রার আগে ভাল ভাবে এই বিষয় গুলি পর্যবেক্ষন ও নিশ্চিত করেন।
(ঙ)অক্সিজেন সিস্টেমঃ
বানিজ্যিক উড়োজাহাজের জরুরী অক্সিজেন সিস্টেমে রয়েছে প্যাসেন্জার, ফ্লাইট ক্রু এবং পোর্টেবল অক্সিজেন সিস্টেম। ভিন্ন ভিন্ন ভাবে এই তিন সিস্টেমে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। যাত্রা পূর্বে এই জরুরী অক্সিজেন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রকৌশলী এবং পাইলটের দায়িত্ব।
(২) বোর্ডিংঃ(Boarding)
বোর্ডিং গেট থেকে বোর্ডিং ব্রিজ পর্যন্ত যাত্রীরা পৌছানো সময়টুকুর মধ্যেও চলতে থাকে অনেক কাজ, যা একজন যাত্রীর পক্ষে দেখা সম্ভব হয় না। এই সময়ের মধ্যে শুধু উড়োজাহজটি প্রস্তুত করাই নয়, তার পেছনেও অনেক কাজ সংঘটিত হয়। ধাপে ধাপে বিমান সংস্থার কর্মীরা সঠিক সময়ে উড়োজাহাজের ডিপার্চার দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যান। এই সময়টি যেহেতু অনেক মূল্যবান, তাই প্রতিটি ধাপ সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য বিশেষ নজর দেওয়া হয়। তথাপিও যথাসময়ে ডিপার্চার দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। যেমন, হঠাৎ কোন যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পরল বা যাত্রীদের কেবিনে কোন মেরামতের দরকার পড়ল। তখন এই স্বল্প সময়ে দ্রুত রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। আবার এই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ক্লিনারদের কাজ আটকে যেতে পারে। তাতেও বিলম্বিত হতে পারে ফ্লাইট ডিপার্চারের সময়সুচী।
এই পর্যায়ে এমন অনেক পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে বা এমন কোন ঘটনা ঘটতে পারে যা আপনার ফ্লাইটকে বিলম্বিত এমনকি বাতিলও করতে হতে পারে। এই স্বল্প পরিসরে তা বর্ণনা করা অসম্ভব। তবে এই পরিস্থিতিতে এয়ারলাইন্স কর্মীদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে দ্রুত অনেক সমস্যার সমাধান করে সিডিউল মত ফ্লাইট ডিপার্চার অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয়, যার পূরটাই থাকে পর্দার আড়ালে। এক্ষেত্রে অন্যান্য এয়ারলাইন্স কর্মীদের সহযোগীতোয় একজন ক্যাপ্টেন মুখ্য সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করে থাকেন এবং বিমান যাত্রা বিলম্বের হার অনেকাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হন।
(৩) ট্যাক্সি আউট (Taxi-out)(একটি উড়োজাহাজ বোর্ডিং ব্রিজ থেকে টেকঅফের আগ পর্যন্ত সময়কে ট্যাক্সি আউট বলা হয়)ঃ
ট্যাক্সি আউট পর্যায়ে ককপিট এবং কেবিন সংক্রান্ত অনেক কাজ সম্পন্ন করা হয়। ফ্লাইট অ্যাডেন্টেন্টরা নিশ্চিত করেন যে, কেবিন টেকঅফের জন্য সম্পূর্ন প্রস্তুত এবং ইমার্জেন্সি ব্রিফিং সম্পন্ন হয়েছে কিনা।। এরপর পাইলট ইঞ্জিনগুলি চালু করেন এবং ট্যাক্সিের অনুমতি চান টা্ওয়ারের কাছে।। যদিও মনে রা হতে পারে যে এটি একটি ফ্লাইটের অপেক্ষাকৃত সহজ পর্যায়, কিন্তু বিশেষ করে যখন বিমানটি একটি খুব ব্যস্ত এয়ারপোর্টে থাকে, আসে পাশে অনেক বিমান চালাচল করে, এমনকি দৃশ্যমানতাও অনেকসময় কমে যায়। এই সময় পাইলট কেবল ট্যাক্সি করার কাজে বেশি যত্নবান থাকেন এবং তার পক্ষে ফার্স্ট অফিসার ট্যাক্সি চেকলিস্ট" সম্পাদনে সহায়তা করেন।
(৪) টেক-অফ ডিপার্চারঃ(Take-off-Departure)
একটি ফ্লাইটের টেকঅফ-ডিপার্চার ধাপটি নিরাপত্তার দিক থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । তাই এ সময় পাইলট যতদূর সম্ভব অনুমোদিত ত্রুটির ব্যাপারে খুবই সজাগ থাকেন। এজন্য পাইলট প্রশিক্ষণকালীন সময়ে এধাপটি খুটিয়ে খুটিয়ে বিশ্লেষণ করা হয় এবং সে অনুযায়ী পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এই প্রশিক্ষণ পর্বটিকে "V1(vee-1)cut" বলা হয়। সময় এবং গতি বিবেচনা করে সঠিক দিক বজায় রেখে বিমানটিকে ভূমি থেকে আকাশে উড়ানো এবং সেই সাথে ইমারজেন্সি চেকলিস্ট অনুসরণ করা প্রশিক্ষনের অন্যতম অংশ।
(৫) যাত্রা পথ (Enroute)ঃ
একটি বিমানের উড্ডয়নকালীন সময় থেকে ল্যান্ডিং পর্বের আগ পর্যন্ত যাত্রা পথের মূল সময়টিই হল এনরুট(Enroute) পর্ব। এই পর্বে পাইলট ফ্লাইট প্ল্যান অনুযায়ী নির্ধারিত উচ্চতা বজায় রেখে বিমানটিকে নির্ধারিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যান। বিমান যাত্রায় দূরত্ব অনুযায়ী মূল সময় এই পর্বে ব্যয় হয়। চূড়ান্ত উচ্চতায় যাওয়ার পর পাইলট এবং ফ্লাইট এ্যাটেনডেন্টদের অনেক কাজ করতে হয়। যাত্রীদের আপ্যায়নের ব্যবস্থাও এই পর্বে সম্পন্ন হয়।
(৬)এ্যাপ্রোচ-ল্যান্ডিংঃ(Approach-Landing)
অবশেষে আপনার গন্তব্যের কাছাকাছি ধাপটি হল আপনার ফ্লাইটের Approach-Landing পর্যায়। এই ধাপে পাইলটের চাপ নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। এই ধাপে পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানটিকে তার জন্য নির্ধারিত রানওয়েতে অবতরনের সকল কর্মকান্ড শেষ করে নিরাপদে অবতরণ করেন। ফ্লাইট এ্যাটেনডেন্টরা অবতরণ জন্য কেবিন প্রস্তুত করেন ও যাত্রীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। ।
(৭) ট্যাক্সি ইনঃ(Taxi-In)
এই ধাপে পাইলট বিমানটিকে তার জন্য নির্ধারিত গেটে ট্যাক্সি করেন এবং যাত্রীদের আগমন প্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের উপস্থিত নিশ্চিত করার জন্য রেডিও যোগাযোগ সম্পন্ন করেন। পাইলট ট্যাক্সি করার সময় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পাশে অবস্থিত অন্যান্য উড়োজাহাজ ও যন্ত্রপাতি লক্ষ্য রেখে বিমানটিকে নিরাপদে গেইটে নিয়ে যান। ফ্লাইট এ্যাটেনডেন্টরা যাত্রীদের বিমান থেকে নির্গমনে সহায়তা করেন।
যাত্রাপূর্ব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে যাত্রীদের উড়োজাহাজে আরোহনের ঘোষনা দেওয়া হয়।আর এভাবেই সম্পন্ন হয় একটি বিমানের যাত্রা পথ।
এছাড়াও প্রয়োজনীয় অনেকগুলি ধাপ পেরিয়ে উড়োজাহাজের যাত্রাপূর্ব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয় যা এই সল্প পরিসরে বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
সকলের বিমান যাত্রা শুভ হোক, নিরাপদ হোক।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯