পৃথিবীর সেরা অচল ( ) এটিএম নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য এখন ফী গুণতে হচ্ছে আপনাকে। হ্যা। আপনি যদি DBBL- এর গ্রহক হন তাহলে এরই মধ্যে আপনার একাউন্ট থেকে এ খাতে তারা অলরেডি ২৩০ টাকা কেটে নিয়ে চলে গেছে। কাউকে না জানিয়ে এ বছরের ফব্রুয়ারী থেকে তারা এই ফী কেটে নেয়া শুরু করেছে।
DBBL - এর ATM গুলো কি টাকা তোলার জন্য না কি টাকা আটকিয়ে রাখার জন্য... শিরোনামে একটা পোস্টে অনেক আগেই এই সেরা এটিএম নেটওয়ার্কের বেহাল অবস্থা তুলে ধরেছিলাম। এই ব্যাংকের এমন কোন গ্রাহক নেই যার এর এটিএম নিয়ে ক্ষোভ নেই। এ নিয়ে অনলাইনে ব্যাপক লেখালেখিও হয়েছে। তারপরও ঢেকি সৃ্গে গিয়েও বাড়া বানছে। ব্যাংকের স্বভাবের কোন পরিবর্তন হয় নি।
এদেশের ব্যাংক গুলোর মধ্যে গ্রাহক হয়রানির শীর্ষ রয়েছে ব্রাক ব্যাংক আর এই DBBL। এ দুটো ব্যাংকে যারা কাজ করে, তারা মনে করে যে, তারা নিজেরা ছাড়া দুনিয়ার আর কেউ ব্যাংকিং বোঝে না। নিজেদের এরা তথাকথিত অনলাইন ব্যাংকিংয়ের জন্য সবচেয়ে ব্যংকিং জ্ঞান সম্পন্ন স্মার্ট ব্যাংকার মনে করে। আর গ্রাহকরা সব গো মূর্খ।
DBBL- এর এটিএম থেকে প্রয়োজনের সময় আপনি কখনই টাকা তুলতে পারবেন না। আর ঈদের দু দিন আগে থেকে তিন দিন পর পর্যন্ত এদের কোন এটিএমই পারমানেন্টলি কাজ করে না কখনো।
মাসের বেশিরভাগ দিনেই এদের বেশিরভাগ এটিএমই থাকে নষ্ট। হাজামাজা সব এটিএম মেশিন কিনে এনে রাস্তায় রাস্তায় বাসিয়ে মানুষের দূর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে DBBL। ইদানিং আবার ফার্স্ট ট্রাক নামে বড় বড় দোকান খুলে একাধিক এটিএম মেশিন বসিয়ে যে ভাব নিয়েছিল ব্যাংকটি, সেটাতেও পচন ধরেছে। এখন মোটামুটি সাব গুলো ফার্স্ট ট্রাকেরই ৪-৫টা করে মেশিন সব সময় নষ্ট থাকে।
DBBL- এর এটিএম এ ১০০ টাকার নোট থাকে না, এ অভিযগ অনেক পুরানো। তার উপর আছে ছেড়া-ফাটা আর জাল নোট বের হওয়ার অভিযোগ। এদের সরবরাহকৃত এটিএম কার্ডের মান অত্যন্ত নিম্ন। কার্ড বশিদিন টেকে না।
এর উপর আছে নতুন উপদ্রব, এটিএম থেকে কোন ট্রান্জেকশনের রসিদ নিতে গেলে দিতে হবে ৩ টাকা জরিমানা। যা বাংলাদেশ কেন, পৃথিবীর কোন দেশের ব্যংকের নিয়মের মধ্য নেই । অবৈধ ভাবে DBBL এই চার্জ বসিয়েছে।
আর এটিএম নেট ওয়ার্কের জন্য কোন ব্যংক তার গ্রাহকদের চার্জ করে তা এই প্রথম ঘটল। দুনিয়ার কোন ব্যাংক এমনটা করে না। এটিএম ব্যবহার গ্রাহকের অধিকার। DBBL- এর গোবর গণেষ গুলা বোধ হয় সেটা জানেই না। এরা ভাবছে, এটিএম নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে দিয়ে এরা জাতির কতই না বড় উপকার করতেছে। এটাকে এরা বিশেষ সুবিধা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করতেছে। অথচ, এ ঘটনা শুনলে দুনিয়ার অন্যান্য ব্যাংক গুলা আকাশ থেকে পড়বে। এমন আজব চার্জ বসিয়েও যে টাকা কাটা যায়, সেটাই তো অনেকে জানে না।
এই ব্যাংকের ভাব মনে হয় আর বেশি দিন থাকবে না। এরই মধ্যা অনেকেই এই ব্যাংক থেকে তাদের একাউন্ট বন্ধ করে দেয়া শুরু করেছেন। আগামী ১ জুলাই থেকে নূন্যতম ২০০০ টাকা রাখতে হবে, ব্যাংকের এমন নিয়মের কারনে অনেকেই চলে যাচ্ছেন অন্য ব্যাংককে। অথচ এই DBBL মানুষকে হাতে পায়ে ধরে তাদের ব্যাংককে একাউন্ট খুলিয়েছিল।
আর একটা কথা। DBBL এটিএম থেকে রসিদ নেয়ার জন্য যে ৩ টাকা করে চার্জ কাটে, সেটা কিন্তু তাদের সিডিউল অব চার্জেস এর মধ্যা উল্লেখ নেই। Click This Link
DBBL- এর পতন হোক!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৩৯