অনেকদিন হলই অ্যাপলের জিনিস ব্যবহার করার একটা ইচ্ছা ছিল মনে। এবার সাধ পূরণ করেই ফেললাম। হাজার হলেও শখের ছটাক লাখ টাকা!
নতুন টেক ডিভাইস ব্যবহারের শখটা শুরু হয় ২০০৮ সাল থেকে যখন নোকিয়ার ই সিরিজের ফোন গুলোর বাজারে জয়জয়কার। নোকিয়ার ই-৭১ দিয়ে ঝোক শুরু। এখন অবশ্য এন্ড্রয়েড ডিভাইস স্যামস্যাংয়ের গ্যালাক্সি এস-২ ব্যবহার করছি।
যাইহোক, গত সপ্তাহ পুরাটাই বিদেশে কাটিয়ে আসলাম। সিঙ্গাপুর + ব্যাংকক +পাতায়া + ব্যাংকক + সিঙ্গাপুর। এটাই ছিল আমার ভ্রমণ রুট। সে ভ্রমণ কাহিনী পরের পোস্টে। এখন আগে গরম গরম নিউ আইপ্যাডের কথা বলি।
সিঙ্গাপুরের অরচার্ড রোডের প্লাজা সিঙ্গাপুরা শপিং মলের অ্যাপলের এক প্রিমিয়াম রিসেলারের কাছ থেকে কিনলাম একখান নিউ আইপ্যাড। ৬৪ গিগা, ৪জি + ওয়াইফাই, ব্লাক। সাদাটা কেনর জন্য ৩দিন ঘুরছি। কিন্তু ওটা স্টকে নাই। দাম নিল ১০৮৮ সিঙ্গাপুর ডলার। বাংলা টাকায় আমার ৭৭ হাজার টাকার মত পড়েছে। ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনায় কারেন্সি কনভরসেশনে কটু বেশিই পড়ছে। ব্যাপার না!
কোন এক্সেসরিজ নেই নাই। নেয়ার শখও ছিল না। এমনিতেই অনেক টাকা।
যাইহোক, ৫ তারিখে দেশে আসার পর থেকেই আইপ্যাড ইউজ করছি। ভালই লাগছে। বাংলা দেখা যায়, কোন ঝামেলা ছড়াই। আমার সামুতে ফোনেটিক দিয়ে বাংলা লেখাও যায়!
এখন নতুন নতুন অ্যাপ নামাচ্ছি। ভাল ভাল অ্যাপ গোলা খালি টাকা চায়। ফ্রী গুলা নামাচ্ছি। অ্যাপল সবকিছুতেই ব্যাবসা করে। টাকা না থাকলে অ্যাপলের কোন জিনিসই ঠিকমত ইউজ করা যায় না। বেশিরভাগ সফটওয়ারই কিনতে হয়।
আইপ্যাড ফ্লাশ প্লেয়ার সাপোর্ট করে না। তবে ই্উটিউবের ভিডিও দেখা যায়। হার্ডওয়্যার, সফটওয়ার - সবই অ্যাপল নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিকে আইপ্যাডে ব্যবহারের জন্য ১০০ টাকা দিয়া মোবাইলের সিম কেটে মাইক্রো সিম বানাতে হয়েছে।
আপনাদের আইপ্যাড ব্যবহারের অভিঞ্জতা শেয়ার করেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:২১