জুলাই মাসের প্রথমদিকে আমার ল্যাব থেকে প্রস্তাব দিল বীচে সাতার কাটতে যাবে। ঠিক হল ওকায়ামা প্রদেশের সিরাহামা বীচে যাবে। বীচটা প্রশান্ত মহাসাগরের (উত্তর) পাড়ে এবং আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে মাত্র ২১১ কিমি দূরে। আমি কখনও মহাসাগর দেখিনি, তাই সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলাম।
১২ জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮টার মধ্যে আমরা মিনামিকুসাটসুর একটা শপিং মলের পার্কিং এ মিলিত হলাম। আমরা দুটি গাড়ি ভাড়া করেছিলাম। এখানে বলে রাখি জাপানে গাড়ি ভাড়া বেশ সস্তা এবং ভাল ভাল গাড়ি ভাড়া করতে পারবেন। তবে গাড়ি আপনাকে নিজে চালাতে হবে, ড্রাইভার ভাড়া পাবেন না। সবকিছু গুছিয়ে আমরা ১৩ জন ৮:২০ এ বীচের উদ্দেশ্য রওনা হলাম। আমাদের আরো ৪জন ল্যাবমেট ওসাকা থেকে আলাদা গাড়িতে রওনা হয়ে গেছে।
শপিং মলের সামনে আমরা
বেলা ১১:৩০ এ আমরা সমুদ্রের তীরবর্তী মাছের বাজারে আসলাম। এটার নাম তোরে তোরে ইচিবা। এখানে মাছের বাজারের পাশাপাশি ফ্রেশ মাছের খাবার বিক্রি হয়। এখানে সবাই লান্ঞ্চ করে নিল।
তোরে তোরে ইচিবা বাজারের গেট।
খাবারের টেবিলে আমরা কয়জন
এরপর পনের মিনিট ড্রাইভ করে চলে এলাম সিরাহামা বীচে।সিরাহামা মানে হচ্ছে সাদা সৈকত। এখানকার বালি সাদা তাই এই নাম। এর দৈর্ঘ্য মাত্র ৫০০ মিটার। কিন্তু খুবই গোছানো। সাগরের পানি রং সবুজ এবং পরিস্কার। এর সাথে বড় বড় ঢেউ। আমরা তারাতারি জায়গা দখল করে জিনিসপত্র রেখে সবাই সাগরে গোসলে নেমে গেলাম। এখানে চুরির ভয় নাই তাই কাউকে পাহারায় থাকা লাগেনি। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে সাগরে থেকে, পাড়ে এসে গোসল করে গেলাম বীচের পাশের ছোট্ট টিলায়। ঐখান থেকে ঘুরে সন্ধ্যার সময় আমরা আবার মিনামিকুসাটসুএর দিকে রওনা হলাম। হাইওয়েতে এসে ১৩ কিমি জ্যামে পড়লাম যেটা ছাড়তে দেড় ঘন্টা লাগল। রাত সাড়ে এগারোটায় বাসায় পৌছালাম সারা গায়ে ব্যাথা নিয়ে।
সিরাহামা বীচ
বীচে জায়গা দখল
প্রশান্ত মহাসাগর
মহাসাগরে গোসল
ঐ ঢেউ আসছে পালা
ঢেউ এর কাছে পরাজিত
সাতার শেষে সামান্য রেস্ট
দুরের মহাসাগর
মহাসাগেরের পাশে আমি
বিদায়বেলা
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪