একটা নতুন ধাঁধা মনে আসলো...
আমি আগের ধাঁধাতেই বলেছিলাম মোড়লের ১০ ভাতিজার মধ্যে ৮টাই চোর,
হাবিলদারের অপরাধ হল তিনি ঐ ৮ ভাতিজার গোমড় ফাঁস করে দিচ্ছেন।
"গ্রাম পুলিশ" ভোর হতে না হতেই তাকে গ্রেফতার করে ডান্ডা বেড়ি পড়িয়ে গোপন আস্তানায় নিয়ে গেলো। নিয়ে দিলো আচ্ছা মত মাইর। ( ঠিক হইছে...কেন তুই মোড়লের আদরের ভাতিজার দুষ্টুমির কথা কইতে গেলি? জানিসনা এরা উপরওয়ালার এক হাত উপরে মোড়ল কে মানে!! হাঁদা কোথাকার!!)
এরপর হাবিলদারের থালা-বাসন নিয়ে গেলো মোড়লের পায়ে তেল ঘসা বিপ্লু ...যে কিনা ফিরু ভাইয়ের গলা চিপ দিয়ে ধরছিল। ( "টারমিনেটর" যাকে বলে ... ওয়াও!!)
থালা-বাসনের অপরাধ... এই থালা বাসন দিয়ে হাবিলদার ভাত খেতো আর এই ভাত খেয়ে হাবিলদারের বুদ্ধি পপ কর্নের মত ফুটতো। আর এই বুদ্ধিতে মোড়লের চেয়ারে ভুমিকম্প হৈসে। (কত্ত বড় কথা!! ধরে থাপ্পর লাগাও হাবিলদারকে আর তার থালা-বাসনের গুষ্টি মারো।)
শুনলাম হাবিলদারকে পিটিয়ে ঠান্ডা করে হাসপাতালে সেবা দেয়া হচ্ছে।এটা ভাল এটা ভাল। মানব সেবা বড় ধর্ম। মোড়ল ভদ্রলোক না হলে এটা পসিবল ছিলইনা।
এখন ধাঁধাঁ হোলো -
হাবিলদারের থালা-বাসনের কি হলো?
আচ্ছা কি কি হতে পারে ধারনা করেন তো?
১। ভাতিজারা ভাগাভাগি করে নিছে...কারন এরা অলটাইম লিজেনডারি হাভাইত্যা
অথবা
২। মোড়লের পায়ে তেল ঘোষার জন্য ঐ থালা বাটি ইউজ করা হচ্ছে ( আমাদের বিপ্লু)।
মোড়লের ভয় ধরেছে নাকি শুনলাম..। পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া স্বপ্নে মোড়ল দেখে হাবিলদার এই থালা দিয়ে এক ঘায়ে মোড়লের এক চোখ কানা করে দিছে। থালা-বাসনের ঝাঁকির ফলে মোড়লের বাড়ি ধ্বসে গেছে। ঊউফফফফফ।
এর মধ্যে আমার ১টা কষ্টের কথা বলি...
ইদানিং মোড়লের বাড়ির বিরিয়ানি বন্ধ। মোড়ল কি আর বিরিয়ানি খাওয়াবেনা?
এই পরিস্থিতিতে উপরের ধাঁধার একটা সমাধান দেন তো।
যেই থালা বাটি নিয়ে এত দুস্বপ্ন!!
ধাঁধার একটাই শর্ত:
মোড়লকে খুশি করতে হবে , মোড়লকে খুশি করতে হবে , মোড়লকে খুশি করতে হবে।
ওয়েটিং ফোর উত্তর।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫১