যেসব খাদ্যে মাত্রাতিরিক্ত শর্করা(র্কাবহাইড্রেট) থাকে
আপনি হয়তো শর্করা(র্কাবহাইড্রেট)-এর নাম শুনে থাকবেন। কিন্তু এই শর্করাও দু’ধরনের হতে পারে, “উপকারি শর্করা” এবং “অপকারি শর্করা”। সাধারণত যদি কোন খাবারে মাত্রাতিরিক্ত শর্করা(র্কাবহাইড্রেট) মানে শর্করা অনুপাত অন্যান সকল উপাদানের অনুপাতের তুলনায় অনেক বেশি থাকে তাহলে আমরা সেই শর্করাকে অপকারি শর্করা বলে থাকি। যেবস খাবে মাত্রাতিরিক্ত শর্করা থাকে তা পাকস্থলির অন্যান্য খাবারের র্ভাসাম্য নস্ট করে এবং পাকস্থলিতে জ্বলা-পোড়া সৃষ্টি করে। অনেকের মতে একটি ছোট আলুও অপকারি শর্করার উদাহরন হিসেবে বিবেতনা করা যেতে পারে। যার ওজন প্রায় ১৭০ গ্রাম তার মধ্যে ২৩ ভাগ শর্করা আর বাকি ৭৭ ভাগ পানি। আবার প্লেইন কেক( যার মধ্যে ৮০ ভাগই শর্করা রয়েছে) আরো একটু অপকারি বা খারাট শর্করার উদাহরন হতে পারে।
যেবস খাদ্যে প্রচুর পরিমান র্কাবহাইড্রেট থাকে সেগুলো হলোঃ ব্রেড, ক্রেকাস্, পাসতা, সাদা চালের ভাত(white rice), এক কথায় বলতে গেলে প্রায় সকল প্রকার বেকারি আইটেম।
অস্বাস্থকর ফ্যাট(চর্বি)
আমরা যে সব খাবার খাই তার মধ্যে তিন ধরনের ক্ষতিকর ফ্যাট(চর্বি) রয়েছে যার কারনে আমাদের পাকস্থলি জ্বালা-পোড়া করতে পারে এবং সেই ফ্যাট(চর্বি) আমাদের পাকস্থলিতে স্থায়ি ভাবে জমা হতে থাকে যার ফলে আমাদের পেট(পাকস্থলি) আকরে বড় হয়ে যায়।সেই ফ্যাট গুলো হলোঃ ১। ট্রান্স ফ্যাট ২। স্যাচুরেটেড ফ্যাট ৩। ওমেগা-৬ ফ্যাট।
যে সব খাদ্যে এই ধরনের ফ্যাট পাওয়া যায় সেগুলো হলোঃ প্যাকেট জাত খাদ্য যেমন চিপস্, বিস্কুট ইত্যাদি ( ট্রান্স ফ্যাট থাকে), উচ্চ ফ্যাট যুক্ত মাংস, উচ্চ ফ্যাট যুক্ত দুধ, কিছু কিছু ক্যান্ডি ( স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে), ভুট্টা থেকে তৈরি তেল, সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী তেল ( ওমেগা-৬ ফ্যাট থাকে)
দুধ এবং ডেইরি ফুড যাতে প্রচুর পরিমানে ল্যাকটোজ আছে
প্রায় সকল প্রকার প্রাণীর দুধে ল্যাকটোজ নামক একটি উপাদান থাকে। আমাদের ক্ষুদ্রান্তে ল্যাকটেজ নামক একটি এনজাইম দুধের এই লেকটোজকে ভেঙ্গে সরল উপাদানে পরিনত করে। ল্যাকটেজ নামক এই এনজাইমটি আমাদের দেহতেই তৈরি হয়ে থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের দেহ ল্যাকটেজ উৎপাদন কমিয়ে দেয়। আসলে ল্যাকটেজ মূলত মায়ের বুকের দুধকে হজম করার জন্য শিশুদের শরিরে প্রচুর পরিমানে থাকে। ল্যাকটোজ কে ভেঙ্গে সরল উপাদানে পরিনত করাই মানে হচ্ছে ল্যাকটোজ(দুধ) হজম করা। সকল ডেইরি ফুডে এই ল্যাকটোজ থাকে তাই এই গুলো আমরা সহজে হজম করতে পারি না( ল্যাকটেজ এনজাইমের উৎপাদন কম হওয়ায়) যার ফলে আমাদের পাকস্থলীতে জ্বলা-পোড়া করতে পারে।
যে সব খাদ্যে এই ধরনের ল্যাকটোজ পাওয়া যায় সে গুলো হলোঃ দুধ, দই( ফ্যাট যুক্ত দুধ থেকে তৈরি), পনির, দুধ হতে তৈরি সকল প্রকার ডের্জাট।