এক জন মানুষ যদি অন্য একজন মানুষ অথবা অন্য একটি প্রাণি কিংবা কোন একটি বস্তুকে ভালোবাসে তাহলে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে চারটি বিষয়ের মাধ্যমে-
১। সুখ বা শান্তি
২। শক্তি বা প্রেরণা
৩। পরম আনন্দ
৪। আর ধৈর্য্য ধারন করার ক্ষমতা।
উৎসব হলো ‘পরম আনন্দ’ এর বহিঃপ্রকাশ। মানুষ যখন খুবই আনন্দ লাভ করে তখন তা উৎসবের মাধ্যমে প্রকাশ করে। তাইবলে বলা যাবেনা উৎসব মানেই ভালোবাসা। যদি ভালোবাসা থাকে তাহলে অবশ্যই উপরের চারটি বিষয় প্রকাশ পাবে।
লাখো লাখো মানুষ একত্রিত হয়ে সম স্বরে নিজের দেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া ও জাতীয় পতাকা তুলে ধরা মানেই দেশের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ এটা বোধহয় বলা ঠিক হবেনা। এটাকে একটা মহা উৎসব বলা যেতে পারে। আমারা যখন দেশের প্রতি আনন্দের পাশাপাশি বাকি তিনটি বিষয় তুলে ধরতে পারবো তখনই হয়তো বলাযাবে আমরা দেশকে ভালোবাসি।
এই সব লোক দেখানো উৎসব না করে যদি আমরা আমাদের দেশকে প্রকৃতই ভালোবাসি, দেশকে যদি সত্যিই তৃতিয় বিশ্বের দেশ থেকে প্রথম সাড়ির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই তাহলে আমাদের স্বাধিনতা ও বিজয়ের উৎসবে শুধু মাত্র রাজাকারদের বধ করার ছবি হাতে নিয়ে ঘুরেবেড়ালেই হবে না,বিশ্বের প্রথম সাড়ির দেশে পরিনত হলে আমাদের কি করণীয় তা নিয়ে আলোচনা, প্রতিবেদন কিংবা বিভিন্ন ধরনের নাটিকা উপস্থাপন করা যেতে পারে যা দেখে আমাদের মধ্যে সচেতনতার পাশাপাশি অনুপ্রেরনাও কাজ করবে। শুধু পশ্চিমাদের মতো অনুকরন করে বুকের বা-দিকটায় হাত দিয়ে জাতীয় সংগীত গেলেই হবে না তারা কিভাবে বিশ্বে মাথা তোলে দাড়িয়েছে সেই ব্যপার গুলোও অনুকরণীয়।