তখন ক্লাস টু বা থ্রীতে পড়ি।থাকি নারায়নগন্জ্ঞে। কেনা কাটা করা হইছে ঢাকায় গিয়া। আমি যে জামা কিনতে চাইছিলাম আমারে সেইটা না দিয়া অন্যটা দিছিলো। বাসায় আইসা এমন মরন কান্না শুরু করছিলাম বাবায় আমার বাধ্য হইয়া ঐ জামা কিনা আনছিলো পরে। আমি একটু ঘাউড়া টাইপের কিনা........
তখন থাকি খুলনায়। এক ঈদে আমি আমার বান্ধবী নিউ মার্কেটে এক দোকানে ভীড় সেইরকম, কাপড় দেকতাছি। হঠাৎ পিছন থেকে আমার হাতে কিসের স্পর্শে আমি শম্পা (আমার বান্ধবী)বলে ডাক দিয়ে পিছনে তাকাই। আমার পিছনে বোরকা পরা দুই ভদ্র মহিলা। সন্দেহ হওয়ার আমি আমার ব্যাগে চেক করলাম। দেখি ব্যাগের চেইন খোলা। কপাল ভালো নিতে পারে নাই কিছু। তবে ভয় পাইছিলাম ।
আর এক ঈদে খুলনা নিউ মার্কেটেই । আমি , আপু আমার আর এক বোন কেনা কাটা করছি। হঠাত আপু খেয়াল করে আমাদের এক লোক ফলো করছে অনেক সময় ধরে। আমাকে বলার পর আমি আমি বলি চল আমরা আড়ং এ যাই । দেখি লোকটা আমাদের সাথে যায় কিনা। খুলনার আড়ং নিউমার্কেট এর খুব কাছেই। আড়ং এ গিয়ে দেখি লোক আমাদের সাথে ঠিকই গিয়েছে। তখন আমরা দারুণ ভয় পাইলাম। আড়ং কতৃপক্ষ কে ব্যাপারটা জনাবার পরে তারা বললো আপনারা দেরি করে বের হন। আমার বোন রেষ্টরুমে গিয়ে টাকা পয়সা ব্যাগ থেকে সরিয়ে নিলো। ইতিমধ্যে আমরা বুঝতে পারছি তার গতিবিধি, ব্যাটা টের পাইয়া সইরা গেলো। ঐদিন দারুন ভয় পাইছিলাম। পরে অবশ্য নিরাপদে বাসায় আসি।
একবার কুরবানী ঈদে আমাদের গরু ছুইটা গেছিলো। ছেলের সংখ্যা আমাদের বাড়িতে কম। তারা আবার গেছে ঈদের নামাজ পড়তে। কি যে ভয়ানক অবস্হা। কেউ যাইতে চায়না গরুর কাছে। অবশেষে রাস্তা থেকে লোক ডাইকা গরুরে বান্ধা হইছিলো।
কাল আমার এইখানে ঈদ।
সবাইকে ঈদ শুভেচ্ছা
সবার ঈদ হোক আনন্দময়।