এক গল্প যদি অন্য লেখক লিখতো তবে কেমন হতো?
মুল গল্প (ফেসবুকে প্রচলিত একটা জোকস)
আজ থেকে কয়েকশত বছর আগে এক লোক সুদান গিয়েছিলো। সুদানে অনেকদিন বসবাস করায় তার দেশের মানুষ তাকে সুদানি বলে ডাকতো। একটা সময় সে এতটা ব্যাস্ত হয়ে পড়ে যে দেশে আসার সময় পায় না প্রায় ৩-৪ বছর। কিন্তু এই সময়ে তার বউ প্রেগনেন্ট হয়(!!) এবং তার একটি ছেলে হলো। বড় হয়ে ছেলেটা বিভিন্ন আকাম কুকাম এ জড়িয়ে যায়। এর ফলাফল কিছু হলেই সবাই বলে সুদানির পোলা এইটা করেছে। এক সময় ছেলেটি সুদানির পোলা বলে সকলের কাছে পরিচিত হয়ে যায়। কোন কিছু হলেই "সুদানির পোলা এইটা করছে।"
যদি এই গল্পটি যদি প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের মিসির আলির প্লটে হতো, তাহলে কেমন হতো?..
(এটা নিতান্তই মজার ছলে লেখা। পুরোটাই আমার একান্ত কল্পনাপ্রসুত। দয়া করে কেউ মাইন্ড কইরেন না।)
মিসির আলীর রহস্যময় যাত্রা: সুদানির পোলার অভিশাপ
রাতের ঢাকা শহর। বাইরে মৃদু বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে, আর দূর থেকে ভেসে আসা ট্রাফিকের শব্দ যেন এক ছন্দ তৈরি করেছে। মিসির আলী তার পড়ার ঘরে বসে কিছু পুরনো নথিপত্র ঘাঁটছেন। এটি ঢাকার পুরনো একটি বইয়ের দোকান থেকে গতকাল তিনি নিয়ে এসেছেন।
তিনি প্রায়ই নিলক্ষেতের বিভিন্ন পুরনো বইয়ের দোকানে ঢু মারেন। তেমনই একটা দোকানে ঘুরতে গিয়ে, একটি প্রাচীন পাণ্ডুলিপি তার চোখে পড়ে। পাতাগুলো ধুলো জমে কিছুটা বিবর্ণ হয়ে গেছে। পাণ্ডুলিপির উপরে লেখা: “সুদানির পোলা: এক প্রাচীন অভিশাপের গল্প।”, পাণ্ডুলিপিটি একটি অদ্ভুত এবং পুরনো গ্রন্থ।
মিসির আলী কৌতূহলী হয়ে পাণ্ডুলিপিটা খুলে দেখলেন। এটি কয়েকশো বছর আগের এক গল্প। কৌতুহলি মিসির আলি তখনি সেই বইটা কিনে নিয়ে চলে আসেন। সেই বইটাই তিনি পড়ছিলেন। এখানে একজন লোক জীবিকার জন্য সুদানে গিয়ে বসতি স্থাপন করেছিল। লোকটি সেখানে দীর্ঘদিন কাটিয়ে দেয়, আর গ্রামের মানুষ তাকে ‘সুদানি’ বলে ডাকতে শুরু করে। তার ছেলে জন্মানোর পর, লোকজন ছেলেটিকে ‘সুদানির পোলা’ বলে ডাকতে শুরু করে।
গল্পটা এ পর্যন্ত খুবই সাধারণ মনে হচ্ছিল। মিসির আলী জানেন, কোনো সাধারণ ঘটনা যখন ইতিহাসের গভীরে প্রবেশ করে, তখন সেটির ভিন্ন এক রূপ পাওয়া যায়। তিনি পড়তে থাকেন—এই সুদানির পোলা ছোটবেলায় বেশ আকাম কুকামে নাম ছিল, আর গ্রামের মানুষরা সবসময় তাকে কোনো না কোনো কাণ্ডের জন্য দায়ী করতো। "এইটা তো সুদানির পোলা করেছে!" এই কথাটা যেন গ্রামে রুটিনমাফিক হয়ে উঠেছিল।
কিন্তু গল্পটা যত এগিয়ে গেল, ততই মিসির আলী বুঝতে পারলেন, এটি আর সাধারণ গল্প নয়। গ্রামের মানুষদের মনোভাব ধীরে ধীরে বদলে যেতে লাগলো। তারা যে কোনো অদ্ভুত বা অবাঞ্ছিত ঘটনার জন্য সুদানির পোলাকে দায়ী করতে শুরু করলো। যখন কোনো অমঙ্গল ঘটতো, তখন তারা মনে করতো, সুদানির পোলার উপস্থিতিই তার কারণ। বছর পেরিয়ে যায়, আর এই সুদানির পোলা গ্রামের মানুষের মনে এক অভিশাপের প্রতীক হয়ে ওঠে।
মিসির আলী গভীর মনোযোগে পাণ্ডুলিপিটা শেষ করেন। তার মনোজগতে বিভিন্ন প্রশ্ন উঁকি দিতে থাকে। ‘সুদানির পোলা’ নামের এই গালি কি সত্যিই একটা অভিশাপের ফলাফল? নাকি এটি মানুষের মনস্তাত্ত্বিক এক ধাঁধা, যেখানে একটি নির্দোষ নাম কিভাবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অভিশাপে পরিণত হয়ে গেল?
মিসির আলী পাণ্ডুলিপি বন্ধ করলেন। তার মনের মধ্যে অসংখ্য চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল। মানব মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা ভীতি, সন্দেহ, এবং কুসংস্কার কিভাবে একটি নির্দোষ নামকে গালি বানিয়ে ফেলতে পারে, তা ভাবতে ভাবতে তিনি জানালার বাইরে তাকিয়ে রইলেন। রাতের নীরবতা যেন তাকে আরও গভীর চিন্তায় নিমজ্জিত করলো।
মিসির আলী জানতেন, প্রতিটি কাহিনীর পেছনে একটি না একটি সত্য লুকিয়ে থাকে। কিন্তু সেই সত্যটিকে খুঁজে বের করার জন্য যে গভীর অধ্যবসায় ও ধৈর্য দরকার, তা অনেকেরই থাকে না। তিনি আবারও পাণ্ডুলিপিটা হাতে তুলে নিলেন। হয়তো এই গল্পের মধ্যেই লুকিয়ে আছে সেই উত্তর, যা তিনি খুঁজে বের করতে চাইছেন।
মিসির আলী পাণ্ডুলিপিটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবলেন। তার মনে হল, এই গল্পের পেছনে হয়তো আরও কিছু আছে, যা সাধারণ চোখে ধরা পড়ে না। তিনি তার ডেস্কের ড্রয়ার থেকে একটা ছোট্ট নোটবুক বের করলেন। সেখানে তিনি কিছু নাম আর তারিখ লিখে রেখেছিলেন—এগুলো সবই বিভিন্ন রহস্যময় ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
মিসির আলীর মনে পড়লো, আব্দুল হান্নান নামে একজনের কথা। কিন্তু কীভাবে আব্দুল হান্নানের সাথে পরিচয় হলো, সেটা মনে করতে পারলেন না। তবে হ্যাঁ, তাঁর এটা মনে পড়লো যে আব্দুল হান্নান পুরোনো গ্রাম্য কিংবদন্তি সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। তিনি হান্নানের ফোন নম্বর তার নোটবুকে খুঁজতে থাকেন। নম্বর খুঁজতে খুঁজতেই হঠাৎ করে আব্দুল হান্নানের সাথে তার পরিচয়ের ইতিহাস তার মনে পড়ে যায়। কয়েক বছর আগে, যখন তিনি নানা ধরনের রহস্যময় ঘটনার তদন্ত করছিলেন, তখন তিনি একটি গ্রামের ব্যাপারে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। সেই সূত্রে আব্দুল হান্নানের সাথে তার পরিচয়, যিনি গ্রামের ইতিহাস ও লোকগাথার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর তিনি নোটবুকের এক কোণায় লেখা খুঁজে পেলেন: আব্দুল হান্নান, ও তার ফোন নম্বর। এই নামের পাশেই একটি তারিখ ছিল, যা প্রায় বেশ কয়েক বছর আগের। মিসির আলী নোটবুকের পাশে রেখে টেলিফোনটা তুলে নিলেন। কয়েকটা নম্বর ডায়াল করতেই অপর প্রান্ত থেকে একজন বৃদ্ধের কণ্ঠস্বর ভেসে এল।
“হ্যালো, আব্দুল হান্নান সাহেব?” মিসির আলী জিজ্ঞেস করলেন।
“জি, বলছি। কে বলছেন?”
“আমি মিসির আলী। আপনার মনে আছে কিনা জানি না। অনেক বছর আগে আপনার সাথে একটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটা এলাকার ইতিহাস জানতে আপনি আমাকে সাহায্য করেছিলেন। মনে পড়ছে কি?”
“আরে মিসির আলী ভাই! ভালো আছেন? আপনি তো বিখ্যাত মানুষ। আপনার কথা মনে থাকবে না, কী বলেন?” আব্দুল হান্নানের উচ্ছ্বসিত কণ্ঠ।
মিসির আলী বললেন, “আমি ভালো আছি, আসলে আজকেও একটা কাজে ফোন দিয়েছিলাম। অনেক দিন আগের গ্রামে ‘সুদানির পোলা’-কে নিয়ে একটা পুরোনো গল্প সম্পর্কে কিছু জানতে চাই।"
কথার শেষে একটা নীরবতা। তারপর আব্দুল হান্নান ধীরে ধীরে বলতে শুরু করলেন, “মিসির আলী ভাই, আমি ধারণা করিনি কখনো কেউ এই ইতিহাস নিয়ে আগ্রহী হবে। আপনি জেনে অবাক হবেন, এই ‘সুদানির পোলা’ নামটি শুধু একটি গালি নয়, এটা সেই গ্রামের গ্রামবাসীদের জন্য এক অভিশাপের মতো। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না, এর পেছনে আছে এক ভয়ানক সত্য।” তবে, এই বিষয়টি নিয়ে এত বিস্তারিত ফোনে বলা যাবে না। আপনি কি কাল আমার বাসায় আসতে পারবেন?”
“জি, আমি কাল আপনার বাসায় আসব,” মিসির আলী নিশ্চিত করলেন।
পরদিন সকাল বেলা মিসির আলী আব্দুল হান্নানের বাড়িতে চলে গেলেন। পুরো ইতিহাস না শোনা পর্যন্ত তার অস্থিরতা কাটবে না।
আব্দুল হান্নানের বাড়ির সাদামাটা প্রবেশদ্বার দিয়ে মিসির আলী ভিতরে প্রবেশ করলেন। বাড়ির আসবাবপত্র আর চারপাশের পরিবেশ দেখে মনে হয় যেন , এখানে সময় থেমে গেছে। আব্দুল হান্নান নিজেই তাকে অভ্যর্থনা জানালেন।
আব্দুল হান্নান তাকে জানালেন যে সেই ‘সুদানির পোলা’ নামে পরিচিত ছেলেটির জীবন ছিল বেশ বিচিত্র। একদিন গ্রামের একজন প্রবীণ ব্যক্তি, যিনি ছিলেন গ্রামের একমাত্র কবিরাজ, এই ছেলেটির সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই ছেলে একদিন এমন কিছু করবে, যা গ্রামের সবাইকে শাস্তির মুখোমুখি করবে।
“কিন্তু সেই ভবিষ্যদ্বাণী কি সত্যি হয়েছিল?” মিসির আলী জানতে চাইলেন।
“হ্যাঁ,” আব্দুল হান্নান ধীরে ধীরে বললেন, “এক ভয়ংকর রাতে, গ্রামের অনেকেই অদ্ভুত এক রোগে আক্রান্ত হলো। কেউ কেউ বললো, এটা ‘সুদানির পোলা’র অভিশাপ। সেই রাতেই সেই ছেলেটি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। আর এরপর থেকেই ‘সুদানির পোলা’ নামটি গালির মতো ব্যবহার হতে থাকে। গ্রামে যা-ই হোক, সবাই এই নামটিকে দায়ী করতে শুরু করে।”
তিনি একটি পুরনো কাঠের ডেস্কের দিকে ইঙ্গিত করলেন। “মিসির আলী ভাই, এখানে কিছু প্রাচীন নথি রয়েছে যেগুলি আমি সংগ্রহ করেছি,” আব্দুল হান্নান বললেন। “এগুলো সম্ভবত আপনার কৌতূহলের জ্বালানি জোগাবে।”
মিসির আলী ডেস্কের দিকে এগিয়ে গেলেন। আব্দুল হান্নান তাকে কয়েকটি পুরনো কাগজপত্র দেখালেন, যেগুলোর মধ্যে কিছু অদ্ভুত এবং অজানা তথ্য ছিল। এসব নথি মূলত সুদানির পোলার জীবনের শেষ অংশ এবং সেই সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে লেখা হয়েছিল।
“এই নথিগুলি বিশ্লেষণ করলে আপনি জানতে পারবেন যে, গ্রামে অদ্ভুত এক রোগের প্রাদুর্ভাবের সময়েই সুদানির পোলার রহস্যময়ভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে,” আব্দুল হান্নান বললেন। “এই রোগের কারণে বহু মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিল এবং তখন থেকেই সুদানির পোলার নাম এক অভিশাপ হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে।”
মিসির আলী কাগজপত্রগুলি মনোযোগ দিয়ে পড়লেন। তিনি লক্ষ্য করলেন যে, নথিগুলোর মধ্যে একটি বিশদ বিবরণ ছিল যে কিভাবে গ্রামের মানুষ এই ঘটনার জন্য সুদানির পোলাকে দায়ী করেছিল। কিছু চিঠি এবং রিপোর্টে এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় সরকারের বিবৃতি ও অন্যান্য মূল্যবান তথ্য উল্লেখ ছিল।
“এছাড়া, আমি এখানে কিছু সাক্ষাৎকারের কপি পেয়েছি, যা গ্রামবাসীদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে। এটি দেখালে আপনি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন যে, কিভাবে এই প্রভাব গ্রামে পড়েছিল,” আব্দুল হান্নান বললেন, এবং একটি বড় আকারের নথির দিকে ইঙ্গিত করলেন।
মিসির আলী নথি হাতে নিলেন। এতে কিছু সনাক্তকরণমূলক এবং বিস্তারিত বর্ণনা ছিল যা সুদানির পোলার জীবন এবং গ্রামের অন্যদের সঙ্গে সম্পর্কিত।
“আপনার জন্য এই নথিগুলি অত্যন্ত মূল্যবান,” মিসির আলী বললেন। “এগুলো যে রহস্যের পেছনে অনেক কিছু বলছে, সেটা এখন পরিষ্কার। ধন্যবাদ আপনাকে, আব্দুল হান্নান সাহেব।”
“আপনার গবেষণায় সহায়তা করতে পারা আমার জন্য আনন্দের বিষয়,” আব্দুল হান্নান বললেন। “আমার মনে হয়, এই রহস্যের সমাধান মিসির আলীর মতো একজন দক্ষ তদন্তকারীর হাতেই সম্ভব। আমি আশা করি, আপনি এটির সত্য বের করতে সক্ষম হবেন।”
মিসির আলী বুঝতে পারলেন, এই ঘটনা শুধুই একটি কুসংস্কার বা মানুষের মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা নয়, বরং এর পেছনে আছে একটি গভীর ও অমীমাংসিত রহস্য। মিসির আলী আব্দুল হান্নানের সাথে শেষ কথোপকথন শেষ করে, নথিগুলি নিয়ে মনের মধ্যে নানা প্রশ্ন নিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন। তিনি জানতেন, এই তথ্যগুলো তাকে সুদানির পোলার রহস্যের গভীরে আরো কাছে নিয়ে যাবে। রাতের অন্ধকারে, মিসির আলী নতুন করে এই কাহিনীর অংশগুলো বিশ্লেষণ করতে শুরু করলেন, তার মনের অদৃশ্য রেখাগুলি সংযুক্ত করতে।
রাতে মিসির আলী আবার সেই পাণ্ডুলিপিটা হাতে নিলেন। গ্রামের ইতিহাসের এই অংশটা তাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করলো। সুদানির পোলা নামটি কিভাবে এক সাধারণ ছেলেকে গালিতে পরিণত করেছিল, সেই রহস্যের গভীরে কি লুকিয়ে আছে কোনো সত্য? মিসির আলী জানতেন, এই রহস্যের সমাধান সহজ হবে না। তবে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, এই কাহিনীর পেছনের সত্যটি উদ্ঘাটন করতেই হবে।
এরপর, কিছুদিনের মধ্যেই মিসির আলী সেই গ্রামের দিকে রওনা দিলেন। তার মনোবিজ্ঞানী মনের গভীরে জেগে ওঠা কৌতূহল আর প্রশ্নগুলো তাকে নিয়ে চললো সেদিকে। তিনি জানতেন, একবার এই রহস্যের পেছনের সত্যটা বের করে আনতে পারলে, সুদানির পোলার অভিশাপও চিরতরে মুছে যাবে।
অন্ধকারে ডুবে থাকা সেই গ্রামের দিকে তাকিয়ে মিসির আলী ভাবলেন—মানুষের মনের গভীরতম ভীতিগুলোই কখনো কখনো তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় অভিশাপ হয়ে ওঠে। হয়তো এই অভিশাপ ভাঙতে হলে তাকে মানুষের মনোজগতের আরও গভীরে যেতে হবে, যেখানে লুকিয়ে থাকে সব ভয়, সব সন্দেহ, এবং সব কুসংস্কারের বীজ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮