নিভে গেলো নতুন বছরের প্রথম দিবসের প্রথম সূর্যটা৷ এই তো কিছু আগে এই গ্রহবাসী অনেক আয়োজন করে একটি বছরকে বিদায় জানিয়েছে৷ ব্রক্ষ্মাণ্ডের অভিধানে দিন-রাত-মাস-বছর কিছু নেই, কিন্তু মানুষের অভিধানে তো আছে৷ তাই একটি বছর জমা হয়েছে স্মৃতির পাতায়৷ আর কখনো ফিরবে না সে৷ তার শুধু যাওয়া আছে, ফিরে আসা নেই৷ ফিরে আসা নেই আসলে কোনোকিছুরই৷ সবকিছু কেবলই চলে যায়৷ সময়, দিন-রাত-নক্ষত্র-বছর, জীবন অথবা প্রিয়তমা, ভালোলাগা মন্দলাগা, অথবা বয়স, সব কেবলই চলে যায়৷ হারিয়ে যায়৷
তবু পিছু ফিরে চায় না মানুষ৷ বিপুল উদ্দীপনায় স্বাগত জানায় নতুন বছর৷
উৎসবের আতশবাজির ভীড় ঠেলে চেয়ে দেখি নতুন বছরের উদীয়মান প্রথম সূর্য৷ কতো আশা আর নিরাশায় দুলে যায় মন৷ হয়তো অন্যরকম হবে এবার সবকিছু... হয়তো... হয়তো কি... জানি না৷
মোবাইলটা কেপে ওঠে৷ একের পর এক ফোন আসে৷ মেসেজে মেসেজে ভরে যায় মোবাইল আর ইন্টারনেটের পাতা৷ নতুন বছরের শুভেচ্ছা৷ সুখী হোক নতুন বছর৷ আমিও শুভেচ্ছা জানাই৷ কামনা করি সুখী হোক সবাই৷ সুখী হোক সবার বছর৷ যদিও জানি পথের ধারের উলঙ্গ ফুটপাতে হয়তো ঠাণ্ডায় তিরতির করে কাঁপছে কোনো মাবব শিশু৷ হয়তো শকুনেরা উদ্দত নখর মেলে ভাবছে- চালের দাম বাড়াবার এ এক ভালো সুযোগ৷ হয়তো পৃথিবীর কোনো পথের খাদে উল্টে পড়ে আছে কোনো বাস৷ হয়তো নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আসা কতো মানুষ লাশ হয়ে গেছে কোনো বোমার বিস্ফোরণে৷ হয়তো পৃথিবীর রাস্ট্রনায়কেরা ভ্রু কুচকে ভাবছে- কোন দেশটা আক্রমন করা যায়; কোন দেশের কতোগুলা মানুষ মারলে ইতিহাসের পাতায় সাহসী রাস্ট্রনায়ক হিসেবে উঠে যাবে তাদের নাম৷ আমি এসবই জানি৷ আমি জানি পৃথিবী থেকে কমবে না শকুনের দল৷ উদ্দত নখর মেলে ক্রুর দৃষ্টিতে তার চেয়ে থাকা৷ জানি নতুন বছরে সুখী হওয়া হবে না সবার, বরং শুকিয়ে যাবে অনেক জীবন৷
তবু আমি মেসেজের পর মেসেজ পাঠাই৷ আতশ বাজির বিস্ফোরণে আনন্দে উদ্বেলিত হই৷ অনর্গল ফোনের পর ফোনে বলে যাই- সুখী হও, সুখী হও, সুখী হও৷
আমরা বড় সুখের প্রত্যাশী৷
তবু জীবনে সুখ আসে কই৷ অনন্ত সংগ্রাম আমাদের পায় না সুখের ঠিকানা৷ গুটি গুটি পায়ে দৌড়ে চলে যায় ক্লান্ত সময়৷
আর তখন, নতুন বছরের প্রথম দিবসের প্রথম সূর্যটাকে নিভে যেতে দেখে চমকে উঠি৷ কি আশ্চর্য দ্রুততায় বয়ে যায় সময়!
আলোচিত ব্লগ
আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”
একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?
যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই
হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই
আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন
তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন
নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।