somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি ৪

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শামসুল হক শিক্ষাকমিশন ১৯৯৭ খৃষ্টাব্দ
 প্রেক্ষাপট
শিক্ষাকে জাতীয় কল্যাণের চাবিকাঠি ও দল জনশক্তি সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজন পুর্ণাঙ্গ শিক্ষানীতি। এ উপলদ্ধি থেকেই ১৯৭৪ সালের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়। কিন্তু জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকান্ডের পর আর কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। অবশেষে ১৯৯৭ সাল তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার ১৯৭৪ সালে প্রস্তুতকৃত কুদরত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশনের উক্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একটি বাল্ব গণমুখী ও যুগোপযোগী শ্কিষানীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এ লক্ষ্যে সরকার জানুয়ারী মাসে প্রফেসর এম শামসুল হককে সভাপতি করে ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। পরবর্তীতে আরো দুজন কে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। কমিটি কুদরত-এ-খুদা কমিশনের প্রতিবেদনকে গভীর ও নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করে সেই প্রতিবেদনের বিভিন্ন প্রস্তাবসমূহকে যুগোপযোগী করার উদ্দেশ্য দেশের সর্ব প্রকার ও সর্বস্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্যাদি পরীক্ষা করে বিভিন্নমহলের মতামত গ্রহণ করে একটি বাস্তবভিত্তিক সুষ্ঠ জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে এবং সেপ্টেম্বর মাসে তা অনুমোদনের জন্য দাখিল করে।

 কমিটির সদস্য
১. চেয়ারম্যান ঃ অধ্যাপব শামসুল হক
সাবেক উপদেষ্টা

২. সদস্য সচিবঃ জনাব মুহঃ ফজলুল রহমান
ভারপ্রাপ্ত সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়

সদস্যবৃন্দ ঃ
৩. ব্যারিষ্টার রাবেয়া ভূইয়া , সংসদ সদস্য
৪. মিসেস রাজিয়া মতিন চৌধুরী সংসদ সদস্য
৫. উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৬. উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৭. উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৮. উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৯. উপাচার্য, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
১০. উপাচার্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
১১. উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
১২. উপাচার্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
১৩. উপাচার্য, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৪. উপাচার্য, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়
১৫. উপাচার্য, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
১৬. অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
১৭. অধ্যাপক আমিনুল হক, প্রাক্তন উপাচার্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
১৮. ডঃ আব্দুল্লাহ আলমুতি শরফুদ্দিন
১৯. ডঃ মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, উপাচার্য ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
২০. অধ্যাপক ডঃ রশীদ উদ্দিন আহম্মেদ, নিউরা সার্জারী বিভাগ, স্তাতকোত্তর চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়, ঢাকা।
২১. অধ্যাপক রশীদুল হক, প্রাক্তন, অধ্যাপক গণিত বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
২২. অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী
২৩. অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২৪. অধ্যাপক আনিসুজ্জামান
২৫. অধ্যাপক ডঃ এম আলী আসগর
২৬. অধ্যাপক এইটএম জহরুল হক
২৭. ডঃ মাজহারুল ইসলাম
২৮. কাজী ফজলুর রহমান
২৯. জনাব ইকবাল সোবহান চৌধুরী
৩০. অধ্যাপক ডঃ দুর্গাদাস ভট্টাচার্য
৩১. জনাব ইউসুফ আব্দুল্লহ হারুন
৩২. ডঃ কাজী ফারুক আহম্মেদ
৩৩. অধ্যাপক ডঃ এম এ কাদেরী
৩৪. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রতিনিধি
৩৫. মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা।
৩৬. মহাপরিচালক, কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তর
৩৭. মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
৩৮. মহাপরিচালক জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী
৩৯. চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকা।
৪০. চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড রাজশাহী।
৪১. চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লা।
৪২. চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোর।
৪৩. চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চট্টগ্রাম।
৪৪. চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ঢাকা।
৪৫. চেয়ারম্যান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ঢাকা।
৪৬. চেয়ারম্যান কারিগরী শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা।
৪৭. দে জনাব মোঃ রফিকুল হক, প্রাক্তন মহা পরিচালক কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তর
৪৮. রেজিষ্ট্রার বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ঢাকা
৪৯. অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান
৫০. মিঃ মুহাম্মদ মহাসেবা সচিব সংস্কৃতি ও পানি শিক্ষা বোর্ড
৫১. মিসেস হেনা দাস
৫২. অধ্যাপক মাহমুদুল্লাহ সরকার, কৃষিতত্ত্ব বিভাগ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ।




 ডাঃ শামসুল হক শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ
অধ্যায় বিভাগ মূল বক্তব্য
অধ্যায়-০১ শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমাজ সচেতন প্রযুক্তি নির্ভর বিজ্ঞান শিক্ষার শিক্ষিত একটি জাতি গঠন।
অধ্যায়-০২ প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা মান সম্মত প্রাথমিক শ্কিষার চালু কল্পে প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন ধারার মধ্যে যে বৈষম্য রয়েছে তার অবসান ঘটিয়ে একই মান ও বৈশিস্ট্য সম্পন্ন একই ধারার শিক্ষা লাভ।
অধ্যায়-০৩ গণশিক্ষা ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা নিরক্ষরতা দুর ও সেই সাথে সচেতনতা অর্জন ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন
অধ্যায়-০৪ মাধ্যমিক শিক্ষা শিক্ষার্থীর মেধার ও সমভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধন কর্মজগতের জন্য শিক্ষার্থীদের তৈরি করা উচ্চ শিক্ষার জন্র প্রস্তুত করা।
অধ্যায়-০৫ বৃত্তিমূলক ও কারিগরী শিক্ষা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি ও শ্রমের মর্যাদা বৃদ্ধিকল্পে জনসম্পদকে জনশক্তিকে রূপান্তর
অধ্যায়-০৬ মাদরাসা শিক্ষা মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী এবং সেই সাথে ইসলামের যথার্থ সেবক ও বয়স্করূপে শিক্ষার্থীদের তৈরি করা।
অধ্যায়-০৭ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা শিক্ষার্থীর আচরনগত উৎকর্ষ সাধন ও জীবন ও সমাজ নৈতিকতার প্রয়োগনের মানসিকতা ও চরিত্র গঠন
অধ্যায়-০৮ উচ্চ শিক্ষা জ্ঞান সঞ্চারন ও নতুন জ্ঞানের উদ্ভাবন ও সেই সমাথে দক্ষ জনসম্পদে গড়ে তোলা। বানিজ্যিক উদ্দেশ্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় নিষোধাজ্ঞা ও শিক্ষাক্ষেত্রে সমন্বয়ের সাধন ও নেতৃত্ব প্রদানের স্বচ্ছ ও জবাব দিহিতামূলক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন প্রতিষ্ঠা।
অধ্যায়-০৯ প্রকৌশল শিক্ষা সমাজের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি সম্পন্ন বাস্তবধর্মী দক্ষ প্রকৌশলী ও কারিগরী জনশক্তি গড়ে তোলা এবং দেশের বৃহৎ শিল্প গুলোর জন্য উপযুক্ত প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ তৈরি করা।
অধ্যায়-১০ চিকিৎসা সেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রয়োজনীয় ও যথোপযুক্ত মানের চিকিৎসা সেবক সেবিকা স্বাস্থ্যকর্মী চিকিৎসা শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞ তৈরি করা
অধ্যায়-১১ বিজ্ঞান শিক্ষা প্রাথমিক শুরু থেকেই শিশুরেদর বিজ্ঞানের সাথে পরিচিত করান তাদের প্রতিভার বিকাশ জ্ঞানের সাধনা ও সৃষ্টিশীলতার মান অর্জন করানো।
অধ্যায়-১২ কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষায় আন্তর্জাতিক মান ও গুন সম্পন্ন শিক্ষিত ও প্রশ্কিষণ জনবল তৈরি।
অধ্যায়-১৩ কারবার (বা বিজনেস) শিক্ষা
অধ্যায়-১৪ কৃষি শিক্ষা পরিবেশগত শক্তি ও সম্ভবনার বিকাশ সাধন প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা ও আত্মকর্মসংস্থানে উদ্ধুদ্ধকরণ
অধ্যায়-১৫ ললিত কলা শিক্ষা মনের সুকুমার ব ৃত্তিকে জাগ্রত করা শৃঙ্খলাবোধ সৃষ্টি করে পরিমিত ত্যাগ সম্পন্ন দক্ষ ও সুনাগরিক জনগোষ্ঠী ও সেই মসাথে তাকে পেশাভিত্তিক শিক্ষা হিসেবে বিবেচনা নেয়া।
অধ্যায়-১৬ আইন শিক্ষা আইন শিক্ষার সার্বিক পুর্ণবিন্যাস ও আধুনিককরণের মাধ্যমে সুদক্ষ আইনজীবী আইন বিদ ও বিচারক তৈরি এবং জনগণের তাদের আইনগত অধিকার সংরক্ষনে সহায়তা করা।
অধ্যায়-১৭ নারীশিক্ষা নারীকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত ও সচেতনা ও প্রত্যায়ী হিসেবে গড়ে তোলা
অধ্যায়-১৮ বিশেষ শিক্ষা স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষা একাউন্ট ও গার্লস গাইড প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠা শিশুকাল থেকে শিক্ষার্থীদের শারিরীক শিক্ষার শিক্ষিত করা শিশু কিশোর কিশোরীদের আত্মমর্যাদার সম্পন্ন আত্মনির্ভরশীল, সেবাপরায়ন স্বাস্থ্য সচেতনা সর্বোপরি সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
অধ্যায়-১৯ গ্রন্থগার বিজ্ঞান উন্নত ও আধুনিক মানের গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জ্ঞান ও তথ্য সমহজলভ্য করা।
অধ্যায়-২০ পরীক্ষা ও মূল্যায়ন শিক্ষার সামগ্রিক উদ্দেশ্য অর্জনে শিক্ষার্থীর সফলতা নিরূপন করা।
অধ্যায়-২১ মছাত্রকল্যাণ ও নিদের্শনা শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের অন্যায় সমাধান পড়ার খরচ লাঘব করা।
অধ্যায়-২২ শিক্ষক প্রশিক্ষণ শিক্ষকদের উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে তাদের মানোন্নয়ন করা ও শিক্ষকের মর্যাদা বৃদ্ধি করা
অধ্যায়-২৩ শিক্ষকের মর্যাদা অধিকার ও দায়িত্ব মেধাবী ছাত্রদের শিক্ষকতার আগ্রহী করে তোলা ও তাদের মর্যদা ও সুযোগ সুুবিধা বৃদ্ধি।
অধ্যায়-২৪ শিক্ষাক্রম পাঠ্যসুচি ও পাঠ্যপুস্তক জাতীয় আদর্শ লক্ষ্য উদ্দেশ্য এবং সমজানীন চািেহদার প্রতিফলন ঘটে এমন শিক্ষাক্রম পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন
অধ্যায়-২৫ শিক্ষা প্রশাসন ব্যবস্থাপনার বিকেন্দ্রীকরণ
অধ্যায়-২৬ শিক্ষার শুরু নির্বিশেষে বিশেষ করে কয়েকটি পদক্ষেপ শিক্ষাকে রাজনীতির উর্দ্ধে রাখা কোচিং ব্যবসার নিয়ন্ত্রন ও অভিন্ন শিক্ষাঙ্গন পাঠ্যসুচি ও অন্যান্য নীতিমালার বাধ্যতামূলক অনুসরণ নিশ্চিত করা।
অধ্যায়-২৭ অর্থায়ন শিক্ষাখাতে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করা


 ইতিবাচক দিক ঃ

১. শিক্ষার বাণিজ্যিক করণ রোধ। শিক্ষার প্রতি।
২. প্রাপক প্রাথমিক শিক্ষা চালুর মাধ্যমে বিদ্যালয়ের প্রতি শিশুর আগ্রহ সৃষ্টি করা।
৩. প্রাথমিক শিক্ষা ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত চালু করা এবং সেই সাথে তা বাধ্যতামূলক ও সার্বজনীন করা।
৪. গণশিক্ষা ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা চালুর মাধ্যমে নিরক্ষতা দূর করা।
৫. মাধ্যমিক শিক্ষায় বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
৬. বৃত্তিমূলক ও কারিগরী শিক্ষার উপর গুরুত্ব প্রদান
৭. মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে সংস্কার সাধন করে যুগোপযোগী করা।
৮. ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার উপর গুরুত্ব প্রদান।
৯. জ্ঞানের সকল শাখার মধ্যে সমন্বয় সাধন ও মৌলিক গবেসণার উপর গুরুত্ব প্রদান।
১০. দেশের বৃহৎ শিল্পগুলোর জন্য উপযুক্ত প্রকৌশলী প্রযুক্তিবিদ তৈরির জন্য ঐ শিল্পগুলোর উপর কোর্স চালুসহ ফ্যাকাল্টি চালু করা।
১১. দেশের জনগণ তথা গ্রামাঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য বিশেজ্ঞ, সেবক সেবিকা ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সেবা পৌছে দেওয়ার জন্য অনুপ্রণিত করা।
১২. কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব প্রদান।
১৩. চাকরির বিকল্প হিসেবে ব্যবসাকে উৎসাহিত করা।
১৪. সংস্কৃতিবান সুরুচিসম্পন্ন ঐতিহ্যসচেতন সুশৃঙ্খল জাতি গঠনে গুরুত্ব প্রদান।
১৫. নারেিক শিক্ষা নিশ্চিৎ করনের জন্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি।
১৬. প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ।
১৭. জ্ঞানকে ও তথ্যকে সবার জন্য সহজ লভ্য করার উপর জোর প্রদান।
১৮. শিক্ষকদের দক্ষতা অর্জনের উপর গুরুত্ব আরোপ
১৯. শিক্ষকদের যথাযথ সামাজিক মর্যাদা দান।
২০. আত্মনির্ভর শীলতা, দেশপ্রেম, নৈতিকমূল্যবোধ দৃষ্টি তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উদ্বুদ্ধকরণ
২১. প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনাকে বিকেন্দ্রীকরণ পৃথক শিক্ষক নির্বাচনী কমিশন গঠন।
২২. পৃথক শিক্ষক নির্বাচনী কমিশন গঠন।

 নেতিবাচক দিক ঃ

১. মৌলিক বিষয়ের চেয়ে বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপর গুরুত্ব প্রদান।
২. ইংরেজী শিক্ষার উপর যথাযথ গুরুত্ব প্রদান না করা।
৩. অভিন্ন শিক্ষাধারার কথা বলা হলেও দেখা যায় বিরাজমান বিভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার বিলোপ না করা।
৪. দেশের সঠিক ইতিহাস শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়া সম্পর্কে কোন কথা এখানে বলা হয়নি।
৫. এখানে ধরে নেওয়া হয়েছে অনেক শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা শেষে ঝরে পড়বে।
৬. মেধাবী ও প্রশিক্ষিত দের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগদানের কথা বলা হলেও প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে আত্মত্যাগ সমৃদ্ধদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার করা বলা হয়েছে।
৭. মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার কথা বলা হলেও কাওমী মাদ্রাসাকে শিক্ষা ব্যবস্থার বাহিরে রাখা হয়েছে।
৮. দরিদ্র্য পরিবার সমূহের ছেলেমেয়েদেরকে কারিগরি শিক্ষাগ্রহণ উদ্বুদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে আসলে তাদেরকে সাধারণ শিক্ষাগ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।
৯৩. উচ্চ শিক্ষারক্ষেত্রে ভর্তি কি ও বেতন বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে এর মানে দরিদ্র ছাত্রদের উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা। আবার তারা যে বেতন ব্যবহার কথা বলেছে তার মধ্যে দিয়েও দারিদ্র ছাত্র ছাত্রীদের মনে হীনমন্যতা বৃদ্ধি করা হয়। শিক্ষার ব্যয় বহন কতে হবে সরকারকে। তারা এ ভার দিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর।
১০. বলা হয়েছে মহিলা শিক্ষকদের চাকরিতে নিয়োগসহ কোন ক্ষেত্রে বৈষম্য রাখা হবেনা। আবার বলা হেয়ছে সমযোগ্যতা সম্পন্ন মহিলাদের বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটা আসলে পরস্পর বিরোধী।

 সমালোচনা ঃ
১৯৭৪ সালের কুদরত-ই-খুদা শিক্ষাকমিশনের উক্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একটি বাস্তব যুগোপযোগী ও গণমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য গঠিত হয় এই শিক্ষানীতি কিন্তু এই শিক্ষানীতি আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে প্রণয়ন হলেও আর ওয়াসা সরকার এবং পরবর্তীতে বিএনপি সরকার এই শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করেনি। এই শিক্ষানীতি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষনের দরকার আছে বলে আমি মনে করি।

শিক্ষানীতিই পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই-
এই শিক্ষা কমিশন মনে করেছে যে প্রাথমিক শিক্ষাটা অর্জন শ্রেণী পর্যন্ত হওয়া উচিত কিন্তু কিসের ভিত্তিতে সেই সুপারিশ করেছে তা স্পষ্টে হয়ে ওঠেনি। এ সম্পর্কে কোন গবেষণা ও চোখে পড়েনি।

এই শিক্ষানীতিতে কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এটি একটি ভালো দিক। কিন্তু কারিগরী শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে উচ্চ শিক্ষাকে অবহেলা করা হয়েছে যা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়।

মাদ্রাসা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবহার আরেকটি ধরণ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।

শ্কিষা কমিশন রিপোর্ট তৈরিতে সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ করে জনগণের মতামত জেনে করা হয়েছে কিন্তু গবেষণা করে শিক্ষার কোন শুরে কি ধরনের কর্মকৌশল গ্রহণ করা প্রয়োজন বা কোথায় কী চাহিদা রয়েছে সেটি নিরূপন করা হয়নি।

নারী শিক্ষা গণশিক্ষা ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বা শিক্ষানীতিকে আরও তৎপর্যই করেছে।

দেশের জনসংখ্যা সম্পদ ভবিষ্যত ইত্যাদি তারিখে নিকট ও দুরঅতীতে কোন সেক্টরে কী প রিমাণ জনসম্পদের প্রয়োজন হবে সে সম্পর্কিত দিক নির্দেশনা রিপোর্টগুলোকে পাওয়া যায়নি।

অন্যান্য শিক্ষানীতিতে শুধু সুপারিশ করা হয় সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়নের কিভাবে হবে সে কথা বলা হয়নি। কিন্তু এই শিক্ষানীতিতে সে কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের শিক্ষানীতিগুলো পর্যালোচনা করলে প্রতিটি শিক্ষানীতিরই কিছু ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে । কোন শিক্ষানীতিই পুর্নাঙ্গা পায়নি। তবে শামসুল হক বিজ্ঞানীকে পূর্বেকার অন্যান্য বিজ্ঞানীদের চেয়ে গ্রহন যোগ্য।

বাংলাদেশের প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি ৫
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×