বাইরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পরছে। আমি জানালায় চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছি। আবছায়া জানালার কাঁচে বাইরের প্রায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তাও আমি তাকিয়ে আছি। তাকিয়ে থাকতে ভাল্লাগছে। জানি না! কেন যেন মনে হচ্ছে, আমি হয়তো আর এক সপ্তাহ বাঁচবো। কিংবা এক মাস। তীব্র মানুষিক আঘাতে মানুষের মাথা এলোমেলো হয়ে যায়। আমারও বোধহয় তাই হচ্ছে। তা না হলে এমন মনে হবে কেন?
কিছুক্ষণ আগেই পংতির সাথে ব্রেক-আপ হয়ে গেল। আমাদের তিন বছরের রিলেশন মাত্র ৩৩ সেকেন্ড-এ ভেঙ্গে গেছে। পংতি ফোন করে বলল, প্রান্ত! বাইরে বৃষ্টি দেখেছো? এই বৃষ্টির জলে আমার ভালোবাসা সব ভিজে গেছে। তুমি রোদ হয়ে এই ভেজা ভালোবাসা আর শুকোতে এসো না। মাত্র ৩৩ সেকেন্ড! এ কথাগুলো বলেই পংতি ফোনটা রেখে দিল। তারপর আমি কয়েকবার ফোন দিলাম। কিন্তু ও ধরল না।
কেটে গেল প্রায় তিন মিনিট। পংতির একটা ম্যাসেজ এল। ও খুব ছোট্ট করে একটা ইংরেজি শব্দ লিখে পাঠিয়েছে “Break-up”। ভাগ্যিস এই শব্দের মানেটা আমি জানি। তা না হলেতো বুঝতেই পারতামনা আমাদের অবস্থাটা এখন কোথায়? হঠাৎ করেই যেন বুকের ভেতর পাড় ভাঙ্গার শব্দ শুনলাম। কে যেন কেঁদেও উঠল বুঝি। কিন্তু কে? কে কাঁদছে?
জানালা ছেড়ে বিছানায় গিয়ে বালিশের উপর মাথা রাখলাম। কারেন্ট নেই প্রায় একঘন্টা। মাথার উপর সিলিং ফ্যানটা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ও বোধহয় আমাকে কিছু বলতে চাইছে। কিন্তু কি বলবে? ও নেই আমিতো আছি। কাছে এসো? হা হা হা… আমি বোধহয় সত্যি পাগল হয়ে যাচ্ছি।
ভীষণ ঘুম পাচ্ছে আমার। ভীষণ! মনে হচ্ছে এখন ঘুমিয়ে পরলে আমি হয়তো আর জেগে উঠব না। আমি হয়তো আজই মারা যাব। তবে কেউ একজনকে বলে যাওয়া দরকার। অন্তত কেউ একজন জানুন আমি নেই। তবে একদিন ছিলাম।
** এরচেয়েও ছোট্ট করে কেমনে গল্প লেখে?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪