করোনা পরবর্তী পৃথিবীটা কে নিয়ে ভাবার অনেক কিছু আছে।
পৃথিবী অর্থনীতি সংকটে পড়বে সেটা নিয়ে গবেষণার দরকার নেই।
বরং নিজের আশেপাশে তাকালেই সেটা বুঝতে পারবেন।
আর সেই সংকটে আমাদের দেশও যে পড়বে সেটা বলাই বাহুল্য।
করোনার কারণে মানুষের যে সব অভিরুচির পরিবর্তন হয়েছে ও হচ্ছে, সেটা সহসাই পরিবর্তন হবে না।
কাগজের পত্রিকা থেকে অনেকেই আতঙ্কে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
পত্রিকায় একটা কথা প্রচলিত যে, যে ঘর থেকে যে পত্রিকা একবার বের হয়ে যায় সেই ঘরে সেই পত্রিকার ঢোকাটা অনেক কঠিন।
ফলে কাগজের পত্রিকার বদলে এখন যারা অনলাইনে খবর পড়তে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন তাদের খুব কম অংশই করোনা পরবর্তী সময়ে সেই অভ্যাস পরিবর্তন করবেন।
এজন্য ডিজিটাল নিউজ মিডিয়ার জন্য আগামী দিনগুলো অনেক পজিটিভ হবে।
মানুষ ইতিমধ্যে অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়েছে ও হচ্ছে।
ফলে ই-কমার্স সেক্টরের জন্য করোনা পরবর্তী সময় আসলেই বৈপ্লবিক উত্থানের সময়।
আচরণগত ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার মতো বিষয়গুলো আগামীতে সকলকে আরো অনেক সচেতন করবে।
ভবিষ্যতে নিজের সেফটি ও সিকিউরিটির জন্য মানুষ সঞ্চয় ও বীমা করার প্রতি নজর বেশি দেবে।
ফলে ব্যাংক ও বীমা খাতটি খুব দ্রুত আরো চাঙ্গা হবে।
নিঃসন্দেহে বলা যায়, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের দিকে রাষ্ট্র নজর দেবে।
আর স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে কেবল নামের বদলে ডেডিকেটেড মানুষগুলোই চিকিৎসক হিসেবে এ পেশায় আসবেন।
সর্বোপরি, নিয়মতান্ত্রিক একটি ব্যবস্থার সূচনা আগামীতে আসবে।
তবে সেটি হবে অনেক সংগ্রামের, অনেক কষ্টের।
সেজন্য আপনি তৈরি তো?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৪