somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

সামুর মুক্তিতে অনেক আনন্দ লাগছে

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১) তখন ১ম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি কেবল। আমার মনে আছে বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগেই মা আমাকে হাতের লেখা শিক্ষা দিয়েছিলেন। আমার বয়স তখন ৪ থেকে ৫ হয়নি, হবে এমন। (এটা মার কাছে শোনা) । আমার বিদ্যালয়ে যাওয়াতে সবাই খুশিই ছিলো। আর কোন ভয় ছিলোনা কারন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষিকা শিক্ষক ছিলো আমার আপন আত্মীয়ের মাঝেই। তো বড় বোনের সাথে ভাইদের সাথে গিয়ে বসে থাকতাম।

প্রথম স্কুলে ভর্তি হয়ে আমি আমার বাবাকে চিঠি লিখেছিলাম। আর সেটা কিভাবে পোস্ট করবো, পাঠাবো সেটা নিয়ে ছিলো খুব চিন্তা । তো আমার চাচ্চু আমাকে চিঠির খাম এনে দিয়েছিলো। আর সেটা আমরা একসাথে গিয়ে ইউনিয়ন এর ডাকঘর এ ডাকবাক্সতে রেখে আসি।

সত্যি বলতে গেলে ওইটাই আমার জীবনের একমাত্র লেখা চিঠি। আর একমাত্র ব্যক্তিগত চিঠি। যেটা আমি আমার আব্বুর কাছে লিখেছিলাম। আর আবদার ছিলো ঢাকা থেকে একটা সাইকেল নিয়ে এসো। ছোট সাইকেল, যাতে আমি বিদ্যালয়ে যেতে পারি। লেখা ছিলো একেবারেই কাচা হাতের।

এখন মানুষ আর চিঠি লিখে না। ব্যক্তিগত চিঠি লেখেনা। ডাকঘর এখন শুধুই সরকারি অফিস আদালতের চিঠি আনা-নেওয়া করে। ডাকবিভাগ নিজেও এখন আধুনিক হয়ে গেছে,। তারাও মোবাইল ব্যাংকিং চালু করেছে নাম নগদ।






আজ সামুতে সবাই মুক্তি দিবস পালন করছে। আমার মতে এটাকে সামু মুক্তি দিবস ঘোষণা করা যেতেই পারে। কারন আমি এই কয়দিনে অনেক ব্লগার, জ্ঞানী গুণী লোককে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমি মাঝে মাঝেই তাদের নাম সার্চ দিয়ে সেখানে দেখে আসতাম যে, তারা কোন নতুন লেখা দিয়েছেন কি? অনেক ব্লগার এই কয়দিন ছিলেননা বললেই চলে। এখনো আসেননি অনেকে। তারপরও ব্লগে আজ ব্লগার সংখ্যা বেশি বেশি ছিলো । এটা একটা আনন্দের সংবাদ।
পাঠক সংখ্যা নিতান্তই কমে গিয়েছিল, অনেক ব্লগারদের খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিলোনা। তাই ব্লগ বাড়িটাকে ফাঁকা ফাঁকা লাগতো। তাই আজকের দিনকে ব্লগ মুক্তি দিবস বলা যেতেই পারে ।



একটা দিন ছিলো, আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ ছিলোনা। আমরা হারিকেন দিয়ে অন্ধকার দূর করতাম। সপ্তাহে দুইদিন বাজার থাকতো। আর সেই বাজারের দিন, বাজার থেকে কেরোসিন কিনে নিয়ে আসতাম, আর সেই কেরোসিন শেষ হয়ে গেলে, । যদি কোন রাতে এমন হতো সেই রাত অন্ধকারে থাকতো ঘর। তাই বেশি করে ঘরে মজুদ করে রাখতাম। আজ সেই দিন নাই, আমাদের ঘরে হারিকেন ও নাই, এসব এখন ইতিহাস।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫৪
৭টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×