বসে বসে ঝিমাচ্ছিলাম, আমার এক ব্লগিয় প্রতিবেশি আমার খাস জিগারের দোস্ত মিস্টার ইকরাম উল্যাহ আইয়া কইল ভাই আলো বাতাস তো বহুদিন খাইসি, এইবার মুরগী খাইতে মুঞ্চায় । কইলাম আইচ্ছা, তথাস্থু, চাকরি যখন একটা পাইয়াই গেছি, খাইতে দোষ নাই। কিন্তু একটা শর্ত আছে।
ইকরাম ভাই সিধাসাধা মানুষ। লাফ দিয়ে উঠে জিগায়, কি শর্ত?
আমি কইলাম, তেমন কিছু না, মুরগী খাব ঠিক আছে, কিন্তু রান খাইতে পারব না। লাল্টীপের পরের থেকে আমার রান দেখলেই কেমন জ্বর জ্বর লাগে :-&
ইকরাম ভাই বাধ্য হইয়া কইল তথাস্তু। কিন্তু মনে মনে হয়ত একটু বেজার হুইতেও পারে...
আমি কইলাম আগেই বাইর হইও না, আরও কাজ আছে। উনার মনে হয় ধৈর্য শেষ হবার পথে। জিগায়, কি হইসে আবার?
আমি কই যুদ্ধের আগে একটা ছবি তুল্লে কেমন হইত?
যাই হউক অনেক বুঝানর পড়ে একখান ফটুক তুললাম। উনি বুঝতেই চাইতেছিল না যে মুরগী খাওয়া যে কোনও যুদ্ধের থেকে কম কিছু না।
এইবার বাইর হইলাম। যাওয়ার পথের ঘোঁটনা আজকে থাক।
গিয়া টেবিলে বইয়াই অর্ডার দিলাম। মামা লোক চিনে , দেড় মিনিটের ভিতর মুরগী হাজির।
মুরগী দেইখা ইকরাম ভাইয়ের আনন্দ দেখে কে
যাই হোক, উনি খাওয়া শুরু করার লগে লগে কইলাম খামোশ!!!! , উনি ভয় পাইয়া ব্রেক করা থাইমা গিয়া আমার দিকে এই রকম একটা লুক দিল...
আমি কইলাম, লুক দিয়া লাভ হইব না, আপনের ছবি বহুত তুলছি, এইবার আমার ছবি তুলেন, নাইলে খাওয়া বন্ধ
বেচারা আর কি করবে? বাধ্য হইয়া ছবি তুইলা দিল, আমি নায়কের মতন পোঁচ ধরলাম
ছবি তুলার পরে কইলাম, একটু পরে খান, খাইলেই তো ফুরাইয়া জাইব, বেচারা ক্ষ্যাপা গিয়া আরেকটু হইলে আমারেই খাইয়া ফেলত। আমি ভয় পাইয়া অফ গেলাম । আর ভদ্র ছেলের মত খাঅয়া শেষ করলাম।
যাই হোক খাওয়া দাওয়া শেষ হবার পরে দেখি এক আপু ঘুর ঘুর করছে, ইকরাম ভায়ের মনে লুলভাব জেগে উঠায় উনি উনার চারপাশে দুই চক্কর মারলেন, ৩ নম্বত চক্কর মারার সময় উনি টের পাইলেন যে এই আপু যেন তেন আপু নয়, পুলিশ!! তাও এক্কেবারে এএসপি!
এই দেখে তিনি এক দৌড়ে নিকটস্থ চলমান বাসে দৌড় মাইরা উইঠা গেলেন, আমার আর ছবি তুলা হইল না।
অফটপিকঃ নোবিতা রিফু কেন জানি ২ দিন ধরে লগইন হতে পারছে না, উনার জন্য সবাই দোয়া কইরেন। আর আমি কতদিন ওয়াচে থাকব? আমার জন্যে আরও বেশি দোয়া কইরেন :-<
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ২:৫৩