কালকে বনানী থেকে বাড্ডা আসার সময় দেখলাম গুলশান লেকের পাশে কলা বিক্রি হচ্ছে। দাম অসম্ভব রকম সস্তা। ১ ডজন কলা মাত্র ১৬ টাকা ।

এই আকালের যুগে সায়েস্তা খানের আমলের কলা পেয়ে যেন হাতে চাঁদ পেলাম

। বেশ তাড়াহুড়ো করেই প্রায় দেড় ডজন কলা কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরলাম। যখন কিনেছিলাম তখন অন্ধকার ছিল বলে কলা গুলোর চেহারা দেখে কিনিতে পারি নি। বাড়ি ফিরে দেখি কলা গুলো একদমই সবুজ কাচা। গাছে ধরার সাথে সাথে সম্ভবত এগুলাকে টেনে নামান হয়েছে। তাই তখনকার মত খালি পেটেই থেকে ক্ষান্ত দিলাম। :# বাধ্য হয়ে কলাগুলা ঘরের চিপায় সরাইয়া রাখলাম, এই ভেবে যে, এক সপ্তাহ পরে কলাগুলা পাকলে এগুলা ঘরের চিপা থেকে বের করব। কিন্তু আজকে সন্ধায় এক আজিব ঘটনা ঘটলো... আমি গেম খেলতেসিলাম। হটাত, একটা পচা গন্ধ পাইয়া লাফাইয়া উঠলাম।

অনেকক্ষণ ভেবেও বাইর করতে পাতলাম না যে গন্ধ কোথা থেকে আসে? তারপর কি যেন মনে হওয়াতে কলাগুলার দিকে তাকালাম। না তোহ! কলা গুলাত ঠিকই আছে। চকচকা সবুজ রঙের কলা গুলা আমার দিকে তাকিয়ে হাসতেসে। তাহলে গন্ধ কিসের? কি যেন মনে হওয়াতে কলাগুলা ঘরের চিপা থেকে বের করে হাতে নিলাম, এবং সঙ্গে সঙ্গে সত্য টা আমার সামনে আসলো। :-& ব্যাপারটা হল কলার বাইরে ঠিকই সবুজ আছে। কিন্তু ভিতরে এমন পাকা পেকেছে যে অনেকটা অংশ পচে গিয়েছে। শালার আড়তদার রা কলাগুলাকে এতো পরিমান বাই কার্বনেট খাওয়াইসে যে বেচারারা বাইরে পাকার সুযোগটা পর্যন্ত পায় নায়। শেষে আমাকে বাধ্য হয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ কলা বিসর্জন দিতে হল। শেষ খবর হল এখন বাকি কলা গুলা বাচানর জন্য আমাকে প্রতি আধাঘণ্টায় ২ টি কলা খেতে হচ্ছে। এ থেকে একটি প্রাচীন প্রবাদ নতুন করে প্রমান করলাম যে, সস্তার তিন অবস্থা।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০৭