সাঈদির বিরুদ্ধে পাওয়া যাচ্ছেনা স্বাক্ষি...তাই আদালত স্বাক্ষি খুঁজে আনতে দিয়েছে প্রায় এক মাসের মুলতবি। ওদিকে গতকাল আদালতে সৃস্টি হয়েছে হাস্যরসের। কাদের মোল্লার ঘটনার একজনও স্বাক্ষি নাই দেখে আদালতের প্রধান আইঞ্জিবিদের এক হাত নিলেন। গতকাল ধার্য দিনে ট্রাইব্যুনালে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ আলী। ট্রাইব্যুনাল জানতে চান, প্রথম অভিযোগের পক্ষে কোনো মৌখিক সাক্ষ্য আছে কি না? জবাবে কৌঁসুলি বলেন, মৌখিক সাক্ষ্য নেই। তবে ভোরের কাগজ-এ প্রকাশিত সংবাদ ও শাহরিয়ার কবিরের (একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি) লেখা একটি বইয়ে ঘটনাটি আছে।
গতকাল যুক্তি উপস্থাপনকালে ট্রাইব্যুনাল কৌঁসুলিকে বলেন, মিরপুর ১ নম্বর থেকে ১২ নম্বর পর্যন্ত অন্তত তিন মাইল জায়গা। এই জায়গা দিয়ে একজনের হাতে দড়ি বেঁধে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হলো, অথচ একটা সাক্ষী পাওয়া যায়নি? কী তদন্ত করেছেন? কৌঁসুলি বলেন, মৌখিক সাক্ষ্য না থাকলেও নথিপত্রের সাক্ষ্য আছে। ৪০ বছর আগের ঘটনা। পরে তদন্ত হয়েছে। হয়তো সাক্ষী পাওয়া যায়নি।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, সাক্ষী তো অবশ্যই আছে, কিন্তু আপনারা আনতে পারেননি। শাহরিয়ার কবিরকে কেউ একজন ঘটনাটি বলেছেন। যে লোক তাঁকে ঘটনাটি বলেছেন, তিনি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে বলতে পারবেন না? আপনারা কী করেছেন? বই পেয়ে মনে করেছেন সব পেয়ে গেছি, তারপর সেখান থেকে ঘটনা তুলে ঘরে বসে লিখেছেন? ট্রাইব্যুনাল এ সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা আছেন কি না জানতে চান। তিনি উপস্থিত না থাকায় ট্রাইব্যুনাল বলেন, আগামীকাল (আজ বৃহস্পতিবার) তাঁকে এখানে ডাকবেন। আইন ও বিধিতে কৌঁসুলিদের তদন্তের বিষয় নিরীক্ষা করার ক্ষমতা দেওয়া আছে, কিন্তু তাঁরা তা করেননি। তদন্ত প্রতিবেদনে যা পেয়েছেন, হুবহু তা আনুষ্ঠানিক অভিযোগে তুলে দিয়েছেন।
আর কতদিন, জনগণ সব দেখতেছে । জোর করে সব করা যায়না । আললাহ কি জানেন না ?এভাবে অতীতে ও জোর করে কোন কিছ্ব করতে কেহ পারেনাই ।
সুত্র- prothom-alo.com
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২১