




তথাকথিত ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার ক্রাইম ট্রাইবুন্যালের চেয়ারম্যান মো. নিজমুল হকের পদত্যাগ দাবী করেছেন সেইভ বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ। এ দাবীতে বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন ঘেরাও করে সংগঠনটি। সেইভ বাংলাদেশের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই ঘেরাও ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের অন্যতম নেতা ব্যারিস্টার আবুবকর মোল্লা, মাওলানা আব্দুল মুনিম চৌধুরী, আব্দুল মালিক, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ ঈসমাইল, যুক্তরাজ্য বিএনপি‘র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ এম এ মালেক, যুক্তরাজ্য বিএনপি‘র ভাইস প্রেসিডেন্ট ডঃ এম এ আজিজ, ইসলামী ঐক্যজোট যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি ও জমিয়তে ওলামা ইউরোপের সেক্রেটারী মাওলানা শোয়েব আহমদ, ফ্রি মাওলানা সাঈদী ফেডারশনের আহ্বায়ক আখতার হোসাইন কাওসার, দাওয়াতুল ইসলাম ইউকে এন্ড আয়ার এর প্রতিনিধি মাওলানা আব্দুল্লাহ হাসনাত চৌধুরী, আলহাজ্ব নুর বখশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামজিক , সাংস্কৃতিক ও পেশাজিবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ১৯৯৩ সালে তথাকথিত গণ আদালতের মহসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সে সময় বিতর্কিত একটি প্রতিকী বিচারের মাধ্যমে বর্তমানে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক অনেকের ফাঁসির রায় দেয়া হয়। তিনি একজন দলীয় ব্যক্তি। সুতরাং তার কাছে কখনো ন্যায়বিচার আশা করা যায়না। এর ফলে বর্তমান ট্রাইবুন্যালের ওপর জনগণের কোন আস্থা নেই। এটি মুলতঃ একটি
আওয়ামী কোর্ট যেখানে বিচারের প্রহসন সাজানো হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থের কৌশল হিসেবে সাজানো এই ট্রাইবুনাল সার্বজনীন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষনার ১০ নং ধারা ও ইন্টারন্যাশনাল কভনেন্ট অব সিভিল এন্ড পলিটিক্যাল রাইটের ১০ নং ধারার পরিপন্থী। এই আইনগুলো সারা দুনিয়ার আদালত ও ট্রাইবুন্যাল মেনে আসছে। সেকারণে যদি বিচার করতেই হয় তাহলে তা হতে হবে একটি উন্মুক্ত, নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য ট্রাইবুন্যালের মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমান
ট্রাইবুন্যালের মাধ্যমে অভিযুক্তরা নিরপেক্ষ ও ন্যায় বিচার পাবেনা। কেননা এটি একটি দলীয় কোর্ট। প্রহসনের এই ট্রাইবুনাল হেগ এর আন্তর্জাতিক ক্রিমিনিাল কোর্টের মান ও নিরপেক্ষতার দিক থেকে স¤পুর্ন পরিপন্থি।
বক্তারা আন্তর্জাতিক আইনের ধারা উল্লেখ করে বলেন, সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কোড অব কন্ডাক্ট এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে জাস্টিস নাজমুল হকের উচিত হবে ট্রাইবুন্যালের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করা। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ১৪৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিচারপতি নিজামুল হক শপথ গ্রহণ করেছেন। সুতরাং তার উচিত ন্যয়বিচার সমুন্নত রাখতে যা কিছু করা দরকার তা করা।
বক্তারা আরোও বলেন, বর্তমান ট্রাইবুনাল একটি ক্যাঙ্গারু কোর্ট। বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের দমন নীপিড়ন চালাতেই এটি গঠন করা হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ সরকারের এই হীন উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখন সচেতন। কাজেই কোন ধরনের অন্যায় জনগন সহ্য করবেনা। বক্তারা হূশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, কোন ধরণের প্রহসনের বিচার হলে তার জন্য সংশ্লিষ্টরাই দায়ী থাকবেন। পরিশেষে নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে লেখা একটি স্বারকলিপি হাইকমিশনারের হাতে হস্তান্তর করেন।