ঈদের দিনে মানুষের মুখের খাবার কেড়ে নিলো পুলিশ এবং শহীদ নূর হোসেন দিবস।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
"ঈদুল আযহার অনাবিল আনন্দের মধ্যে চলছে একটি খাবার অনুষ্ঠান। কুরবানীর ঈদ। তাই কুরবানীর গোস্ত দিয়েই রান্না করা হয়েছে তেহারী। পল্টন এলাকার বিভিন্ন বয়সের লোকজনসহ স্টাফদের আত্মীয় স্বজনও এসেছেন। কেউ কেউ ছোট ছেলে মেয়েদেরকে সাথে আনতে ভুল করেননি। মেজবান পক্ষের লোকজন ঘুরে ঘুরে মেহমানদের খোঁজ খবর নিচ্ছে আর দেখছে তারা ঠিক মত সব কিছু পাচ্ছে কি না। ঈদের আনন্দে ভরে উঠেছে পুরো অনুষ্ঠান স্থল। সে আনন্দ যেন ভাগাভাগি করে নিচ্ছিল মেহমান আর মেজবানরা।
কিছু লোক খাবারের লোকমা হাতে নিয়েছে মুখে দেয়ার জন্য। কত জন খাবার শেষে হাত ধোয়ার জন্য প্লেট হাতে দাঁড়িয়েছে। আবার কিছু লোকের হাতে ছিল পানির গ্লাস। হঠাৎ করেই পুলিশের বাঁশির হুইসালের বিকট আওয়াজ। দাঙ্গা পুলিশ এসে ঘিরে ফেলেছে পুরো অনুষ্ঠানস্থল। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই শুরু হয় পুলিশের লাথি আর দাঙ্গা পুলিশের লাঠিচার্জ। শুরু হয় লোকজনের আর্তচিৎকার। বাঁচার জন্য লোকজন এদিক ওদিক ছুটা ছুটি করছে। ক্ষনিকের মধ্যেই আনন্দ বিষাদে রূপ নেয়। আতংক ছড়িয়ে পড়ে পুরো পল্টন এলাকায়। আর অনুষ্ঠান স্থলের চেয়ার, টেবিল, খাবারের প্লেট, জগ-গ্লাস ও হাঁড়ি পাতিলগুলো দেখে মনে হচ্ছে কিছুক্ষণ আগে এখানে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়ে গেছে।
এ দৃশ্যটি দেখা গেছে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর অফিস চত্বরে পবিত্র ঈদুল আযহার দিন দুপুরে। মহানগরী জামায়াত অফিসের কর্মরত স্টাফদের পক্ষ থেকে এ আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে মেহমান হিসাবে মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি হামিদুর রহমান আযাদ এমপিসহ মহানগরী কর্মপরিষেদর কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। পল্টন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন।"
গণতান্ত্রিক ভন্ডামী নিয়ে আমার দুটি কথাঃ
আজকে নাকি শহীদ নূর হোসেন দিবস, যে নূর হোসেন এই ক্ষমতাসীন দলের কর্মী ছিল, নিজেকে আত্নাহুতি দিয়েছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়। সেই নূর হোসেনর দলের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ আজ প্রতিনিয়ত গণতন্ত্র হত্যা করছে। পুলিশের বুটের নিচে আজ গণতন্ত্র পিষ্ট হয়ে মৃতপ্রায়।
ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়াশুনা করা নূর হোসেন বুকে লেখা বানানটি ভুল লিখতেই পারেন। কিন্তু লক্ষ্য তথা স্বৈরাচারের পতনের শপথে তার কোন ভুল ছিলনা। ভুল করেছেন তারা। যারা বানান শুদ্ধ লিখতে পারার দাবি করেন আর শর্টকাট রাজনৈতিক ক্ষমতায় যাওয়া-থাকার লোভে পতিত স্বৈরাচারকে টেনে নেন বুকে। নূর হোসেনের হত্যাকারী সেই স্বৈরাচারী এরশাদ এখন মহাজোটের নেতা! তাকে সঙ্গে রেখেই এবার দলের সকল ইউনিটকে নূর হোসেন দিবস পালনের আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম!
হায় নূর হোসেন!! হায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র। আবার তরা মানুষ হ!!
সুত্র- View this link
৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।
দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?
বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন
একটি ছবি হাজার কথা বলে
আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি
ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন