"ঈদুল আযহার অনাবিল আনন্দের মধ্যে চলছে একটি খাবার অনুষ্ঠান। কুরবানীর ঈদ। তাই কুরবানীর গোস্ত দিয়েই রান্না করা হয়েছে তেহারী। পল্টন এলাকার বিভিন্ন বয়সের লোকজনসহ স্টাফদের আত্মীয় স্বজনও এসেছেন। কেউ কেউ ছোট ছেলে মেয়েদেরকে সাথে আনতে ভুল করেননি। মেজবান পক্ষের লোকজন ঘুরে ঘুরে মেহমানদের খোঁজ খবর নিচ্ছে আর দেখছে তারা ঠিক মত সব কিছু পাচ্ছে কি না। ঈদের আনন্দে ভরে উঠেছে পুরো অনুষ্ঠান স্থল। সে আনন্দ যেন ভাগাভাগি করে নিচ্ছিল মেহমান আর মেজবানরা।
কিছু লোক খাবারের লোকমা হাতে নিয়েছে মুখে দেয়ার জন্য। কত জন খাবার শেষে হাত ধোয়ার জন্য প্লেট হাতে দাঁড়িয়েছে। আবার কিছু লোকের হাতে ছিল পানির গ্লাস। হঠাৎ করেই পুলিশের বাঁশির হুইসালের বিকট আওয়াজ। দাঙ্গা পুলিশ এসে ঘিরে ফেলেছে পুরো অনুষ্ঠানস্থল। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই শুরু হয় পুলিশের লাথি আর দাঙ্গা পুলিশের লাঠিচার্জ। শুরু হয় লোকজনের আর্তচিৎকার। বাঁচার জন্য লোকজন এদিক ওদিক ছুটা ছুটি করছে। ক্ষনিকের মধ্যেই আনন্দ বিষাদে রূপ নেয়। আতংক ছড়িয়ে পড়ে পুরো পল্টন এলাকায়। আর অনুষ্ঠান স্থলের চেয়ার, টেবিল, খাবারের প্লেট, জগ-গ্লাস ও হাঁড়ি পাতিলগুলো দেখে মনে হচ্ছে কিছুক্ষণ আগে এখানে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়ে গেছে।
এ দৃশ্যটি দেখা গেছে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর অফিস চত্বরে পবিত্র ঈদুল আযহার দিন দুপুরে। মহানগরী জামায়াত অফিসের কর্মরত স্টাফদের পক্ষ থেকে এ আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে মেহমান হিসাবে মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি হামিদুর রহমান আযাদ এমপিসহ মহানগরী কর্মপরিষেদর কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। পল্টন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন।"
গণতান্ত্রিক ভন্ডামী নিয়ে আমার দুটি কথাঃ
আজকে নাকি শহীদ নূর হোসেন দিবস, যে নূর হোসেন এই ক্ষমতাসীন দলের কর্মী ছিল, নিজেকে আত্নাহুতি দিয়েছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়। সেই নূর হোসেনর দলের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ আজ প্রতিনিয়ত গণতন্ত্র হত্যা করছে। পুলিশের বুটের নিচে আজ গণতন্ত্র পিষ্ট হয়ে মৃতপ্রায়।
ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়াশুনা করা নূর হোসেন বুকে লেখা বানানটি ভুল লিখতেই পারেন। কিন্তু লক্ষ্য তথা স্বৈরাচারের পতনের শপথে তার কোন ভুল ছিলনা। ভুল করেছেন তারা। যারা বানান শুদ্ধ লিখতে পারার দাবি করেন আর শর্টকাট রাজনৈতিক ক্ষমতায় যাওয়া-থাকার লোভে পতিত স্বৈরাচারকে টেনে নেন বুকে। নূর হোসেনের হত্যাকারী সেই স্বৈরাচারী এরশাদ এখন মহাজোটের নেতা! তাকে সঙ্গে রেখেই এবার দলের সকল ইউনিটকে নূর হোসেন দিবস পালনের আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম!
হায় নূর হোসেন!! হায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র। আবার তরা মানুষ হ!!
সুত্র- View this link