somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হঠাৎ স্বর্ণকেশী!-১২

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লতাকে দেখে হকচকিয়ে গেলাম। খুব শান্ত ভঙ্গিতে উঠে বসে লিয়নির সঙ্গে নিচু গলায় কথা বলছে। লিয়নি কী তাহলে বলেনি খবরটা? কী নিয়েই বা কথা হচ্ছে তাদের? নিঃশব্দে এসে তাদের কথার পাশে দাঁড়ালাম। লতা মুখ তুলে তাকাল। তার চোখে শুধুই অতল বিষাদ। বুকের ভেতরটা জমে বরফ হয়ে গেল। চোখ এমন বস্তু, যার ভাষা পড়তে কারও ভুল হয় না একটুও। তার মানে লতা জানে!

লিয়নিও ঘুরে তাকাল আমাকে দেখে। তার চাহনি বলছে, সে একটু আগেই লতাকে সব বলেছে। আমার অপেক্ষায় আর না থেকে। অপ্রস্তুত হয়ে চোখ নামিয়ে ফেললাম। দেরি করে ফেলেছি। বাজে এখন সাড়ে সাতটা। তবে, কাক ভেজা চেহারা দেখে মনে হলো লিয়নি দেরিটা মাফ করে দিয়েছে। বাইরে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। গাড়িঘোড়ার সময় ধরে আসা-যাওয়া আজকে গিট্টু লেগে গেছে। খানিক অপেক্ষা করে থেকে ঝড়-বাদল মাথায় নিয়ে প্রায় দৌড়ে চলে এসেছি।

নীল টি-শার্ট ভিজে কালো হয়ে গেছে। চুল চুঁইয়ে পানি পড়ছে ফোটায় ফোটায়। সে অবস্থাতেই লতার পাশে বসলাম। এ রকম পরিবেশে কী বলা উচিত, কী করা উচিত—কোনো কিছুই মাথায় আসছে না। কোনো সান্ত্বনা কী যথেষ্ট? আচ্ছা, লিয়নি কী কুকুরের অংশটা লতাকে বলেছে? আমরা বাঙালিরা যেমন দুঃসংবাদের পুরোটা একবারে না বলে আস্তে আস্তে ভেঙে ভেঙে বলি, জার্মানরা সেরকম না। তারা যেকোনো খারাপ খবর খুব ডিটেইলসহ একবারে জানিয়ে দেয়। এতে নাকি মানুষ সহজভাবে ব্যাপারটা মেনে নিতে পারে। অন্তত, লতাকে দেখে তাই মনে হচ্ছে। তার বিকারশূন্য চেহারায় বিষাদ ছাড়া আর কোনো অভিব্যক্তি নেই। থাকলেও সেটা বোঝা সাধ্যের বাইরে।

এই অদ্ভুত নিস্তব্ধতায় আড়ষ্ট বোধ করছি। লিয়নি উঠে চলে গেছে ক্লাউডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে। লতা চুপ। নীরবতা ভেঙে দিল ক্রিং ক্রিং। লতার ফোনটা পকেট থেকে বের করে তার হাতে দিলাম। লতার মা ফোন দিয়েছেন। উঠে তফাতে গিয়ে দাঁড়াব, লতা খুব শক্ত করে হাতটা ধরে ফেলে আবার বসিয়ে দিল। লতার হাতে আইভি দিয়ে সুচ ফোটানো। সেই হাতে এত জোর এল কোত্থেকে ভাবছি। নিচু স্বরে দু-এক কথা ফোনটা সেরে সে এবার তীব্র দৃষ্টিতে তাকাল। তারপর বলল, ‘অনীক, একটা কথা রাখবে? আমাকে নিয়ে যাবে আমাদের বাড়িতে? খুব যাওয়া দরকার।’

হ্যাঁ, এক শবার নিয়ে যাব।’ কথাটা আমি বলিনি। হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসা প্রায় বছর পঁচাত্তরের এক বিশাল বপু ভদ্রমহিলা কথাগুলো কোনোমতে এক নিশ্বাসে বলতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠে পুরোনো ডিজাইনের স্কার্টের পকেট থেকে ইনহেলার নিয়ে গাঁজার কলকেতে দম দেওয়ার ভঙ্গিতে কয়েকটা দ্রুতগতির টান মেরে ধপ করে সামনে রাখা চেয়ারটায় বসে পড়লেন।

লতা কিছুটা দ্বিধাভরে আমার হাত ছেড়ে দিয়ে মৃদু স্বরে জানাল, এই ভদ্রমহিলা হলেন ফ্রাউ কেলনার। লতা তাঁর বাসার এক রুম ভাড়া নিয়ে থাকে আজকে ছয় বছর হলো। লতার ওপর যে ফ্রাউ কেলনারের একটা আলাদা অধিকার আছে আর তাদের সম্পর্কটা যে বাড়িওয়ালা-ভাড়াটে, তার চেয়েও বেশি কিছু সেটা বুঝতে সময় লাগল না। হাতের ফুল আর লতার জন্য আনা ঘরে বানানো খাবারের বাক্সটা নামিয়ে রেখে তিনি লতার হাতটা পরম মমতায় নিজের হাতের ভেতর পুরে ফেললেন। কে বলে লতার বন্ধু নেই। লতার পঁচিশ আর ফ্রাউ কেলনারের পঁচাত্তরে কিছু আসে যায় না। মায়াটাই আসল।

লিয়নি আর ক্লাউডিয়া রুমে ঢুকলেন। ঢুকেই ঘোষণা দেওয়ার মতো করে বললেন, যে আজকে ট্রেন পাওয়া যাবে না। চালকদের ইউনিয়নের কী একটা ধর্মঘট চলছে। ডার্মষ্টাডের মতো জায়গায় প্লেনে গিয়ে লাভ নেই। নেমে সেই আবার গাড়িই নিতে হবে। যেহেতু একেবারে প্রত্যন্ত এলাকা। তার চেয়ে একবারে এখান থেকে গাড়ি নিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। পথ বেশি না, ঘণ্টা পাঁচ কী ছয়। কিন্তু মুশকিল হলো, তারা দুজনের কেউই যেতে পারবেন না। এত অল্প নোটিশে ছুটি মিলবে না। লতা, লিয়নি ও ক্লাইডিয়া একই বিভাগের ডাক্তার। হাসপাতাল হাপিশ করে এতগুলো ডাক্তার এক সময়ে ছুটি নিলে সমস্যা হয়ে যাবে। তবে লতাকে খুব সাবধানে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নিলে তারা আজকেই ছাড়পত্রের ব্যবস্থা করে দেবেন। সেটা কোনো সমস্যাই না। একটা ফোল্ডিং হুইল চেয়ারও জোগাড় করে দেওয়া যাবে। বলেই তারা দুজন একসঙ্গে আমার দিকে তাকালেন কোনো একটা হ্যাঁ সূচক উত্তর শোনার আশায়। উত্তরে আমি একটা ঢোঁক গিললাম। সঙ্গে অনুরোধের ঢেঁকিটাও গিলব কিনা ভাবছি।

এদিকে লতা কিন্তু একদৃষ্টিতে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। তার চোখে চিকচিকে অনুনয় ঝরে পড়ছে। কিন্তু এই পা ভাঙা, মাথায় দশ সেলাইয়ের ব্যান্ডেজসহ লতাকে আমি নিয়ে যাব কী করে? আর শুনে তো মনে হচ্ছে লতার বাড়ি ডার্মষ্টডের কোনো গহিন গ্রামে। আবার, না-ই বা বলি কীভাবে। ধুর, অনীক মিয়া, এত কিছু ভেবে কী লাভ। আমি মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলে দিলাম। লতার চোখে বিষণ্ন কিন্তু আশ্বস্ত একটা হাসি খেলে গেল। অবাক হয়ে ভাবলাম, মাঝে মাঝে চোখের ভাষার কাছে মুখের ভাষা যে কত তুচ্ছ আর অপ্রতুল!

লিয়নি, ক্লাউডিয়া অনেক অনেক ধন্যবাদ দিয়ে বেরিয়ে গেলেন। ফ্রাউ কেলনারও দেখলাম লতার আঘাতের ব্যাপারে কী জানতে তাদের পিছু পিছু বেরিয়ে গেলেন। শুধু আমি বোকা হয়ে লতার পাশে বসে থাকলাম। উসখুস করছি। কী ভেবে জানি না, লতার হাতটা ফ্রাউ কেলনারের মতো করে নিজের হাতের মুঠোয় নিলাম। যে হাতে সুচ ফোটানো নেই। তারপর আমাকে আরও বোকা করে দিয়ে লতা একেবারে বুকের ভেতর মুখ গুঁজে নিশ্চুপ হয়ে থাকল। যেন ঝড়ের আগের গুমোট মেঘ। কী বলব ভেবে না পেয়ে লতার মাথায় আস্তে আস্তে সাবধানী হাত বুলিয়ে দিতে থাকলাম। এর বেশি আর কী-ই বা সান্ত্বনা দিতে পারি? লতার চুলে ব্যান্ডেজ ব্যান্ডেজ ঘ্রাণ। কালকে লতার চুল দেখে যেমন ভেবে ছিলাম, এখন দেখছি সামান্যই চুল কাটা হয়েছে। বাম পাশে সিঁথি করে ডানে চুল ফেলে রাখলে বোঝাই যাবে না। আশ্চর্য! কী সময়ে কী ভাবছি। খুব লজ্জা লাগল নিজের কাছেই। নিজের ক্ষুদ্রতা ঢাকার জন্যই কী না বলতে পারব না, লতার শুকনো চোখ যেন মিছেমিছিই মুছে দিলাম আলতো আঙুলের ছোঁয়ায়।

জানালার বাইরে তাকালাম চোখ যত দূর যায়। বৃষ্টি থামার কোনো নিশানা নেই। আরে, মনে হলো যেন একটা কুকুরকে ভিজতে দেখলাম। ঠায় তাকিয়ে আছে। যেন এদিকেই। পলক ফেলেই আবার দেখি, কই কুকুর? যাহ্, খালি উল্টাপাল্টা কী সব ভাবছি। তবুও কী এক আশঙ্কায় লতাকে বুকের ভেতর আরও শক্ত করে ধরলাম। লতা নামের এই মানবীর সঙ্গে আমার পরিচয় একদিনের। তাতে কী, সময় তো শুধুই একটা মাত্রা মাত্র। কিন্তু আজকের এই বিচিত্র মুহূর্তে এই নীরব ঘরে নাম না জানা একটা বোধ কোথা থেকে বেপরোয়া উড়ে এসে সময় নামের এই মাত্রাটা হারিয়ে দিয়ে গেল। লতা কাঁদছে। অবশেষে। সমুদ্রে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের মতন। বাঁধনহারা। আর ভীষণ এক অমোঘ মায়ায় আমি ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যেতে থাকলাম।

লতাকে ছাড়তে ছাড়তে বিকেল গড়িয়ে পাঁচটা বেজে গেল। গ্রীষ্মকাল বলে রক্ষা, নইলে শীতের বিকেল পাঁচটা মানে ঘোর অমাবস্যা। গাড়ি জোগাড় হয়েছে খুব সহজেই। ফ্রাউ কেলনারের ছোট্ট ফক্সওয়াগান গলফ গাড়িটা নেওয়া হয়েছে। তবে গাড়ির সঙ্গে গাড়ির মালিকও যাচ্ছেন। তার যুক্তি হচ্ছে, এত বড় পথ, তিনি সঙ্গে গেলে ভাগ করে গাড়ি চালালে কারও গায়ে লাগবে না। আসলে বুড়ি লতাকে মেয়ের মতো ভালোবাসেন নাকি আমার সঙ্গে একলা লতাকে ছাড়তে চাচ্ছেন না, ঠিক বুঝলাম না। সত্যি কথা বলতে কী, তিনি সঙ্গে যেতে চান শুনে আমি ভরসাই পেলাম। আমি থাকতে গাড়ি তাকে চালাতে হবে না। কিন্তু মাঝ রাস্তায় আবার বিষম হাঁপানিতে অক্কা না পেলে হয়। তখন আমি ব্যান্ডেজে মোড়ানো লতা আর আর তার সদ্য পটল তোলা বাড়িওয়ালিকে নিয়ে কই যাব?

ভাবতে গিয়ে স্টিয়ারিংয়ে রাখা হাত ঘেমে উঠল। তুমুল বৃষ্টির কোনো কমতি নেই আজকে। তার ওপর জার্মান অটোবান বলে কথা। এই অটোবান বা হাইওয়ে গতিসীমা বলে কিছু নেই। তিন শতেও চালায় লোকে হরদম। এর মাঝে ঘেমো হাতে স্টিয়ারিং ছুটে গেলে আর রক্ষা নেই। ধুর! কপালের নাম গোপাল!

ঘণ্টাখানেক তাও ভালোই চালিয়েছি বলতে হবে। এর ভেতর লতা মুখ হা করে ঘুমিয়ে গেছে। বেচারা! ভিউ মিরর দিয়ে এই বিদেশিনীকেই দেখছি মাঝে সাঝে। সেটা ফ্রাউ কেলনারের চোখ এড়াল না। ভালো যন্ত্রণায় পড়া গেল তো! তার ওপর সে আবার গাড়ির রেডিওর বোতাম চেপে চেপে এমন এক চ্যানেলে নিয়ে গেছে আরে সেখানে এমন আধ ভৌতিক সুরে অপেরা সংগীত বাজছে যে, আমার রীতিমতো ঘুম পেয়ে যাচ্ছে। আরে না পেরে সশব্দে কুমিরের মতো বিশাল একটা হাই তুলে ফেললাম। সামনে পেট্রল স্টেশন দেখলে থামতে হবে কফির জন্য। নইলে ফ্রাউ কেলনারের অপেরা আমাকে কবজা করে ফেলবে। অটোবান ছেড়ে লান্ডষ্ট্রাসেতে উঠেছি। লান্ডষ্ট্রাসেও হাইওয়ে, কিন্তু শহরের বাইরে দিয়ে যাওয়া রাস্তা। এই লান্ডষ্ট্রাসে একটা বনের মতো জায়গার ভেতর দিয়ে গেছে। মেঘলা বলে হঠাৎ সন্ধ্যা নেমে এসেছে। নইলে আগস্টে রাত দশটার আগে সূর্য ডোবে না। হেডলাইট ফুল অন করে দিলাম। সামনে হরিণের ছবির সাইন। বন থেকে বেরিয়ে হরিণ বা অন্য প্রাণী মাঝে মধ্যে রাস্তার উঠে গাড়ির সামনে পড়ে যায়, তাই এই সতর্কতা। সাবধান হয়ে গেলাম। কিন্তু যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যা হয়। আরে, ওটা কী? হেডলাইটে তীব্র আলোর সামনে আচমকাই বিশালাকার কিছু একটা দেখতে পেলাম। সেকেন্ডের ভগ্নাংশের ভেতর ব্রেক চেপে দিয়েছি। কিন্তু লাভ হলো না। বৃষ্টিভেজা পথে ফ্রাউ কেলনারের ফক্সওয়াগান প্রাণীটিকে চাপা দিয়ে কিছু দূর ছেঁচড়ে গিয়ে থামল। কোনোমতে রাস্তা থেকে গাড়ি সরিয়ে ঘাসের ওপর থেমে ইমারজেন্সি লাইট জ্বেলে দিলাম। নইলে পেছনে থেকে অন্য গাড়ি আসলে বিপদের ওপর বিপদ।

ব্রেকের ঝাঁকুনিতে লতা ঘুম ভেঙে গেছে। ‘কী হয়েছে, কী হলো? অ্যাক্সিডেন্ট?’ আর ফ্রাউ কেলনারকে দেখে মনে হচ্ছে তিনি হার্ট অ্যাটাক করে মরে শক্ত হয়ে আছেন। আর আমার ধুকপুকানি বোধ হয় চার হাত দূর থেকেও শোনা যাবে। ফ্রাউ কেলনারকে খোঁচা মেরে দেখব যে জ্যান্ত আছে কিনা নাকি নেমে গিয়ে কুকুর না শেয়াল প্রাণীটিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেব ভাবছি। হঠাৎ ভদ্রমহিলার তব্দা কেটে গেল। তিনিও লতার মতো ‘কী হলো? কী হলো?’ করা শুরু করলেন। এখন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম। এখন এরা দুজন অনর্থক চেঁচামেচি করে একজন আরেকজনের আতঙ্ককে সমানুপাতিক হারে বাড়িয়ে দেবে। এই কাজে মেয়েরা ওস্তাদ। হোক বাঙালি কী জার্মান। দুই নারীকে আতঙ্কের ভেতর রেখে গাড়ি থেকে নামলাম।

কৌতূহলী হয়ে এক–দুই পা এগিয়ে গেলাম। ব্যাপারটা দেখা দরকার। কিন্তু যা দেখলাম, তাতে রক্ত হিম হয়ে গেল। প্রাণীটা কুকুর বা শেয়াল কোনোটাই না। কিংবা দুটোই। ধারালো নখ, দাঁত আর লোমশ শরীর মিলে মনে হলো স্টিফেন কিংয়ের বই থেকে উঠে আসা ওয়্যারউলফ গোছের কিছু। বাস্তবে এই অসময়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসা ঘুটঘুটে অন্ধকার বুনো পথের ধারে যে এমন কিছুর যে দেখা মিলতে পারে সেটা কল্পনারও বাইরে। রাস্তা থেকে সরাব কেমন করে ভাবছি। খালি হাতে ধরব না কী...ভাবার সময় পেলাম না। প্রাণীটা জান্তব একটা চিৎকার দিয়ে এক ঝটকায় চার পায়ে উঠে দাঁড়াল। ভয়ে ছিটকে পিছিয়ে গেলাম। গাড়ি গায়ের ওপর দিয়ে উঠে যাওয়ার পরও বেঁচে থাকা কীভাবে সম্ভব? কী করি এখন? কিছু করার নেই। কারণ, আতঙ্কে আমি জমে গিয়েছি। প্রাণীটা লাফ দিল। আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম। তারপর, বাতাস ফুঁড়ে কানে এল গুলির শব্দ। পরপর তিনটা। কী ঘটছে কিছু বুঝতে পারছি না। ঘুরে তাকিয়ে দেখি ফ্রাউ কেলনারের তাক করা পিস্তল থেকে ধোঁয়া উড়ছে। আর অদ্ভুত প্রাণীটা মাটিতে লুটিয়ে। ঠিক আমার পায়ের কাছে। (চলবে)

আগের পর্ব এখানে

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১৫
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ডায়েরী- ১৪৩

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:২৭

ছবিঃ আমার তোলা।

আজ সকালের কথা বলি।
ভোর সাড়ে ছয়টায় ঘুম থেকে উঠেছি। আসলে আমি উঠি নাই, সুরভি আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেছে। বিছানা থেকে নামার আগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেগম জিয়া ফিরুক!!

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:১০




বেগম জিয়া গুলশান ছেড়ে লন্ডনে চলে গেছেন; ব্লগে বিভিন্ন আলোচনা লেখা-লেখি চলছে,আপোষহীনতার অভাব কখনোই ছিলো না নাকি ;দেখতে শুনতে ভালো,বিদ্যায় টাইটানিক বহন করা মস্তিষ্ক। যাইহোক, বাঙালীদের জন্য এমন রাজনীতিবিদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ মূল্যবোধ.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:২৬

গল্পঃ মূল্যবোধ.....

নিগারের স্বামী মুকিতকে আমি চিনি। তবে তেমন ঘনিষ্ঠতা না থাকলেও মাঝেমধ্যে কথাবার্তা হয়। নিগার আমাদের দীর্ঘদিনের প্রতিবেশী কালাম ভাইর একমাত্র মেয়ে নিগার। কালাম ভাই আমার বয়োজেষ্ঠ। ছেলেবেলা থেকেই আমরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা কি ইডিয়টের লেভেলে?

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০



আপনি বাংলাদেশে বাস করে, দেশের চলমান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহকে কি সঠিকভাবে বুঝতেছেন, কিভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো, কাহারা দেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন, কাহারা কি কারণে ইহার বিরোধীতা করেছিলো, ইহা ঠিক মতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার হাসান মাহবুবের কাছে প্রশ্ন, "আমার 'পরিশুদ্ধ' হওয়ার কি দরকার আছে?"

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০২



**** আমি চাঁদগাজী নিকে ব্লগিং করার সময়, ব্লগার হাসান মাহবুব আমাকে ১টা গালি দিয়েছিলেন; তিনি আমার ১ পোষ্টে মন্তব্য করেছিলেন; মন্তব্যটা ছিলো, "তুমি একটা মাদারচোদ"। আমি বিনিময়ে কিছু বলিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×