উত্তর কর্ণাটকের গুলবার্গ শহরে রাজ্য মন্ত্রিসভার এক বৈঠক অনুষ্ঠানে সবকিছু মিলিয়ে খরচ করা হয়েছে প্রায় এক কোটি রুপি। গত সেপ্টেম্বরের ২৬ তারিখে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে এ ধরনের খরচের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে ভারতের তথ্য অধিকার আইনের (আরটিআই) অধীনে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক অনুসন্ধানে। এ ব্যয়ের বড় অংশ গেছে ফুলের পেছনে এবং মন্ত্রীদের স্বাগত জানাতে বড় বড় তোরণ বানাতে গিয়ে। দুই ঘণ্টার একটি বৈঠকে কেবল সাজসজ্জার পেছনেই খরচ করা হয়েছে প্রায় ২৮ লাখ রুপি।
উত্তর কর্ণাটকের পিছিয়ে পড়া মানুষের কল্যাণে মন্ত্রিসভার ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বেঙ্গালুরু থেকে ৬২৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গুলবার্গ শহরে মন্ত্রিসভার বৈঠক করতে গিয়ে কর্ণাটক রাজ্যের মন্ত্রীরা তাঁদের স্বাগত জানাতে তৈরি করা শত শত তোরণ দেখে হয়তো খুশি হতে পারেন, কিন্তু মন্ত্রিসভার এ খরচান্ত বৈঠক বিলাসিতা আর অর্থ অপচয়ের ন্যূনতম মাত্রা অতিক্রম করেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
১৯৯৭ সালে বেঙ্গালুরুর বাইরে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় কর্ণাটকের হুবলিতে জে এইচ পাতিলের আমলে। ওই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল কর্ণাটকের বিভিন্ন অংশের উন্নয়নে ভারসাম্য রক্ষা করা এবং প্রদেশের পিছিয়ে পড়া অংশে জনসাধারণের জীবনমানের উন্নয়ন সাধন। কিন্তু ওই বৈঠকের এক যুগ পরও কর্ণাটক রাজ্য সরকার রাজধানী বেঙ্গালুরুর বাইরে এ রকম খরচবহুল কয়েকটি বৈঠক ছাড়া কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি।
রাজ্যের বিভিন্ন অংশের উন্নয়নে ভারসাম্য আনার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে রাজ্যসভার একটি অধিবেশনও কর্ণাটকের বেলগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল বেলগাঁওকে কর্ণাটকের দ্বিতীয় রাজধানী বানানো। এদিকে এ বছরের ডিসেম্বরে বেলগাঁওয়ে বিশ্ব কানাড়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে আরও একটি মন্ত্রিসভার বৈঠক সেখানে হবে বলে জানা গেছে। তবে গুলবার্গের বৈঠকের বিপুল খরচের বিল এখনো বিভিন্ন ঠিকাদারের হাতে পাওয়া বাকি। অতএব আগামী বৈঠকে রাজ্য সরকার কেমন খরচ করবে তা এখনো চূড়ান্ত করে বলা যাচ্ছে না।