সংক্রমণ ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ছাড়া সাধারণত ময়লা, ধূলাবালি দ্বারা অথবা কোনো কেমিক্যালস্ যেমন মেডিসিন, কিংবা সাজসজ্জার সময় প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণ ভাবে ভাইরাসের কারণেই চোখ ওঠার মতো রোগ দেখা দেয় । ব্যাপক হারে বা মহামারী আকারে যে চোখ ওঠা দেখা দেয় তা এডিনো নামের এক জাতের ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। ভাইরাসের কারণে যে চোখ ওঠা দেখা দেয় তা প্রচন্ড ভাবে সংক্রামক হয়ে থাকে । স্কুল কলেজ থেকে এই রোগ ছড়াতে পারে ।ঘনবসতি পূর্ণ এলাকায় কারো যদি ভাইরাসঘটিত চোখ ওঠা দেখা দেয় তা হলে সেখানে এই রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করতে থাকে । এ ছাড়া রোগীর ব্যবহৃত গামছা, তোয়ালে যদি সুস্থ কেউ ব্যবহার করেন তবে তারও এই রোগ হতে পারে । রোগীর সাথে একত্রে থাকার কারণে চোখ ওঠা হতে পারে। বাতাসের মাধ্যমে এই রোগের বিস্তার ঘটে। তবে সব চোখ ওঠাই কিন্তু ভাইরাসের কারণে হয় না। কোনো কোনো চোখ ওঠা ব্যাকটেরিয়ার কারণেও হয়। চোখ উঠলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে এবং চোখের পাতাগুলো খোলা রাখতে হবে।বড় বাচ্চারা চোখে কালো চশমা পরতে পারে।শিশুকে জোর করে চোখ খুলতে বলা যাবে না।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন
• যখন চোখ থেকে ঘন হলুদ কিংবা সবুজাভ হলুদ রঙের তরল পদার্থ বের হয়।
• চোখ ব্যথা করলে ।
• প্রচন্ড সূর্যালোকেও চোখ ব্যথা করলে।
• যখন চোখে একদমই কিছু দেখতে পারে না অথবা পারলেও দেখতে সমস্যা হয়।
• যখন পরিবেশগত বিষয়ে কিংবা কোনো এলার্জিক বস্তুর জন্য চোখে অসুবিধা অনুভব হয়।
• এ ছাড়াও কোন শিশুর বয়স যদি ২ মাসের কম হয়।
• চোখের পাতা যদি ফুলে উঠে কিংবা লাল হয়ে যায়।
চোখ ওঠা একটি স্পর্শকাতর রোগ। কর্নিয়ায় প্রদাহ হলে সময়মতো চিকিৎসাসেবা না নিলে স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে; এমনকি কর্নিয়া সংযোজনের মতো অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। তাই জরুরিভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৭