আজকাল ভুলে যাই
প্রায়- প্রায়ই, যে
তুমিও কিশোরী ছিলে ।
লং-স্কার্ট এর খয়েরি ছোপে
এখন কেমন তমি, কোন পথে হাটো ?
কতগুলো গাড়ীর শব্দ,
রিকসার সাইরেন হয়ে বাজে তোমার
বেড়ে উঠা কানে, মননের গানে ?
চুপি চুপি রবি বাবুর কোন সুরটা বাজে
তোমার সুললিত বিতৃষ্ণ মাধূর্য্যে !
সেজুতি, তুমি কি জানো,
বেড়ে উঠা কাঠ গাছের ঠিক
কতটুকু আকাঙ্খা থাকে উপরে উঠার ?
সেদিন পার্কে বাদাম চিবুতে চিবুতে
উপরে তাকিয়েই বুঝলাম,
একমাত্র ঐ আকাশটাই তুমি দেখো,
বুকটা ভয়ে হিম হয়ে আসে
ঠান্ডা বাতাসেও আমি ঘামতে থাকি
কি জানি মনে করার চেষ্টায়
কয়েক কদম হাঁটি...
আবার বসি : বসেই থাকি ।
সেজুতি !
ঐ আকাশ কি তোমায় ভালো থাকার
মন্ত্র শিখিয়েছে ?
আমারও আজ সেই মন্ত্রটা শিখতে হবে,
আকাশকে বলো না,
তোমার প্রিয় সঙ্গীটিকে বলো ;
আমাকে একবার বলুক মহেন্দ্র
সময়ের কথা ;
সেজুতি_ ভালো আছো তো ?
কি ভাবে ভালো থাক তা বুঝলাম ।
কিন্তু বিশ্বাস কর,
আমি ভালো নেই,
একদম ভালো নেই ।
লিখন
সেপ্টেম্বর-২৮.২০০৯