মানুষে মানুষে হানাহানি মারামারি দেখলে আমরা মজা পাই। রাস্থায় মারামারি বাধলে দেখে নিজের ভিতর আলাদা পুলক অনুভব করি। কারও উন্নতি দেখলে নিজের ভিতরের অাদিম হিংসাটাকে পরম মমতাময় লালন করি। এগুলো আমাদের কাছে অশ্লীল মনে হয়না।
বাংলাদেশের ৯০% মানুষ নাকি ভ্যালেন্টিন ডে কে সমর্থন করেনা, এটা অশ্লীল ইউরোপীয় সংস্কৃতি। তাহলে কি তারা হিংসা বিদ্বেষকে সমর্থ করেন?! মানব সভ্যতার শুরুর দিকে কিন্তু শ্লীলতা অশ্লীলতার সংগা এমনটি ছিলনা। আমার সত্তিই মাথা আসেনা একজন একজনকে ভাল বাসছে সেটা কিভাবে অশ্লীল হয় আর একজন একজনকে খুন করছে সেটা কিভাবে অশ্লীল হয়না!
পাল্টা যুক্তি অাছে, এভাবে ভালবাসার ছড়াছড়ি হলেতো সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। একটু খেয়াল করলে দেখা যায়, বিশৃঙ্খলা কিন্তু তৈরি করছে বিরোধিরাই। একজোড়া প্রেমিক প্রেমিকা রাস্থায় বের হয়ে কখনও দাঙ্গা লাগাবেনা। গাঙ্গা লাগাবে তারাই যাদের সেটা দেখে সহ্য হচ্ছেনা। তারাতো অাপনার পাকা ধানে মই দিচ্ছেনা। একজন অার একজনের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে টানা হ্যাচড়া না করলে সমাজে বিশৃঙ্খলা হয়না, এগুলো ছাড়াও দুনিয়ায় অারও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ অাছে।
আরও একটা প্রশ্ন করে ভ্যালেন্টাইন ডের সমর্থকদের থমকে দেয়া হয়, আপনার ছোট বোনটি এভাবে রাস্থায় নামলে কি অাপনি সমর্থন করবেন? দাঁত ভাঙ্গা প্রশ্ন বটে। তবে একদিন ঠিকই তাকে তার মত করে সংসার করার ভালবাসবার অধিকার কিন্তু অামরা দিচ্ছি এবং তার সুখি মুখটা দেখে স্বস্তি পাচ্ছি। ভালবাসা অতি পবিত্র জিনিস, এটা না থাকলে মানব তথা জীব জগৎ টিকত না, এখানে শঠতার কোনো স্থান নেই। ঢালাও ভাবে এটাকে বিরোধিতা করার অর্থই হচ্ছে নিজের সাথে প্রতারণা করা।
তাই কামনা করি ভালবাসা ছড়িয়ে পড়ুক মা-বাবা, ভাই-বোন, অাত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, প্রেমিক-প্রেমিকা সর্বপরি সারাবিশ্বের সকল জীবের মাঝে।