এলোমেলো চিন্তারা এলোচুলের মত। বাতাস আসলে চোখে-মুখে ঝাপটা দিতে থাকে। ত্বকে কেমন জানি পরম আবদারে লেপ্টে থাকে। তবে চিন্তারা মোটেও এত সুবোধ নয়। তারা খালি মাথার মধ্যে এক চিনচিনে ব্যাথার জন্ম দেয়। সারাক্ষণ শুধু শোঁ শোঁ করে। সে এক অস্বস্তিকর অনুভূতি। তার উপর বন্ধুবর রাফিউলের সাথে আজকের সাম্প্রদায়িকতা বিষয়ক আলাপ। রাফিউলের কথা এ ফাঁকে বলে রাখা ভালো। তিনি একজন উচ্চমানসম্পন্ন শিক্ষার্থী এবং একজন বিতার্কিক! লেখাপড়া নিয়ে তার সিরিয়াসনেসের কোন সীমা-পরিসীমা নেই। তিনি বলতে ভালোবাসেন আর আমি শুনতে ভালোবাসি। তাতেই চমৎকার এক রসায়ন! (যদিও তার বেশিরভাগ আলোচনা ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি আর বায়োলজির কচকচানিতে সীমাবদ্ধ!!)
সে যাই হোক, সাম্প্রদায়িকতা বিষয়টাও মাথার মধ্যে ঢুকে থাকা এলোমেলো চিন্তাদের একজন। তবে বাতাস হয়ে ঝাপটাটা দিচ্ছিলো আসলে প্রথম-আলো! তাতে ছাপা হওয়া বিজেপি কিংবা সমমনা মানুষদের বক্তৃতা-বিবৃতি পড়ে আমি রীতিমত ত্যক্ত-বিরক্ত; মাথায় রক্ত চড়ে যাওয়ার মত বক্তব্য। দাঁতে কিড়মিড় করা ছাড়া আর কি-ই বা করার আছে। আমার সাধ্য এটুকুই। সন্ধ্যাপ্রদীপ যেমন তার সামান্য আলোকে সম্বল করেই কাজ চালায় তেমন আমিও লেখাকে সম্বল করলাম।
উপমহাদেশ বিশেষ করে ভারত এবং বাংলাদেশ অনেকটা অভিন্ন সংস্কৃতির উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে। সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ তার একটি। এ ভূখণ্ডে রাম আর রহিমের সহাবস্থান তার ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অন্তত বৃটিশ শাসনের আগ পর্যন্ত এটিই ছিল সত্য। তার উদাহরণ ভূরি ভূরি। সেদিকে আর না-ই বা গেলাম।
অতঃপর বারুদে আগুনের রসদ দিলো যা
সম্প্রতি ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির একজন নেতা বাংলাদেশ সফরে এসে যে মন্তব্য করেছেন তা যে কোনো অসাম্প্রদায়িক মানুষকে তার চেতনা মূল্যায়ণ করতে দু’বার ভাবাবে। আমিও ভেবেছি। কিন্তু মিলিওন ডলারের প্রশ্ন, সামান্য এক সাম্প্রদায়িক নেতার বক্তব্যে অসাম্প্রদায়িক মানুষের চেতনা কিভাবে বিঘ্নিত হবে! আসি সে কথায়।
তিনি এদেশের সমস্ত হিন্দুদের তাদের সর্বশক্তি দিয়ে আওয়ামী লীগকে সহায়তা করার আহবান জানিয়েছেন!
MUCH WOW!! এদেশের প্রত্যেকটা মানুষই স্বতন্ত্র ঠিক যেমন তাদের চিন্তাভাবনা। তারা দেশের নেতা কিংবা তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবেন দেশের মঙ্গল বিবেচনা করে। সেখানে কিনা এক বিদেশী নেতা বিশেষ জনগোষ্ঠীকে আহবান জানাচ্ছেন এক বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করার শুধুমাত্র ধর্মের জন্য!! এ কোন শিষ্টাচার? হ্যাঁ, আমরা সবাই জানি বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের “ভোটব্যাংক” হিসেবে কাজ করে। অবশ্য সেটা মন্দের ভালো হিসেবে কারণ লুটপাটের রাজনীতিতে জামায়াত যে কথা আওয়ামী লীগও একই কথা। খুব সম্প্রতি সাঁথিয়ায় সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা কিংবা রামুর ঘটনায় প্রতীয়মান হয় তৃণমূল আওয়ামী লীগাররা কিন্তু ভাগ-বাটোয়ারার সমান অংশীদার। আর তার চেয়ে বড় কথা কোন ঘটনা বা স্টেটমেন্টে আনুষ্ঠানিকতা বলে একটি কথা রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে বলা কোন কথা নিঃসন্দেহে একটি দালিলিক প্রামাণ্য উপাদান হিসেবে কাজ করে যা কিনা পরবর্তী যেকোন দাঙ্গায় ব্যবহৃত হওয়া অসম্ভব কিছু না।
এখন প্রশ্নটি হল এধরণের কথা বলার মত পরিস্থিতি কিংবা এধরণের কথা বলার পিছনে আমাদের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা কতটুকু।
রোগের সিনড্রোম
আমাদের সমাজে হিন্দু জনগোষ্ঠী নিয়ে একটা মতবাদ প্রচলিত যে সময়মত টাকা-পয়সা উপার্জন করে তারা ভারতে পাড়ি জমান অর্থাৎ বাংলাদেশকে তারা নিজের দেশ বলে মনে করেন না কিংবা তাদের আলটিমেট ডেসটিনেশান হচ্ছে ভারত। (ব্যতিক্রমের কথায় আসছি না)। আর অন্যদিকে তাদের এ ভারতমুখী প্রবণতার খাতিরে ভারতের ক্ষমতাসীন দল তাদের জন্য ভারত গমন উন্মুক্ত করে দিচ্ছে অর্থাৎ তাদের ক্ষেত্রে ভারত গমন বাধা নয়। উদাহরণস্বরূপ- পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন যেসব মুসলমান অবৈধ অনুপ্রবেশ করেছে তাদের বাংলাদেশে ফেরত যেতে হবে কিন্তু এ নিয়ম আবার হিন্দুদের ক্ষেত্রে শিথিলীকৃত! কি অদ্ভুত ধর্মীয় অসুস্থতা!
তবে ডুয়ালিজম ধারণার এ পৃথিবীতে একরোখাভাবে হিন্দুদের দোষারোপ করে যাবো কিন্তু কেন তারা দেশ ছাড়ছে তার ব্যাখ্যা দিবো না; তা হলে অন্যায়ই হবে। আসলেই প্রজাতন্ত্র তার এ নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তাদের সম্পত্তির কোন নিশ্চয়তা নেই, মালাউনের সম্পত্তি বলে সমাজের মোড়লরা লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সেসবের দিকে। প্রতিমুহূর্তে তাদের আক্রান্ত হওয়ার ভয়। হয়তোবা এইমাত্র কেউ একজন পাড়ায় দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়ে গেল সাথে সাথে তাদের জানমালের উপর হামলা। তাদের জীবনের পর্যন্ত নিশ্চয়তা নেই! এমনকি তাদের উপাস্যেরও রক্ষা নেই এ সমাজের নোংরা মানুষদের কাছে। ক্রমাগত মালাউন থেকে শুরু করে কত অজস্রভাবে তাদের গালি দেয়া হয়, তাদের উপাস্য নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা হয়। ছি!
ছেলের সামনে একজন অসহায় বাবা, মায়ের ভয়ার্ত চোখ-কিভাবে এ দৃশ্য একটি স্বাধীন দেশে চিন্তা করা যায় যেখানে সে দেশের সংবিধান তার ক্ষমতাবলে সকল নাগরিককে সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দিচ্ছে! একজন অসহায় মানুষ হিসেবে তারা সমাজে বেড়ে ওঠে। নির্বাচনের পর ক্ষমতার পালাবদলে শুরু হয় খুন-হত্যা এমনকি ধর্ষণের মত পাশবিক নৃশংসতা। এ কেমন উন্মত্ততা! শিশু পূর্ণিমার কথা আমি লিখতে পারি না। লজ্জায়-অক্ষম ক্রোধে। একজন বাবার সামনে তার মেয়েকে অত্যাচার করা! এ কেমন ধর্মীয় চেতনা? এ কেমন রাজনীতি? এ কেমন আমাদের বোধ-বিবেচনা? অথচ রাষ্ট্রের মানবাধিকারের সংজ্ঞা কি আমাদের তাই বলে? কাজেই যেখানে তাদের নিরাপত্তা নেই; না সম্পত্তির না জীবনের সেখানে আসলে তারা ভালোবাসার বিনিময়ে এদেশের কাছ থাকে নিগ্রহ ছাড়া আর কিছুই পাবেন না। কাজেই তারা চোখের পানি নিয়ে আর স্মৃতিকে সম্বল করে চলে যান ওপারে। যাওয়াটাই স্বাভাবিক।
তবে... যেকোন কিছুরই প্রতিক্রিয়া থাকে। প্রতিক্রিয়া হিসেবে যখন তারা কিছু করতে পারেন না তখন সংখ্যাগুরুদের প্রতি ঘৃণা নিয়ে তারা আমাদের মাঝে টিকে থাকেন, আর যে ধর্মের বিভাজনে তাদের অত্যাচার করা হল তার প্রেক্ষিতে তারাও হয়ে উঠেন ধর্মান্ধ। সে ধর্মান্ধতার স্বরূপ হয়তো আমরা দেখতে পাই না কারণ সে ধর্মান্ধতা তাদের মানসিক। খুব ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই- আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। ছোটবেলা থেকেই বাসায় পত্রিকা রাখে আর আমি সে পত্রিকা পড়ে নানা ধরণের পাকামি করি। কাজেই সীমান্তে যখন বিএসএফ ক্রমাগত আক্রমণ করছে আমি ক্লাসের টিফিন ছুটিতে তা বললাম আর দেখলাম আমার হিন্দু ক্লাসমেটরা সেটাকে বৈধতা দিচ্ছে এই বলে যে হামলা করাটা তো স্বাভাবিক কারণ ভিকটিমরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অন্যায় করছেন! আমি ধাক্কার মত খেলাম। বুঝতে কারোরই অসুবিধা হওয়ার কথা না যে ভারতের কোন কার্যক্রমকেই তারা অন্যায় বলে আখ্যা দিতে নারাজ। কারণ ভারত তাদের কাছে তাদের “ধর্মীয় আবাসভূমি”। আরেকটি উদাহরণ: ভারত-বাংলাদেশের খেলা। বিশ্বকাপে মুখোমুখি দুই দল। আমার দেখা দুই হিন্দু বড়ভাই দেখলাম ভারতের সাপোর্টার?!?! খেলা চলাকালীন সময় দিব্যি ভারতের পক্ষে গলা ফাটাচ্ছেন!! পাকিস্তান সাপোর্ট করার কারণে আমরা যাদেরকে জারজ বলে গালি দি ধর্মের কারণে ইন্ডিয়া সাপোর্ট করা মানুষগুলো তাহলে কি? পয়েন্ট সেটা না; পয়েন্ট হল- ধর্মের কারণে কিংবা অন্যভাবে বললে প্রতিক্রিয়া হিসেবে মানুষ কতই না নিচে নেমে যায়। আরেকটি উদাহরণ নিই- বেশিরভাগ হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ভারতীয় সংস্কৃতি কিংবা ইন্ডিয়ান স্যাটেলাইটে আসক্তি চরমমাত্রায় লক্ষণীয়। অনেকে বলতে পারেন ইন্ডিয়ান টিভি চ্যানেলে অথবা তাদের সাংস্কৃতিক দাপটে শুধু ধর্মীয়ভাবে নয় সবাই-ই আসক্ত। তবে মাঠপর্যায়ে একটু ঘেঁটে দেখুন। তাদের মাত্রাতিরিক্ত আগ্রহ ঠিকই বুঝতে পারবেন।অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে এধরণের আচরণ লুকোনো সত্যেরই অপলাপ হবে।
পর্দার অন্তরালে
উপমহাদেশ এখনো অন্ধকারাচ্ছন্ন। শিক্ষার ছোঁয়া এখানে সর্বত্র লাগে নি। মূলত এখানকার উদ্দেশ্য যতটা না শিক্ষিত করে গড়ে তোলা তার চেয়ে বেশি সাক্ষরতা বাড়ানো! সত্যি এটাই। অবশ্য অবকাঠামো, অর্থনীতির আকার প্রভৃতি নিয়ে বিতর্ক করা যায় কিন্তু ফ্যাক্ট হল শিক্ষার আলো এখানে এখনো সবজায়গায় পৌঁছায় নি তো বটেই বরং রন্ধ্রে রন্ধ্রে অন্ধকার। পরিসংখ্যান দেখিয়ে লাভ নেই কারণ পরিসংখ্যান সত্য ধারণ করতে অক্ষম। There are three kinds of lies- Lies, Damned Lies and Statistics. ফলে ধর্মীয় দলগুলো তাদের বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয়ার মোক্ষম সুযোগ লাভ করে। আর সে সুযোগে ভর করে আমরা চাঁদে জনৈক ব্যক্তির নূরাণী মুখাবয়ব দেখে ফেলি আর তার জন্য হামলা-হাংগামা করি। এই আমাদের শিক্ষা!
ভারত একটি উদীয়মান শক্তি কিন্তু এই দেশ তার আর্থ-সামাজিক খাতকে শক্তিশালী করতে যতোটা ইচ্ছুক তার চেয়ে বেশি ইচ্ছুক মোড়লিপনা করতে। সেখানকার মানুষ না খেয়ে না পরে মরে পড়ে থাকে কিন্তু তাদের দরকার শক্তিশালী সামরিক বাহিনী! উপরি হিসেবে ক্ষমতায় মোদী নামের এক জারজ আর তার বেজন্মা দল।
আর পাকিস্তানের কথা তো ছেড়েই দিলাম। তারা সাপ হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়ে। একদিকে ভারতকে শিক্ষা দিতে জঙ্গি পালে আবার মার্কিনিদের টাকা নিয়ে তাদের হামলা করে! তাদের নিজেদের কোন নীতি নেই। নীতি খালি একটাই “ভারত বিরোধীতা” । আর তাছাড়া তাদের সামাজিক কাঠামো এখনো মোটামুটি সামন্ততান্ত্রিক। রাজনীতি কতিপয় অভিজাতের হাতে কুক্ষিগত। আর অশিক্ষার মত সমস্যা তো রয়েছেই। উপরি হিসেবে ধর্মীয় গোড়ামি।
এখানকার মানুষদের ক্ষমতা দখল এবং সামাজিক কাঠামোর বাস্তবতায় অর্থ-বিত্ত সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি। আর জাগতিক লাভের এই লীলায় ধর্ম যখন সম্ভাব্য হাতিয়ার হয় তখনই আসলে মানবতা তার হুঁশ-জ্ঞান হারায়। কারণ দেশ ছেড়ে যাওয়া মানেই সেসব মানুষের সম্পত্তি-দোকানপাট কুক্ষিগত করা কিংবা তাদের অসহায়ত্ব পুঁজি করে ক্ষমতার দাপট দেখানো। কাজেই ধর্মীয় বিরোধ শুধুমাত্র অজুহাতের মাধ্যম কোনোভাবেই আইডিওলজিক্যাল গ্রাউন্ডে গিয়ে বিরোধ না।
আরেকটি ব্যাপার না বললেই না। আর তা হল এখানকার মানুষদের আবেগ কিংবা অনুভূতির মাত্রাতিরিক্ত বহিঃপ্রকাশ। আর বারুদে আগুন দেবার জন্য তো সাম্প্রদায়িক দলগুলো তো আছেই। ভারতে সংঘ পরিবার, বাংলাদেশে জামায়াত আর পাকিস্তানে রাষ্ট্র ইটসেলফ!! পাশের দেশগুলোতে কোনো ধর্মাবলম্বীর কিছু একটা হলেই তাতে অন্য দেশের মানুষের ধর্মীয় চেতনা জেগে ওঠে! এ এক আশ্চর্য বহিঃপ্রকাশ। নিত্যকার কাজে ধর্মীয় অনুশাসন মানা হচ্ছে কিনা, ধর্মে বর্ণিত চারিত্রিক গুণাবলি চর্চা করা হচ্ছে কিনা, কিংবা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হচ্ছে কিনা তা বড় কথা নয় বরং আরেকজনকে আঘাত করেই তারা ধর্মের পবিত্র দায়িত্ব সম্পন্ন করে। এ অদ্ভুত কনসেপ্ট কোত্থেকে আমদানি করা হল আমি জানি না।
শেষের আগে
সবশেষে বলি, ধর্মের আবির্ভাব মানুষের কল্যাণের জন্যই। চোখ বন্ধ করেই বলে দেয়া যায়, কোন ধর্মই মানুষ হত্যাকে অনুমোদন দেয় না, কোন ধর্মই মানুষকে অত্যাচারী হতে শেখায় না। এটা কমন সেন্স। আমি ব্যক্তিগতভাবে ইসলাম ধর্মের অনুসারী। কাজেই পবিত্র কোরান থেকেই উদ্ধৃত করে বলি, “লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন”। আর এই সত্য যত তাড়াতাড়ি মানুষ বুঝতে পারে ততই মঙ্গল।
সকলেই ভালো থাকুক আর সকলকেই ভালো রাখুক।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৬